Brands

Sort By:
View:
  • জুল রেনার
    কয়েক টুকরো ছেঁড়া মেঘ
    নির্বাচিত দিনলিপি

    অনেক লেখকেরই কাছে দিনলিপি রচনা একটা বাজে কাজ, স্রেফ সময় নষ্ট করা ছাড়া যার কোন অর্থ হয় না। দিনলিপি লিখতে বসে অকিঞ্চিৎকর সানুপুঙ্খতা, বাষ্পময় চিন্তাভাবনা আর আত্মকেন্দ্রিক আবেগময়তা এড়ানো মুশকিল, এ সবের আকর্ষণও প্রবল। উনিশ শতকের ফরাসি সাহিত্যিক পিয়ের-জুল রেনার-এর দিনলিপি-র শুরু থেকেই বোঝা যায় যে, এক তরুণ লেখক সচেতন ভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন এমনতর ভ্রান্তি থেকে। এ-ও বোঝা যায় যে, তিনি এমন এক লেখক যাঁর লক্ষ্য শৈলীর স্বচ্ছতা এবং ভাষার সুনির্দিষ্টতা। বস্তুত রেনার এমন ভাবে নিজেকে প্রশিক্ষণ দিতে চান যার লক্ষ্য— “যাবতীয় ঘরানা থেকে মুক্ত হওয়া… এবং কী ভাবে সংহত ও প্রতিরোধকারী গদ্যে পুনর্নির্মাণ করা যায় সম্পূর্ণত শুদ্ধ এবং সরল এক জীবন।”

    ফরাসি সাহিত্যে দিনলিপি এবং দিনলিপি গোত্রের রচনা পরিমাণগত ও গুণগত বিচারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে-সবের মধ্যে অনেকগুলিই বিভিন্ন কারণে মূল্যবান, কিন্তু রেনার-এর এই দিনলিপি-র মতো এতকাল ধরে পাঠযোগ্যতা বজায় রাখতে পেরেছে তার মধ্যে মাত্র কয়েকটিই। এর জন্য রেনার-এর অদ্বিতীয় ক্ষমতার কথাই বলতে হয়। অকৃত্রিমতা ও সহজসিদ্ধতার সঙ্গে অম্লতা ও কৌণিকতার যাদুকরি সমন্বয় ঘটেছে তাঁর রচনায়। এবং তা প্রমাণ করে কী ভাবে কখনও-কখনও মানুষের ব্যক্তিসত্তা তার সরকারি ও সামাজিক সত্তাকে তুমুল ভাবে অতিক্রম করে যায়, যে-ব্যক্তিসত্তার কথা ইদানীংকার কোলাহলমুখর রাষ্ট্রিক ও সামাজিক জীবনের চাপে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি।

    তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রথম সংস্করণ, ১০০ পৃষ্ঠা

     180.00
  • ভলতের
    নিজের বাগান চাষ
    অনুচিন্তন ও কথিকা

    কোন প্রকার তাত্ত্বিকতার আশ্রয় না নিয়ে নিরলস কাজ করে যাওয়াই জীবনকে সহনীয় করে তুলতে পারে। নিজের বাগান চাষ করার অর্থ সেই কাজে মন দেওয়া, যে-কাজ উন্নত রূপে নির্বাহ করার শক্তি রয়েছে আমাদের মধ্যে। কাঁদিদ-এর এই অন্তিম অমোঘ বাক্যটি যেন নীরবতার সমর্থনসূচক যুক্তি বা মানবসমাজের অসহায়তার প্রতি ঔদাসীন্যের সমার্থক বলে ভুল করা না হয়। কাঁদিদ-এর মতে, সমগ্র বিশ্বই আমাদের  উদ্যান : আমাদের পরম উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেই উদ্যানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানো।

    এ বইয়ে স্বনামখ্যাত ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতের-এর রচনাবলি থেকে চয়িত কিছু বাক্য ও কথিকা সাজিয়ে দেওয়া হল, সঙ্গে উত্তরকথনে রইল তাঁর জীবন ও কর্মের বিশদ পর্যালোচনা।

    তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

     180.00
  • শতাব্দী দাশ
    শূন্যপুর ও অন্যান্য  

    ত্রিশটি চারশো শব্দের গল্প রয়েছে এই সংকলনে। এ পরিধিতে চরিত্রকে হয়তো তত খুঁড়ে দেখা যায় না, আখ্যানকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না বিস্তারে, কিন্তু ছবি আঁকা যায়। ইমপ্রেশনিস্টিক ছবি। কিছু লাল রঙের ছিটে এমন ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় হয়তো, যাতে মগজে রক্তের ভাব জাগে। বা রক্তপলাশের। বা নিশানের। এদের ঝুরোগল্প, অণুগল্প, যা-খুশি নামে ডাকা যায়। এর মধ্যে প্রথম কুড়িটি নাগরিকপঞ্জি-জাত হয় যদি, শেষ দশটি তবে অতিমারির ফসল। শূন্যতাই তাদের ভরকেন্দ্র।

    প্রচ্ছদ ও ভেতরের ছবি : সোমশঙ্কর রায়

    প্রথম সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা

     125.00
  • অমিয়া সেন
    পুনর্বাসন ও অন্যান্য কাহিনি

    আনুমানিক ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার বরিশালে অমিয়া সেনের জন্ম। তাঁর প্রথম উপন্যাস ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়। এ ছাড়া তাঁর নানা গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধ পূর্ব্বাশা, প্রবর্ত্তক, অঙ্গনা, জয়শ্রী, কম্পাস, বঙ্গলক্ষ্মী, মাসিক দিগন্ত, লোকসেবক, মাসিক বসুমতী ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।

    একজন ভুক্তভোগী, সামাজিক পর্যবেক্ষক ও অনানুষ্ঠানিক ইতিহাসকার হিসেবে দেশভাগের ঘটনা রয়েছে তাঁর চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই সংকলনের তেরোটি গল্পের মধ্যে সাতটিই কোন-না-কোন ভাবে ওই দুর্ভাগ্যজনক ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এর সমান্তরালে, দিল্লিতে তাঁর জীবনের কথা, শুধুমাত্র একজন প্রবাসী বাঙালি হিসেবে নয়, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে একজন দিল্লিওয়ালা হিসেবেও, তাঁর লেখায় রয়েছে। এই সংকলনের বেশ কয়েকটি গল্প ভারতের রাজধানীকে প্রবাসী বাঙালির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ করে দেবে।

    ১৯৯০ সালে লেখিকার মৃত্যুর পর তাঁর অগ্রন্থিত গল্পের এই সংকলন পাঠককে বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিশালী লেখকের কথা মনে করিয়ে দেবে।

     260.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    আয় রে খুকু আলো করে
    ছবি : অলকানন্দা সেনগুপ্ত

    ছোটদের ছড়ার বইতে থাকে শুধু খোকাদের নিয়ে ছড়া। খুকুরা সেখানে পিছনে বা পাশে।

    যা ছড়া লেখায়, তা-ই দেখা যায় সমাজে। লেখা সমাজে; সমাজ লেখাতে, ছবিতে।

    এই বইতে রয়েছে শুধু খুকুদের ছড়া আর খুকুদের ছবি। খুকুরাই এখানে সামনে, পাশে, পিছনে। হতে চাওয়া, হয়ে উঠতে চাওয়া এক সমাজের ছবি আর ছড়া এখানে।

    অলকানন্দা সেনগুপ্তের ছবি আর শুভেন্দু দাশগুপ্তের ছড়া নিয়ে এই বইটি। খুকুদের বইটি।

     120.00
  • জাঁ-পল সার্ত্র
    লেখকের অস্তি নাস্তি অবস্থিতি

    জাঁ-পল সার্ত্র-এর (১৯০৫-১৯৮০) ষাট এবং সত্তর বছরে নেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে এই বই।

    প্রথম সাক্ষাৎকারটি যখন দিচ্ছেন, তার কিছু পরেই সাহিত্যে নোবেল নিতে অস্বীকার করছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি শেষ হচ্ছে এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য দিয়ে, ‘কোন আকাদেমি বা কোন পুরস্কারের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।… আমার বই যদি লোকে পড়ে, তবে সে-ই হতে পারে আমার সেরা সম্মান।’

    দশ বছর পরে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে আর দেখতে পান না মোটেই, ভাবছেন কী ভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘আমার মন দশ বছর আগের মতোই এখনও সমান ধারালো— ধার বাড়েনি হয়তো, কিন্তু কমেও যায়নি।’

    বিশ শতকের অদম্য এই মেধাজীবীর বহু বিষয়ে ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাকে খানিক স্পর্শ করা যাবে এই বইয়ে।

     160.00
  • বের্টোল্ট ব্রেখট
    ক-বাবুর যত কথা

    বের্টোল্ট ব্রেখট ক-বাবুর এই সমস্ত ‘কথা’ লিখেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে, গত শতকের বিশ থেকে পাঁচের দশক জুড়ে, বিপ্লব ও বিশ্বযুদ্ধের উত্তাল আবহে। ক-বাবুর এ সমস্ত কথার আয়তন খুব বেশি নয়, কখনও তা দু-এক লাইন, কখনও দু-এক অনুচ্ছেদেই শেষ। এ সবের মধ্যে কাহিনির আভাস থাকলেও বোঝা যায় যে লেখকের মূল লক্ষ্য কাহিনি বা আখ্যানের বর্ণনা নয়, বরং কোন ঘটনা বা আচরণ বা পরিস্থিতির চকিত ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ। কখনও তার রূপ সংক্ষিপ্ত মন্তব্যের, কখনও আর-একটু বিস্তৃত ভাষ্যের। সেদিক থেকে এ সবের ধরন প্রাচীন প্যারাবল বা নীতিসূত্রের মতো, কিংবা সংক্ষিপ্ত উপাখ্যান বা অ্যানেকডোটের মতো। এর অধিকাংশেই কোন বিশেষ ঘটনা বা আচরণ বা বিষয়ের প্রেক্ষিতে ক-বাবু তাঁর নিজের বক্তব্য পেশ করেছেন। ক্ষুরধার সে বক্তব্য, অতিরিক্ত একটা কথাও সেখানে নেই, এবং প্রায়ই তা প্রচল ধারণার বিপরীত মত ও পথের সন্ধানী। সঙ্গত অনুমান যে, ক-বাবুর বক্তব্য আসলে স্বয়ং লেখকেরই, ক-বাবু আসলে তিনি নিজেই। ক-বাবু কথা বলেন সার্বজনিক সুরে। রাজনীতি থেকে ঈশ্বর, প্রেম থেকে সত্যের স্বরূপ— সবই তাঁর আলোচ্য। ফলে দেশ-কালের গণ্ডিতে তা আটকে থাকে না। আর সে কারণেই এ সমস্ত কথা আজও সমান প্রাসঙ্গিক, হয়তো বা একটু বেশিই প্রাসঙ্গিক।

    পরিবর্ধিত প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ১২২ পৃষ্ঠা

     160.00
  • এদুয়ার্দো গালেয়োনো
    আয়না : আমাদের প্রায় সব্বার গপ্প

    কেন লিখলেন এমন একটা বই? এর উত্তরে গালেয়ানো জানিয়েছেন, “আমি আমার বইগুলো, বিশেষ করে এই শেষেরটা, ‘মিররস’, লিখেছি এটা দেখানোর জন্য যে বিশ্বের কোন জায়গাই অন্য কোন জায়গার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোন মানুষই অন্য কোন মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে না। এ বিশ্বকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আমাদের যৌথ স্মৃতিকে ছিন্ন করেছে, এবং প্রতিদিন তারা আমাদের এখনকার বাস্তবতাকেও ছিন্ন করে চলেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোকে শিখতে হবে যে কী ভাবে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটা ‘বন্ধুত্ব’ দিয়ে বদলে ফেলা যায়।”

    লেখক এই বইয়ে যা বলতে চেয়েছেন, যা করতে চেয়েছেন, তার ফলে নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এ বই হয়ে উঠেছে বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই গুরুগম্ভীর, রীতিমতো গবেষণামূলক, দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়, গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে, যদিও সে প্রবন্ধ কেতাবি মহলের বাইরে কেউ পড়ত না, আর পড়লেও মনে রাখত না। বদলে, হয়তো তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে, এর প্রতিটি গল্প মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন, যদি চান, তাহলে সেখানেই লেখকের সার্থকতা।

    প্রায় ছ-শো গল্প-সম্বলিত মূল বইয়ের এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রথম ভাগ। সম্পূর্ণ বইটি মোট তিন ভাগে প্রকাশিতব্য। এই ভাগে আরও রয়েছে লেখকের নানা সময়ে দেওয়া তিনটি সাক্ষাৎকারের বয়ান। বাংলায় রূপান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য।

     430.00
  • জ্যাক কেরুয়াক, উইলিয়ম বারোজ ও অ্যালেন গিনসবার্গ-এর সঙ্গে কথোপকথন
    বিট প্রজন্ম অফবিট প্রসঙ্গ

    “কেরুয়াক আর জন ক্লেলন হোমস-এর সঙ্গে ১৯৫০-৫১ সালে সমকালীন প্রজন্মের চরিত্র নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রথম কথাটা উঠে আসে। কেরুয়াক এই প্রজন্মের কোন সুসঙ্গত চরিত্রের কথা অস্বীকার করে এবং বলে ওঠে, ‘আঃ, বিট প্রজন্ম ছাড়া কিছু নয় আমরা।’ হোমস তারপর নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর ম্যাগাজিনে ১৯৫২-য় একটা প্রবন্ধ লেখে, যার শিরোনাম ছিল ‘এ হল বিট প্রজন্ম’। ব্যাস, তারপর এটাই দাঁড়িয়ে গেল।

    “এর বছর-দশেক আগে টাইমস স্কোয়ারে এ কথা আকছার বলা হত, ‘ওহে, আমি একজন বিট…’, মানে পয়সাকড়ি কিছু নেই আমার, থাকার একটা জায়গা পর্যন্ত নেই। অর্থাৎ এর আদত মানে হল আমি পরিশ্রান্ত, একেবারে অতলে তলিয়ে আছি, ঘুমোইনি কতদিন, সমাজ আমায় প্রত্যাখ্যান করেছে ইত্যাদি।… কিংবা ‘উন্মুক্ত’, হুইটম্যান যে-অর্থে উন্মুক্ততার কথা বলেছেন, প্রায় বিনম্রতার সমার্থক, কোন-কোন মহলে যার মানে পরিশ্রান্ত হলেও আমার সত্তা কিন্তু যে-কোন দিব্য অভিজ্ঞতা গ্রহণ ও অনুধাবনের জন্য উন্মুখ ও প্রস্তুত।

    “মিডিয়া এর কদর্থ করা শুরু করলে কেরুয়াক কথাটা আর-একটু মার্জিত করে। যেমন তারা বলে, এর মানে নাকি সম্পূর্ণ পরাজিত, কিংবা ড্রামের বিট ইত্যাদি, যা একেবারেই ভুলভাল। কেরুয়াক তখন শব্দটার উৎসে ফিরে যায় এবং জানায় যে beat মানে be-at, যেমন কিনা beatitude বা beatific। ‘বিট প্রজন্মের উৎস’-এ সে এভাবেই কথাটা ব্যাখ্যা করেছে। সত্তার অন্ধকার বা অজ্ঞানতার অন্ধকার সরিয়ে যা আলো আসার পথ খুলে দেয়, অহংশূন্য করে এবং ধর্মীয় উদ্ভাসের পথ মুক্ত করে।” (অ্যালেন গিনসবার্গ)

    বিট প্রজন্মের তিন দিকপাল— কেরুয়াক, বারোজ আর গিনসবার্গ-এর তিনটি দীর্ঘ কথোপকথন নিয়ে এই বই। আলোচিত প্রসঙ্গের মধ্যে আছে– গদ্যের স্টাইল, নীল কাসাডি, হাইকু; শব্দ-নৈঃশব্দ্যের কাটাছেঁড়া, মায়া-পুঁথি, নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা; ব্লেক, সেজান, কবিতা ও দিব্যদর্শনের ভূমিকা ইত্যাদি অফবিট নানান প্রসঙ্গ।

    সংকলন, সম্পাদনা ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     200.00
  • প্রমথ চৌধুরী
    আত্মকথা

    “যে-প্রমথ চৌধুরীকে দেশের শিক্ষিত সমাজ জানে, বাংলা সাহিত্যিক গদ্যে নব রীতির প্রবর্তক, বুদ্ধির বিদ্যুৎদীপ্ত পরিহাস-রসিক ‘বীরবল’, ‘সবুজ পত্র’-এর সম্পাদক ও লেখক, যাঁর চমক লাগানো বাকচাতুরী সংস্কারলেশহীন দৃঢ় ঋজু মনের ঈষৎ বাঁকা বহিঃপ্রকাশ— এই আত্মকথা সেই প্রমথ চৌধুরীর মন ও ভাষার ভিত্তি গড়নের ইতিহাস। প্রমথবাবুর লেখার যারা পাঠক, তারা এ বই সাদর কৌতূহলে পড়বে।… কিন্তু সাহিত্যিকের আত্মকথা হিসাবেই এ বইয়ের আকর্ষণ নয়। এ আত্ম-কাহিনীতে যে-সব ঘটনা ও লোকের বর্ণনা আছে তা এমন নিপুণ রেখায় আঁকা, এমন কৌতুকহাস্যে সমুজ্জল যে নিজ গুণেই তা সাহিত্য হয়ে উঠেছে।” এ কথা ভূমিকায় লিখেছিলেন অতুলচন্দ্র গুপ্ত। কিন্তু এ বই গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল অনেক কাল আগে, তারও পরে লেখক বিভিন্ন পত্রে ‘আত্মকথা’র আরও কয়েকটি পর্ব লিখেছিলেন, সে সমস্তের অধিকাংশ উদ্ধার করে, একত্র করে এই সংস্করণ।

     210.00
  • বীতশোক ভট্টাচার্য-এর অগ্রন্থিত গদ্যের সংকলন ১
    অগ্রন্থিত বীতশোক

    বীতশোক কবিতাকার, বীতশোক প্রবন্ধকার— তুল্যমান বিচারে কোন দিকটির পাল্লা ভারি হবে, সে-বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। অথবা এমন বললে যথার্থ হবে, তাঁর জীবনে কবিতা নির্মাণের পাশাপাশি ভাবনামূলক গদ্য নির্মাণের একটি সমান্তরাল ও সমৃদ্ধ ধারা প্রবাহিত ছিল। আর এ দুটো ধারা, মনে হবে, যেন পরস্পরের পরিপূরক; একে অন্যকে সাহায্য দিতে প্রস্তুত, একে অন্যকে সমর্থনে উন্মুখ। বীতশোকের কবিতার বইয়ের সংখ্যা বারোটি, তার ভেতর একটি কবিতা সংগ্রহ, যদিও সেটি নির্বাচিত ও অসম্পূর্ণ, একটি শ্রেষ্ঠ কবিতার সংকলন। তাঁর গদ্য-গ্রন্থের সংখ্যাও বারো। তবু বীতশোকের অনেক প্রবন্ধ/নিবন্ধ অগ্রন্থিত থেকে গেছে।
    প্রায় চল্লিশ বছরের সময়সীমার ভেতর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিচিত্র সব লেখাকে নানা ভাবে বিন্যস্ত করা যায়। এই সংকলনের প্রথম খণ্ডে তাঁর তরুণ বয়সের লেখাগুলো সংকলিত হল, এর সঙ্গে যুক্ত হল রবীন্দ্রসাহিত্য নিয়ে তাঁর লেখা অনেকগুলো রচনা এবং রবীন্দ্র-পরবর্তী কবিদের বিষয়ে কিছু গদ্য। এই বিন্যাস মূলত বিষয়নির্ভর, এবং এতে বীতশোকের গদ্যশৈলীর বিবর্তনের রূপটিও একভাবে বিধৃত থাকল।

     350.00
  • শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
    উদরপুরাণ এবং অন্যান্য বৈঠকি গল্প  

    পটলডাঙায় চাটুজ্জেদের রোয়াক থেকে বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেন হয়ে তা-বড়ো বাবু ও বিবির বৈঠকখানায়-মজলিশে-আসরে-বাসরে যে-অফুরান আড্ডা-সংস্কৃতি বজায় রেখেছে বাঙালি, তার কোন ইতিহাস লেখা হয়নি আজও। আড্ডা-সাহিত্য বলে আমাদের তেমন কিছু নেই। যা আছে, তা হল বহু প্রজন্ম ধরে বয়ে চলা অজস্র গালগপ্পো। গালগপ্পোর সঙ্গে আড্ডার সম্পর্ক দু-ভাবে : এক ধরনের গালগপ্পো আড্ডাজাত, আড্ডা ছাড়া আর কোন কারখানা থেকেই তা উৎপন্ন করা যাবে না; আর-এক ধরনের গালগপ্পো আড্ডা-উপযোগী, অর্থাৎ যা জুতসই ভাবে পরিবেশিত হলে যে-কোন আড্ডাই জমে উঠতে বাধ্য। এরকমই কিছু গালগপ্পো করা হয়েছে এখানে, যাকে আমরা ‘বৈঠকি গল্প’ বলা সংগত মনে করেছি। বাঙালির আড্ডার ‘হেভি ইন্ডাস্ট্রি’ এককালে যে-সব রথী-মহারথীর সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল, তাঁদের বেশির ভাগই নেই আজ। কিন্তু যাঁরা নিদেনপক্ষে কুটিরশিল্প চালাতে উৎসাহী, তাঁদের এসব রসদ কিছু পরিমাণে কাজে লাগবে বলে আশা করা যায়।

    প্রথম সংস্করণ, ২১৬ পৃষ্ঠা

     280.00
  • মানিক দাস

    আশপাশের মানুষজন

    অসমের প্রেক্ষাপটে বস্তুত এ এক প্রেমের আখ্যান। অসংখ্য দ্বন্দ্বতন্তুর অনিঃশেষ কাটাকুটিতে নির্মিত এই আখ্যান কার্যত অসমিয়া-বাঙালির সম্পর্ক ও সম্পর্কহীনতার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জলছবি। মানুষজনের দ্বন্দ্ব, সামাজিক অস্থিরতা, সংশয়, উদভ্রান্তি ও স্বার্থপরতা এই যাপনকথায় প্রকট।

    লেখক অসমবাসী। অসম ও বাংলায় সুপরিচিত। অসমিয়া ও বাংলা, দুই ভাষাতেই তিনি লেখেন। ফলে তাঁর বয়ানে এ আখ্যানের গুরুত্ব অন্যরকম হতে বাধ্য। এ বয়ানের পরতে-পরতে ক্রমোন্মোচিত অভিজ্ঞতার নির্যাসে রয়েছে সমাজ-বাস্তবতার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একটি প্রণয়োপাখ্যানকে কেন্দ্র করে এ হল আশপাশের মানুষজনের চলমান জীবনালেখ্য।

    অসমে সাম্প্রতিক সমস্যার প্রেক্ষিত বুঝতে বাংলা সাহিত্যে এই নতুনতর সংযোজন অনেকটাই সাহায্য করবে।

     495.00
  • আরণ্যক টিটো
    ফুলেরা পোশাক পরে না

    ‘লেখা’ শব্দটি ক্রিয়া। ক্রিয়া ব্যতীত কোন মানুষ নেই, এমনকী প্রকৃতিজগতে অন্যান্য প্রাণীও। এই ব্রহ্মাণ্ড ক্রিয়াশীল… সচলতা ছাড়া জীবন চলে না! আর এই লেখালিখি, ক্রিয়া, বিষয়টার সাথে, মনের মাজারে নড়নচড়নমনা বাউলটার (নন্দনতাত্ত্বিক) মরমযাতনা আছে! যার মর্মে কানাকানি জানাজানি করে জীবনপ্রকৃতি, তার কাঙ্ক্ষা— প্রাপ্তি ও হতাশার দ্বান্দ্বিক মিথষ্ক্রিয়ায় যে রসটুকু বের হয়ে আসে তারই সার এই লেখা! এই লেখালেখি ‘আড়াই অক্ষরে’ বলা যেতে পারে নিজেকে/প্রকৃতিকে বিনির্মাণ কিংবা প্রকাশ…

    আর এই প্রকাশতত্ত্বের পথে (দীর্ঘ ২৪ বৎসরের বাক্যচর্চার সারমর্ম) ‘ফুলেরা পোশাক পরে না’ প্রথম পদক্ষেপ… যেখানে ১৭৮টি কবিতায় (পুরুষবাদিতা কিংবা নারীবাদিতার বিপরীতে) ধরতে চাওয়া হয়েছে এমন এক (নন্দনতাত্ত্বিক) অভিসন্দর্শন— মর্মটুকু এই: শিল্প হলো অর্ধনারীশ্বর যাহার অর্ধেক শিব, অর্ধেক পার্বতী…

    এই বইদেশে ভুমিকা না শুনে ভিতরে ঢোকেন… এটুকু কেবলি ইঙ্গিত, এর পাতায় পাতায় ভাঁজে ভাঁজে লুক্কায়িত মর্মকে জানতে পাঠ করুন, নক্‌শিকথায় বোনা সুতোর কাহন… উদ্‌যাপনের কথামালা… বাংলাসাহিত্যের অর্ধনারীশ্বরকাণ্ড… বিশ্বদৃষ্টির পরম্পরা… ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতাবাদী এককের বিপরীতে সমগ্রতার যুক্তাঞ্চল!… যার রচয়িতা মারা গেছে সৃজন বর্ষায়, খুঁজেও পাবেন না তাহাকে জলের বাসরে…

     295.00
  • ফালগুনী রায়
    আমার রাইফেল আমার বাইবেল

    হাংরি প্রজন্মের কবি-লেখকদের মধ্যে ফালগুনী লেখার গুণে যেমন, তেমনই জীবনযাপনের কারণেও কিংবদন্তি। মাত্র ছত্রিশ বছর বেঁচেছিলেন ফালগুনী, তার মধ্যেই এমন অমোঘ সব লেখা তিনি লিখেছিলেন, যার আবেদন বছর-চল্লিশেক পরেও এতটুকু কমেনি। শুধু কবিতা নয়, নানা সময়ে গদ্য, নাটক, চিত্রনাট্য ইত্যাদিও তিনি লিখেছিলেন, এবং তা একই রকম জোরালো।

    ফালগুনীর প্রায় যাবতীয় লেখাপত্র নিয়ে এই সংকলন। চেষ্টা করা হয়েছে তাঁর সমস্ত লেখাই সাল-তারিখ অনুযায়ী সাজাতে, এবং প্রত্যেক রচনার শেষে তার উল্লেখ আছে।

    বাংলা সাহিত্যের পাঠকের অবশ্যপাঠ্য এই বই।

     70.00
  • অভী চৌধুরী
    রবীন্দ্রনাথের গান : গানের তথ্য গানের সত্য

    রবীন্দ্রনাথের গানের সূত্রে রচিত এই গ্রন্থটি বস্তুত শিল্পসৃষ্টির রহস্য অনুধাবনের একটা প্রয়াস মাত্র। আর তার পাশাপাশি শিল্প-আস্বাদনের সময় শিল্পসৃষ্টির কালে, শিল্পীর চেতনায় যে-অভিঘাতটি কাজ করে বা যে-প্রত্যক্ষ ঘটনা বা তথ্য একজন শিল্পীকে শিল্প নির্মাণের দিকে উস্‌কে দেয়— সেই তথ্যকে জড়িয়ে নেয়াটা শিল্প-আস্বাদনে কতটুকু জরুরি, তারও একটা বিবেচনা রয়েছে এখানে। আর এ কাজ করতে গিয়ে রবীন্দ্রনাথের গানের তথ্যানুসন্ধান এবং তথ্যকে আস্বাদনকালে সম্পৃক্ত করবার বিষয়টি বেছে নেওয়া হয়েছে। আশা করি, এই অনুসন্ধান এবং অনুসন্ধান-পরবর্তী সিদ্ধান্তটি অপরাপর শিল্পের ক্ষেত্রেও বোধের অভিন্নতা তৈরি করবে। নির্বাচিত একশোটি গান নিয়ে এই অনুসন্ধান।

     70.00
    Version : ebook - hardcopy
Shop
Filters
0 Wishlist
1 Cart