Introducing THE ONLINE ART SHOP
Introducing THE ONLINE ART SHOP www.boipattor.in ‘বইপত্তর’-এর ওয়েবসাইটে এবার চলে এল ‘ছবিপত্তর’-ও। ছবিপত্তর মানে একেবারে অরিজিনাল হাতে-আঁকা ছবি, আর ছবির … Read more
welcome to boipattor.in : the online bookstore with an art shop
|
No products in the cart.
দক্ষিণারঞ্জন শাস্ত্রী
ভারতীয় জড়বাদ : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
সেই কোন্ প্রাচীন কালেও কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা যাচাই করে গ্রহণ করায় বিশ্বাস করতেন, প্রতিবাদে সরব হতেন। প্রশ্ন ও তর্ক, বিচার ও বিবেচনা, আচার ও অভ্যাসের প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁরা তুলে ধরেছিলেন প্রকৃত স্বাধীন চিন্তার পতাকা। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে দেখলেও স্পষ্ট অনুধাবন করা যায় এই অনুশীলনের বৌদ্ধিক, যৌক্তিক, সামাজিক এবং গণতান্ত্রিক প্রয়োজনীয়তা। আমাদের বোঝা উচিত, পুরাতন সেই মুক্তচিন্তকেরাই বীজ বপন করেছিলেন সভ্যতার এক অপরিহার্য আঙ্গিকের— এ ছিল মানুষের যাবতীয় মানসিক ক্রমোন্নতির এক অমূল্য উপকরণ। ভারতীয় জড়বাদের ইতিহাস নিয়ে সুপণ্ডিত দক্ষিণারঞ্জন শাস্ত্রী মহাশয়ের পথিকৃৎ গবেষণা।
ভাষান্তর : সুদীপ্ত চক্রবর্তী
জাঁ-পল সার্ত্র
গণহত্যা
ভিয়েতনামে মার্কিন যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে গণ-উদ্যোগে গঠিত ট্রাইবুনাল-এর (বার্ট্রান্ড রাসেল-এর সক্রিয় উদ্যোগে হয়েছিল বলে যাকে সংক্ষেপে রাসেল ট্রাইবুনাল-ও বলে) দ্বিতীয় অধিবেশনের (ডেনমার্ক, ২০ নভেম্বর – ১ ডিসেম্বর ১৯৬৭) একেবারে শেষ পর্বে সার্ত্র গণহত্যা নিয়ে যে-অসাধারণ ভাষণটি দিয়েছিলেন, বাংলায় ভাষান্তরিত তার বয়ানটিই এ বইয়ের একমাত্র উপজীব্য। আজও এর প্রাসঙ্গিকতা কিছুমাত্র হারায়নি। ভাষান্তরের প্রেরণা সেটাই।
মীরা মুখোপাধ্যায়
বস্তারের দিনলিপি
স্বনামখ্যাত শিল্পী-ভাস্কর মীরা মুখোপাধ্যায় এ-দেশের লোকশিল্পী-কারিগরদের কাছ থেকে সরাসরি হাতেকলমে কাজ শিখতে ছত্তিশগড়ের বস্তার অঞ্চলে প্রথম গিয়েছিলেন আজ থেকে অর্ধশতকেরও আগে। কাজ শেখার সঙ্গে-সঙ্গে তিনি যেমন তাঁদের জীবনযাপনের খুঁটিনাটি প্রায় নৃতাত্ত্বিকের চোখ দিয়ে দেখেছেন, তেমনি তাঁদের ওপর নেমে-আসা রাষ্ট্রীয় আক্রমণের চেহারাও দেখেছেন। দুর্ভাগ্যবশত, আজও তা অব্যাহত। বহু বছর পরে যখন আবার বস্তারে গেছেন, তখন এ-ও দেখেছেন যে এই ধারাবাহিক আক্রমণের ফলে কী ভাবে তাঁদের জীবন ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।
বস্তার নিয়ে তাঁর দুটি লেখা টীকাভাষ্য-সহ এই বইয়ে সংকলিত।
বের্টোল্ট ব্রেখ্ট
নির্বাসিতের জার্নাল
এই বইয়ে রয়েছে কবি ও নাট্যকার বের্টোল্ট ব্রেখ্ট-এর কয়েক বছরের জার্নাল এন্ট্রি, ১৯৩৪ থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত তার ব্যাপ্তি, অবশ্য শেষ তিন বছরের খতিয়ানই তার মধ্যে বেশি। ঘটনাচক্রে ব্রেখটের নিজের জীবনের দিক থেকে যেমন, তেমনই মানব-ইতিহাসের দিক থেকেও এই সময়কাল গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে, হিটলার ক্ষমতায় আসার (১৯৩৩) পর-পরই দেশ ছাড়তে বাধ্য হন ব্রেখট, ফেরেন প্রায় বছর-পনেরো পর। এই জার্নালের পুরোটাই তাই দেশের বাইরে, নির্বাসনে লেখা। কয়েক বছরের দিনলিপি আর সংশ্লিষ্ট একটি কবিতা নিয়ে এই বই : নির্বাসিতের জার্নাল।
সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
লেনিন
“লেনিনের জীবন আলোচনা করার মানে হচ্ছে, রাশিয়ার প্রোলেটারিয়ান বিপ্লব-আন্দোলনের ইতিহাস ও বিপ্লবের পরবর্তী কালের ইতিহাসের আলোচনা করা। লেনিন ও রুশীয় বিপ্লব অভেদ্য যোগসূত্রে বদ্ধ। এদের পরস্পরকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব।” এই বইটিতে সেই ইতিহাস আর যোগসূত্রের কথাই বর্ণনা করেছেন লেখক।
আজ থেকে প্রায় নব্বই বছর আগে প্রকাশিত এই বই নতুন করে ছাপা হল সেই ইতিহাসের কথাই মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।
জুল রেনার
কয়েক টুকরো ছেঁড়া মেঘ
নির্বাচিত দিনলিপি
অনেক লেখকেরই কাছে দিনলিপি রচনা একটা বাজে কাজ, স্রেফ সময় নষ্ট করা ছাড়া যার কোন অর্থ হয় না। দিনলিপি লিখতে বসে অকিঞ্চিৎকর সানুপুঙ্খতা, বাষ্পময় চিন্তাভাবনা আর আত্মকেন্দ্রিক আবেগময়তা এড়ানো মুশকিল, এ সবের আকর্ষণও প্রবল। উনিশ শতকের ফরাসি সাহিত্যিক পিয়ের-জুল রেনার-এর দিনলিপি-র শুরু থেকেই বোঝা যায় যে, এক তরুণ লেখক সচেতন ভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন এমনতর ভ্রান্তি থেকে। এ-ও বোঝা যায় যে, তিনি এমন এক লেখক যাঁর লক্ষ্য শৈলীর স্বচ্ছতা এবং ভাষার সুনির্দিষ্টতা। বস্তুত রেনার এমন ভাবে নিজেকে প্রশিক্ষণ দিতে চান যার লক্ষ্য— “যাবতীয় ঘরানা থেকে মুক্ত হওয়া… এবং কী ভাবে সংহত ও প্রতিরোধকারী গদ্যে পুনর্নির্মাণ করা যায় সম্পূর্ণত শুদ্ধ এবং সরল এক জীবন।”
ফরাসি সাহিত্যে দিনলিপি এবং দিনলিপি গোত্রের রচনা পরিমাণগত ও গুণগত বিচারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে-সবের মধ্যে অনেকগুলিই বিভিন্ন কারণে মূল্যবান, কিন্তু রেনার-এর এই দিনলিপি-র মতো এতকাল ধরে পাঠযোগ্যতা বজায় রাখতে পেরেছে তার মধ্যে মাত্র কয়েকটিই। এর জন্য রেনার-এর অদ্বিতীয় ক্ষমতার কথাই বলতে হয়। অকৃত্রিমতা ও সহজসিদ্ধতার সঙ্গে অম্লতা ও কৌণিকতার যাদুকরি সমন্বয় ঘটেছে তাঁর রচনায়। এবং তা প্রমাণ করে কী ভাবে কখনও-কখনও মানুষের ব্যক্তিসত্তা তার সরকারি ও সামাজিক সত্তাকে তুমুল ভাবে অতিক্রম করে যায়, যে-ব্যক্তিসত্তার কথা ইদানীংকার কোলাহলমুখর রাষ্ট্রিক ও সামাজিক জীবনের চাপে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি।
তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
প্রথম সংস্করণ, ১০০ পৃষ্ঠা
ভলতের
নিজের বাগান চাষ
অনুচিন্তন ও কথিকা
কোন প্রকার তাত্ত্বিকতার আশ্রয় না নিয়ে নিরলস কাজ করে যাওয়াই জীবনকে সহনীয় করে তুলতে পারে। নিজের বাগান চাষ করার অর্থ সেই কাজে মন দেওয়া, যে-কাজ উন্নত রূপে নির্বাহ করার শক্তি রয়েছে আমাদের মধ্যে। কাঁদিদ-এর এই অন্তিম অমোঘ বাক্যটি যেন নীরবতার সমর্থনসূচক যুক্তি বা মানবসমাজের অসহায়তার প্রতি ঔদাসীন্যের সমার্থক বলে ভুল করা না হয়। কাঁদিদ-এর মতে, সমগ্র বিশ্বই আমাদের উদ্যান : আমাদের পরম উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেই উদ্যানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানো।
এ বইয়ে স্বনামখ্যাত ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতের-এর রচনাবলি থেকে চয়িত কিছু বাক্য ও কথিকা সাজিয়ে দেওয়া হল, সঙ্গে উত্তরকথনে রইল তাঁর জীবন ও কর্মের বিশদ পর্যালোচনা।
তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
ঋত্বিককুমার ঘটক-এর জীবন ও চলচ্চিত্র : নির্বাচিত রচনা ও সাক্ষাৎকার
ঋত্বিক-চরিত
ঋত্বিককুমার ঘটক সম্পর্কে এ হল আমাদের প্রিয় কয়েকটি লেখা আর কথালাপের সংগ্রহ, হারিয়ে-যাওয়া পত্রিকা আর ফুরিয়ে-যাওয়া বই থেকে আহরিত। এ বইয়ের এক দিকে আছে ঋত্বিকের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের স্মৃতিচারণ। যথা দীনেন গুপ্ত, বেবি ইসলাম, রমেশ যোশি, উস্তাদ বাহাদুর খাঁ, রণেন রায়চৌধুরী এবং বিজন ভট্টাচার্য। আর-এক দিকে আছে তাঁর অনুরাগীদের বিশ্লেষণ। যথা কুমার সাহানি, নিমাই ঘোষ, পার্থপ্রতিম চৌধুরী, জন আব্রাহাম, দীপক মজুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন ঘোষ, জ্যোৎস্নাময় ঘোষ, অরূপরতন বসু ও নবারুণ ভট্টাচার্য । সব মিলিয়ে ঋত্বিক-চরিতের এ এক আন্তরিক উন্মোচন।
পরিবর্ধিত ও সচিত্র বইপত্তর সংস্করণ
ঋত্বিককুমার ঘটক
নিজের পায়ে নিজের পথে
এক কথা-কোলাজ
বাংলা চলচ্চিত্রের এই পথিকৃৎ চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র এবং জীবনযাপনের সমূহ বিষয়ে তাঁর ভাবনা ও অভিজ্ঞতার কথা যেমন অসংখ্য মূল্যবান রচনায় ব্যক্ত করেছেন, তেমনই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মুখে-মুখে বলেছেন নানান কথা।
সেই সমস্ত সাক্ষাৎকারের বয়ান থেকে তাঁর মুখের কথাকে ভেঙে, নতুন করে সাজিয়ে গড়ে তোলা এই কথা-কোলাজ। এক-একটা বিষয়ের ঘেরে, তাঁর জীবনানুক্রম বজায় রেখে সংকলিত।
সচিত্র বইপত্তর সংস্করণ
ভোলানাথ ভট্টাচার্য
পট ও পটুয়া-কথা এবং অন্যান্য কথামালা
‘পট’ শব্দের উৎস, তার ইতিহাস; পটের প্রকরণ ও পরিবর্তনের ধারা; অনুরূপ শিল্পনমুনার সঙ্গে তার সাযুজ্য ও সম্পর্ক; পটচিত্রকর বা পটুয়াশিল্পীর পরিচয় এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় বিষয় নিয়ে এই বইয়ের নাম-প্রবন্ধটির তুল্য সার্বিক আলোচনা বাংলাভাষায় আর নেই। সেই সঙ্গে এই বইয়ে বিশদে রয়েছে কালীঘাট পটের কথা, রয়েছে মৃৎশিল্পের খণ্ডচিত্র ও কুমারটুলির কথা। আছে লিপি ও লিখনশিল্প এবং দেহাঙ্গচিত্রণের কথা। প্রবীণ লেখক ও গবেষকের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের সংকলন।
পরিবর্ধিত ও সচিত্র দ্বিতীয় সংস্করণ
শতাব্দী দাশ
শূন্যপুর ও অন্যান্য
ত্রিশটি চারশো শব্দের গল্প রয়েছে এই সংকলনে। এ পরিধিতে চরিত্রকে হয়তো তত খুঁড়ে দেখা যায় না, আখ্যানকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না বিস্তারে, কিন্তু ছবি আঁকা যায়। ইমপ্রেশনিস্টিক ছবি। কিছু লাল রঙের ছিটে এমন ভাবে ছড়িয়ে দেওয়া যায় হয়তো, যাতে মগজে রক্তের ভাব জাগে। বা রক্তপলাশের। বা নিশানের। এদের ঝুরোগল্প, অণুগল্প, যা-খুশি নামে ডাকা যায়। এর মধ্যে প্রথম কুড়িটি নাগরিকপঞ্জি-জাত হয় যদি, শেষ দশটি তবে অতিমারির ফসল। শূন্যতাই তাদের ভরকেন্দ্র।
প্রচ্ছদ ও ভেতরের ছবি : সোমশঙ্কর রায়
প্রথম সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা
মধুপ দে
রাজদ্রোহী রানি শিরোমণি
কর্ণদুর্গ এবং কর্ণগড় কি এক? কর্ণগড় স্থাপনের আগে কারা রাজত্ব করত সেখানে? ভূমিজ রাজার পরে খেড়িয়া রাজারা কি রাজত্ব করতেন এখানে? কেমন করে প্রতিষ্ঠা হল কর্ণগড় রাজবংশ? মেদিনীপুরের অন্যতম বৃহৎ রাজত্ব মেদিনীপুর মহালের রাজধানী কর্ণগড়ের প্রাচীন মহিমা অনুসন্ধান। একসময়ে এই রাজ্যের রাজারা ছিলেন বাংলার নবাবের বারোহাজারি মনসবদার। নবাবের বারো হাজার সৈন্য থাকত এখানে। সাতপুরুষে পুরুষশূন্য হওয়ায় এক বিধবা নারী রানি শিরোমণি বসেছিলেন সেই রাজ্যের সিংহাসনে। কিন্তু, কী এমন করেছিলেন সেই রানি যে বীরপুরুষ ইংরেজরা তাঁকে রাজদ্রোহী রূপে বন্দি করতে বাধ্য হয়েছিল? ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজবন্দিনী সেই মহীয়সী রমণীর জীবনবৃত্তান্ত, তাঁর রণকৌশল, তাঁর পিছড়ে বর্গের মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান, মা মহামায়ার মন্দির এবং শিবায়ন কাব্যের রচয়িতা রামেশ্বর ভট্টাচার্যের কথাই এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য।
অমিয়া সেন
পুনর্বাসন ও অন্যান্য কাহিনি
আনুমানিক ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার বরিশালে অমিয়া সেনের জন্ম। তাঁর প্রথম উপন্যাস ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়। এ ছাড়া তাঁর নানা গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধ পূর্ব্বাশা, প্রবর্ত্তক, অঙ্গনা, জয়শ্রী, কম্পাস, বঙ্গলক্ষ্মী, মাসিক দিগন্ত, লোকসেবক, মাসিক বসুমতী ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
একজন ভুক্তভোগী, সামাজিক পর্যবেক্ষক ও অনানুষ্ঠানিক ইতিহাসকার হিসেবে দেশভাগের ঘটনা রয়েছে তাঁর চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই সংকলনের তেরোটি গল্পের মধ্যে সাতটিই কোন-না-কোন ভাবে ওই দুর্ভাগ্যজনক ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এর সমান্তরালে, দিল্লিতে তাঁর জীবনের কথা, শুধুমাত্র একজন প্রবাসী বাঙালি হিসেবে নয়, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে একজন দিল্লিওয়ালা হিসেবেও, তাঁর লেখায় রয়েছে। এই সংকলনের বেশ কয়েকটি গল্প ভারতের রাজধানীকে প্রবাসী বাঙালির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ করে দেবে।
১৯৯০ সালে লেখিকার মৃত্যুর পর তাঁর অগ্রন্থিত গল্পের এই সংকলন পাঠককে বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিশালী লেখকের কথা মনে করিয়ে দেবে।
রামকিঙ্কর বেইজ
আমি চাক্ষিক, রূপকার মাত্র
বিশ শতকের প্রথম ভাগে এদেশে শিল্পকলার ক্ষেত্রে আধুনিকতার সূচনা হয়েছিল যাঁদের হাত ধরে, রামকিঙ্কর বেইজ তাঁদের অন্যতম। চিত্রকলা এবং ভাস্কর্য, উভয় মাধ্যমেই তাঁর কাজের পরিমাণ ও গুণমান বিস্ময়কর।
রামকিঙ্করকে বোঝার জন্য তাঁর কাজই যে বার-বার দেখতে হবে, বহু বার বহু সময় নিয়ে দেখতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। সেই সঙ্গে ভালো হয় যদি তাঁর শিল্পদৃষ্টি ও শিল্পচিন্তা সম্পর্কেও খানিক ধারণা থাকে।
এই বইয়ে সংকলিত তাঁর নিজের পাঁচটি রচনা, একটি বক্তৃতার বয়ান, কয়েকটি চিঠি, চারটি সাক্ষাৎকার, এবং সেই সঙ্গে কয়েকটি সাক্ষাৎকারের বয়ান ভেঙে বিষয় অনুযায়ী সাজিয়ে তৈরি করা একটি রচনায় মনে হয় সে-ধারণা তৈরির ক্ষেত্রে কিছুটা সাহায্য মিলবে।
শুভেন্দু দাশগুপ্ত
তখন যেমন এখন তেমন : বাংলা কার্টুনে সময়ের ছবি
এদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক দুরবস্থা পঞ্চাশ-একশো বছর আগে যেমন ছিল, এখনও মনে হয় রয়ে গেছে তেমনই, পালটায়নি কিছু। বাংলার সংবাদপত্র আর সাময়িকপত্রে প্রকাশিত কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে গবেষণার সূত্রে এই অপ্রিয় সত্য প্রায় নতুন করে উপলব্ধি করেছেন লেখক।
গগনেন্দ্রনাথ, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোর, পরিতোষ সেন, রেবতীভূষণ, অমল চক্রবর্তী, সুফি, কাফী খাঁ, চণ্ডী লাহিড়ী, কুট্টি প্রমুখের মূল কার্টুনের প্রতিলিপি-সহ এই বইয়ে রয়েছে প্রত্যেকটি কাজ নিয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য আর টীকাভাষ্য।
এ বই কার্টুনের সূত্রে একটা কালপর্বের বাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসও।
সোমশঙ্কর রায়
মুখোমুখি সোমনাথ হোর
বছর-কুড়ি আগে পুরনো পরিচয়সূত্রে অগ্রজ শিল্পী সোমনাথ হোরের সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলার সুযোগ হয় অনুজ শিল্পী সোমশঙ্করের। সোমনাথ হোরের বয়স তখন আশি ছুঁয়েছে। ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে তাঁর পরিচিতি তখন বিদেশেও। বেশ কয়েকটা বড়-বড় প্রদর্শনী হয়ে গেছে বিভিন্ন জায়গায়, তাঁকে নিয়ে অনেক লেখাপত্তর বেরিয়েছে। নিজেও, নিজের সম্পর্কে নানা জায়গায় নানান কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে সে-সব কথা নতুন করে এসেছে। আর মধ্যে-মধ্যে রয়েছে এমন কিছু কথা, যা হয়তো আগে বলা হয়নি। খানিক সময়ের ব্যবধানে দু-বার কথা হয়। প্রথম বার, তাঁর জীবনের কথা, রাজনীতির কথা। দ্বিতীয় বার, কথা হয় তাঁর কাজ নিয়ে, তার মধ্যে অনেকটা জুড়ে ছিল করণকৌশল নিয়ে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা।
সোমনাথ হোরের জন্মের একশো বছরে অগ্রজ শিল্পীর সঙ্গে অনুজের এই আলাপচারিতা নানা কারণেই মূল্যবান। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক কিছু ছবিপত্তর।
প্রথম সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা
শুভেন্দু দাশগুপ্ত গ্রন্থিত
গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কার্টুনে হিন্দুত্ববাদ
হিন্দুত্ববাদের সামাজিক কাঠামোয় নানান ধর্মীয় অনুশাসন, নানা বিধান, আচার-আচরণ, নিষেধের বেড়াজাল। হিন্দত্ববাদের রাজনৈতিক কাঠামোয় দেশপ্রেম, যা আসলে প্রশ্নহীন আনুগত্যের রকমফের। আমাদের দেশে এখন সেই হিন্দুত্ববাদীদের দাপট। তারাই এখন কেন্দ্রীয় শাসনে, ক্ষমতায়। সেই সূত্রেই আসছে নানান ফতোয়া, আনুগত্য প্রকাশের চাপ। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হচ্ছে। নানা রূপে, নানা ধরনে। একটা ধরন হল কার্টুন। আর সেখানেই পাওয়া গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাঁর আঁকা কার্টুনের বিষয়ে আর এখনকার বিষয়ে দেখা যাচ্ছে আশ্চর্য মিল। একশো বছর আগেও যা সত্যি ছিল, দেখা যাচ্ছে এখনও তার কোন বদল ঘটেনি। দু-ভাগে সাজানো এই বইয়ে সংকলিত কার্টুনে পাঠকের তা খুঁজে নিতে অসুবিধে হবে না কোন।
নতুন মুদ্রণে ৮টি কালার প্লেট যুক্ত হল। বইপত্তর-এর বই।
মীরা মুখোপাধ্যায়
বিশ্বকর্মার সন্ধানে
শিল্পকর্ম আর কারুকর্মের মধ্যে তৈরি-করা কোন রকম বিভেদ মানতেন না তিনি, এই বইয়ের লেখক, এ দেশের অন্যতম প্রধান ভাস্কর মীরা মুখোপাধ্যায়। সে কারণেই এক দীর্ঘ সময়কাল জুড়ে তিনি গভীর জিজ্ঞাসা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বিশ্বকর্মার সন্ধানে। বিশ্বকর্মা, যিনি বিশ্বের সকল কর্মের দেবতা। ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিষয়বস্তুকে কোন ইতিহাসে পাইনি, যা পেয়েছি তা অস্পষ্ট এবং অলীক হিসেবে পুরাণ, মহাভারতে বিরাজ করেছে। যখন মুখে-মুখে ঘুরে-ঘুরে বিশ্বকর্মাদের কাছ থেকে কিছু-কিছু জেনেছি, তখন বুঝতে পেরেছি অতি গভীর তার মূল, প্রায় আমাদের জানিত সভ্যতার শুরু থেকেই এর সূচনা।’ এই বইয়ে তাই বাস্তবের সঙ্গে কল্পকাহিনী, ইতিহাসের সঙ্গে পুরাণ, সমকালের সঙ্গে লোককথা এমন ভাবে মিশে আছে যে ভ্রম হয় কোনটা প্রকৃত বাস্তব, আর কোনটাই বা আসল ইতিহাস। প্রকৃতপক্ষে মীরা মুখোপাধ্যায়ের জীবনব্যাপী জিজ্ঞাসা ও গবেষণার ফসল এ বই।
প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ১২৮ পৃষ্ঠা
আপনাকে বলছি স্যার
বারবিয়ানা স্কুল থেকে
ভূমিকা ও ভাষান্তর : সলিল বিশ্বাস
ইতালির টাসকানি প্রদেশে মুজেল্লো অঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় গোটা-কুড়ি খামার নিয়ে গঠিত একটি জনবসতি— বারবিয়ানা। জায়গাটা রুক্ষ অথচ সুন্দর। ছোট্ট একটি গির্জা আছে এখানে। ১৯৫৪ সালে পাদ্রি দন লোরেনজো মিলানি আসেন গির্জাটির ভারপ্রাপ্ত হয়ে। বারবিয়ানাতে এসে লোরেনজো মিলানি দেখলেন এ অঞ্চলের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জগৎ বলতে প্রায় কিছুই নেই। বেশির ভাগ ছেলেমেয়েই হয় পরীক্ষায় ফেল করে স্কুল ছেড়ে দিয়েছে, অথবা যেভাবে স্কুলে শিক্ষাদান করা হয় সে বিষয়ে তাদের তিক্ততার শেষ নেই। মিলানি জড়ো করলেন দশটি ছেলেকে— এগারো থেকে তেরো বছর তাদের বয়স। তাদের দৈনন্দিন জীবনের বাস্তব সমস্যাবলি নিয়ে অনুশীলন আর সে-সব সমস্যার ভিতরে ঢোকার চেষ্টায় কাটত অনেকটা সময়। এই কাজের মধ্য দিয়ে এক বছর সময় ধরে বিশেষ একটা পরিকল্পনার রূপায়ণ হিসাবে এই স্কুলের আট জন ছাত্র ‘আপনাকে বলছি স্যার’ (Letter to a Teacher) বইটি লিখেছিল।
দরিদ্র, গ্রাম্য স্কুলের ছেলেদের লেখা এই বই ‘আপনাকে বলছি স্যার’ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন মানুষের জীবনে আশ্চর্য পরিবর্তন এনে দিয়েছে। প্রায় সব দেশের শিক্ষাব্যবস্থার বিত্ততোষণ আর মধ্যবিত্ত মানসিকতা সৃষ্টির প্রক্রিয়ার উপর এই বইয়ের সরাসরি আক্রমণই দেশে-দেশে এই বইয়ের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ। এই বইয়ের ‘আমি’ আটজন তরুণ লেখকের সম্মিলিত ব্যক্তিত্ব, আর ‘আপনি’ হলেন তাদের পরিচিত সকল শিক্ষক।
ভিনসেন্ট ভান গখ – পল গগ্যাঁ
দুই শিল্পীর চিঠি : পারস্পরিক পারম্পরিক
পল গগ্যাঁ ও ভিনসেন্ট ভান গখ-এর প্রথম দেখা হয় প্যারিসে, ১৮৮৭ সালের শেষদিকে। প্রাথমিক পরিচয়ের পরের পর্যায় শুরু হয় পরস্পরের ছবি বিনিময় দিয়ে, আর সেই সূত্রেই শুরু হয় চিঠির আদানপ্রদান। ঘটনাবহুল তাঁদের বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব মাত্রই দু-আড়াই বছর, কিন্তু উভয়ের কাছেই এই সময়পর্ব গুরুত্বপূর্ণ। এর শেষ হয় গখ-এর স্বেচ্ছামৃত্যুতে, আর তার কয়েক মাস পরেই গগ্যাঁ তাঁর জীবনের ও শিল্পদর্শনের শেষ গন্তব্য তাহিতি-র উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
এক অর্থে এই চিঠিগুলি পাশ্চাত্যের শিল্প-ইতিহাসের এক বিশেষ পর্বের প্রাথমিক দলিলও। দুর্ভাগ্যবশত, দুনিয়া জুড়েই মানুষ শিল্প নিয়ে নানা গালগল্পে অভ্যস্ত। এই চিঠিগুলি হতে পারে তার পালটা এবং প্রকৃত বয়ান। শিল্পীদের নিজেদের বয়ানেই তাঁদের দৈনন্দিন জীবন, কাজ ও ভাবনার কথা জানা সব সময়েই ভালো। বিস্ময়কর যে শরীর-স্বাস্থ্যের সাংঘাতিক অবস্থা এবং চিরদারিদ্র্যের মধ্যেও এই দু-জন শুধু ছবিই আঁকেননি, সেই সঙ্গে তাঁদের প্রতিদিনের জীবন ও ভাবনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশদে বর্ণনা করে গেছেন। একদিক থেকে এই সব চিঠি হল তাঁদের শিল্পভাবনার তাত্ত্বিক দলিল, তাঁদের শিল্প-ইস্তাহারও।
উপস্থাপনার দিক থেকে এ বই একেবারেই পরীক্ষামূলক, গোটা বইটি মুখবন্ধ খামের মতো, সচিত্র গোটা বইটি তার মধ্যে বুনে দেওয়া, খাম খুলে চিঠি পড়ার মতোই এ বই পড়তে হবে। নিঃসন্দেহে, কোন বই এর আগে ঠিক এ ভাবে এই ভূখণ্ডে প্রকাশিত হয়নি।
নোকতা (বাংলাদেশ)-এর বই। প্রথম সংস্করণ
শুভেন্দু দাশগুপ্তের গ্রন্থনা
বাংলা কার্টুনে ভোট
ভোট গম্ভীর ব্যাপার। ভোট মজার ব্যাপার। ঠাট্টা-তামাশারও ব্যাপার। ভোটের বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ। কথায়, প্রতি দিনের প্রতি জনের কথায়। আঁকায়, ব্যঙ্গচিত্রীদের আঁকায়। সেই কবে থেকে ভোট নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র। যবে থেকে ব্যঙ্গচিত্র ছাপা হচ্ছে বাংলা পত্রিকায়। ১৮৭৪ সাল, প্রথম ‘বসন্তক’ পত্রিকায়। ভোট নিয়ে, ভোটের বিষয় নিয়ে সাধারণ লোকের ঠাট্টা মশকরা তামাশা বিদ্রূপ ব্যঙ্গচিত্রীর আঁকায়, কথায়। হালকা চালে, সমালোচনায়। যেমন হয় কার্টুনে। বাইরে থেকে দেখলে এক রকম, ভিতরে ঢুকলে আর এক রকম, অন্য রকম। প্রায় ৫২টি এমন ভোটের কার্টুন নিয়ে তৈরি এই বই, সঙ্গে প্রয়োজনীয় তথ্যবিবরণী।
সুহৃদকুমার ভৌমিক
ঝাড়খণ্ডে মহাপ্রভু
ঝাড়খণ্ড নামটি নূতন নয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর সময়ে এই অঞ্চল এই নামেই পরিচিত ছিল। ২৩শ জৈন তীর্থঙ্কর পাশ্বর্ণনাথ পাহাড়ে নির্বাণ লাভ করেন। ২৪শ জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর বা বর্ধমানস্বামী জৈন ধর্ম প্রচারকল্পে শিষ্যবৃন্দ-সহ বারো বছর ‘লাড়া’ বা ‘রাঢ়’ভূমিতে ভ্রমণ করেছিলেন। ৫৪৭-সংখ্যক বিশ্বম্ভর জাতকের কাহিনী অনুসারে ভগবান বুদ্ধ পূর্বজন্মে বঙ্কুগিরি পাহাড়ে তপস্যারত অবস্থায় মারা যান। বঙ্কুগিরি বর্তমান বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়। বুদ্ধদেব বোধিলাভের পর এই পাহাড়ে এসেছিলেন। জনশ্রুতি যে রাঁচি জিলার নির্জন জনহা জলপ্রপাতের এক গুহায় গৌতম বুদ্ধ কিছুদিন তপস্যা করেছিলেন। ভগবান বুদ্ধের বহু কাল পরে শ্রীচৈতন্যও তাঁর ধর্মপ্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে রাঢ়ভূমি তথা ঝাড়খণ্ডকে গ্রহণ করেছিলেন। কেন মহাপ্রভু অবহেলিত আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে প্রেমধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন, কী তার পটভূমি আর তাঁর প্রভাবই বা কত স্থায়ী হয়েছিল– তারই ঐতিহাসিক ও তুলনামূলক আলোচনা এই গ্রন্থের বিষয়।
শ্রীগিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ
বঙ্গে দুর্গোৎসব
১৩৩৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত এই পুস্তকের নিবেদন অংশে গিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ লিখেছিলেন, “বাঙ্গালী পাঠকপাঠিকাগণ ইহা পাঠ করিয়া দুর্গাপূজা–রহস্য ও বাঙ্গালীর পুরাতন অবস্থা কিয়ৎপরিমাণে পরিজ্ঞাত হইলেও স্বকীয় পরিশ্রম… সফল মনে করিব।”
গিরিশচন্দ্রের জন্ম ময়মনসিংহে। অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহীর রানি হেমন্তকুমারী সংস্কৃত কলেজে। রাজশাহীর বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। এই পুস্তকে তিনি মহিষাসুরের জন্মবৃত্তান্ত, কাত্যায়নী নাম-নিরুক্তি, মহিষাসুরের স্বপ্নবৃত্তান্ত, ব্রহ্মশাপবৃত্তান্ত, দেবীর বর্ণ, মৃন্ময়ী মূর্ত্তিতে দুর্গাপূজা, বিসর্জ্জন, দেবীপুরাণ ও কালিকাপুরাণ, দুর্গোৎসবের কাল, নবদুর্গা, পদ্ধতিবিবরণ, দুর্গারহস্য ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ : কৌলীন্যমার্গ রহস্য, সরস্বতী তন্ত্র, প্রাচীন শিল্প পরিচয়। সম্পাদনা করেছেন : পুরুষোত্তম ভাষাবৃত্তি, তারাতন্ত্র, কুলচূড়ামণিতন্ত্র ইত্যাদি। ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নানা প্রবন্ধ।
প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা
সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত
এই বইটা চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা প্রথমে পিপল’স ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপল’স এজ-এ ছবি আঁকছেন। প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটা সেই সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে।
চিত্তপ্রসাদ ছবিকে, চিত্রশিল্পকে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিকতা, রাজনীতিক আন্দোলন, রাজনীতিক প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। চিত্তপ্রসাদের ছবি রাজনৈতিক। এবং এই প্রত্যেকটি ছবি ও লেখার একটা রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পটভূমি রয়েছে। তার যতটা সম্ভব, এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ছবিগুলির কয়েকটি নানা বইতে রয়েছে। বেশির ভাগই নেই। সেদিক থেকে ভাবলে বেশির ভাগ পাঠক এই সব ছবি এই প্রথম দেখবেন।
কমিউনিস্ট পার্টির কাগজে ছাপা লেখাগুলি তো কমিউনিস্ট ভাবনার ইতিহাস— কখন, কোন্ সময়ে, কী বিষয়ে, কেন, কমিউনিস্ট পার্টি এমন ভেবেছে, লিখেছে, জানিয়েছে। লেখার পাশে ছবিও ইতিহাস আঁকে। ইতিহাস ব্যাখ্যা করে অন্য এক ভাষায়, অন্য এক ধরনে। চিত্তপ্রসাদ ছবি এঁকে সেই ইতিহাসের কোথাও সহকারী, কোথাও স্বাধীন রচয়িতা। সেই ইতিহাস চিত্তপ্রসাদ যেভাবে দেখেছেন, অনুভবে, ব্যাখ্যায়, পার্টির রাজনীতিক ধারণায়, নিজের রাজনীতিকতায়, শিল্পীসত্তায়, তা-ই এঁকে রেখেছেন পত্রিকার পাতায়, যা এখন ইতিহাসের মহাফেজখানায়।
এ-ও এক ধরনের চিত্রপ্রদর্শনী। বিষয় যে-ভাবে আছে সে-ভাবে নয়, যে-ভাবে বিষয়কে দেখাতে চাওয়া, সে-ভাবে আঁকা। বাস্তবে যে-ভাবে এল, আছে, আসছে, আসবে, শুধু সে-ভাবেই নয়, বাস্তব যেমন হওয়াতে চায় শিল্পী সেই ভাবে।
বইপত্তর (পশ্চিমবঙ্গ) ও নোকতা (বাংলাদেশ) যৌথ প্রকাশনা
AMRIT GANGAR
cinema. culture. capital context: india
This book examines and reflects upon a wide range of issues relating to Indian cinema, including the filmosophical ones that have never been touched upon before. The book will appeal to students and scholars of film and cultural studies as well as the general reader interested in reflecting upon the Indian cinema differently.
শুভেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত
বাংলা পোস্টার : দুই বাংলার লেখা ও ছবি
পোস্টারকে শিল্পকলার ইতিহাস সেভাবে জায়গা দেয়নি, দেয় না। তাই ‘দলিত’ পোস্টারকে ‘ব্রাহ্মণত্ববাদী প্রতিষ্ঠানিকতা’র বাইরে জায়গা খুঁজে নিতে হয়। রাজ-নীতিক আন্দোলনে, প্রতিবাদে, মিছিলে, ঘোষণায়, যাত্রায়, সার্কাসে, জলশায়, ছোট অনুষ্ঠানের প্রচারে, ছোট সংস্থার শিল্পনির্মাণে, এমন-এমন সব বিষয়ে। তাই বাংলা পোস্টার নিয়ে বাংলায় বই লেখা হয় না, হয়নি, প্রবন্ধ হাতে-গোনা।
পোস্টার এক যৌথ শিল্প। অংকনশিল্পী, অক্ষরশিল্পী, বিন্যাসশিল্পী, মুদ্রণশিল্পী— এঁদের সমবেত সৃষ্টি। মুদ্রণশিল্পের ইতিহাসের সাথে পোস্টারশিল্পের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। পোস্টার-শিল্পের ইতিহাস পড়লে মুদ্রণশিল্পের ইতিহাস পড়া হয়ে যাবে। একই ভাবে সময়কাল সাজিয়ে রাজনৈতিক পোস্টার পড়লে রাজনীতির ইতিহাস পড়া হয়ে যায়। এ ভাবেই কোন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস চর্চার অন্যতম উপাদান সাংস্কৃতিক পোস্টার, সামাজিক বিষয়ের পোস্টার। এ ভাবেই চলে আসে পোস্টার থেকে পড়ে নেওয়া ছবির ইতিহাস, দেখানো ছবির ইতিহাস, বাক্যের ইতিহাস, লেখা কথা শব্দ শ্লোগানের ইতিহাস।
সব মিলিয়ে পোস্টার ইতিহাসের এক জরুরি উপাদান। বাংলা পোস্টার নিয়ে এই সংকলনে দর্শক ও পাঠক তার খানিক আন্দাজ পাবেন বলেই আমাদের ধারণা।
সুহৃদকুমার ভৌমিক
আর্য রহস্য
আর্য মানে যে কৃষক, স্থায়ী গৃহস্থ, সে-সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। আর ঋগ্বেদের বিরাট অংশ হল চাষবাস বিষয়ক মন্ত্র। তাই য়ুরোপীয় কোন-কোন পণ্ডিত ঠাট্টা করে বলতেন, ঋগ্বেদ হল চাষার গান। এই উক্তিতে আমাদের অনেক পণ্ডিতের মনে কষ্টও হয়েছে। “বেদের বহু স্তোত্রে চাষের কথা আছে। ভূমি সুজলা সুফলা হয়, তাহার জন্য দেবতাদের নিকট অনেক প্রার্থনাও আছে। সুতরাং তাহাদের সিদ্ধান্ত হইল, বৈদিক স্তোত্রকারগণের যে সমাজ তাহা সভ্যতার আদিম বা চাষের স্তরে মাত্র উঠিয়াছিল। তাঁহারা মন্তব্য করিলেন, বৈদিক মন্ত্র সব চাষার গান।” কথাটা কিন্তু অমূলক নয়। কারণ শব্দবিচার করে আমরা জানতে পারব— আর্য শব্দের মৌলিক অর্থই হল কৃষক।
আজকের দিনে অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী পণ্ডিতই বলছেন, তামাম পৃথিবীতে যে-সমস্ত সংস্কৃত শব্দের অপব্যাখ্যা হয়েছে, তার মধ্যে ‘আর্য’ শব্দটি বোধ হয় সবচেয়ে অভাগা। এর পেছনে কাজ করেছে পাশ্চাত্যের গূঢ় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী বাসনা। সংস্কৃতিতত্ত্ব আর ভাষাতত্ত্বের সূত্রে আর্য জাতি সম্পর্কে প্রকৃত সত্যের উদ্ঘাটনই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। সব অর্থেই এ বই বিস্ফোরক বই, প্রচলিত ধ্যানধারণা নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা
আমার কথা
আত্মজীবনকথার সংকলন
‘মাসিক বসুমতী’র পাতায় একসময়ে ‘আমার কথা’ শিরোনামে এদেশের শীর্ষস্থানীয় সব সঙ্গীত-ব্যক্তিত্বের আত্মজীবনকথা প্রকাশিত হত। কখনও তা সাক্ষাৎকারের ঢঙে, কখনও বা বর্ণনামূলক গদ্যে। স্বাক্ষরিত রচনা নয় কোনটাই। ফলে বোঝা যায়, নানা সময়ে এসব লেখা নানা জনে লিখেছেন।
প্রায় বছর-ষাটেক আগে প্রকাশিত এসব লেখা সঙ্গীত বিষয়ে আগ্রহী পাঠকের এখনও হয়তো কোন উপকারে লাগতে পারে। সে-কথা ভেবেই নির্বাচিত কয়েকটি লেখা নিয়ে এই সংকলন। প্রতিটি লেখার শেষে প্রকাশকাল দেওয়া আছে, আর লেখাগুলি সাজানো হয়েছে গুণী এই সব সঙ্গীতজ্ঞের জন্মসাল অনুযায়ী।
যাঁদের কথা আছে :
ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ।। গোপেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায় ।। উদয়শঙ্কর ।। রাইচাঁদ বড়াল ।। তিমিরবরণ ভট্টাচার্য ।। কৃষ্ণচন্দ্র দে ।। পঙ্কজকুমার মল্লিক ।। ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায় ।। হীরেন্দ্রকুমার গঙ্গোপাধ্যায় ।। ওস্তাদ মুস্তাক আলি খাঁ ।। রাধারাণী দেবী ।। দক্ষিণামোহন ঠাকুর ।। রাধিকামোহন মৈত্র
অমিয়া সেন
পুনর্বাসন ও অন্যান্য কাহিনি
আনুমানিক ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে অবিভক্ত বাংলার বরিশালে অমিয়া সেনের জন্ম। তাঁর প্রথম উপন্যাস ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হয়েছিল দেশ পত্রিকায়। এ ছাড়া তাঁর নানা গল্প, কবিতা, উপন্যাস ও প্রবন্ধ পূর্ব্বাশা, প্রবর্ত্তক, অঙ্গনা, জয়শ্রী, কম্পাস, বঙ্গলক্ষ্মী, মাসিক দিগন্ত, লোকসেবক, মাসিক বসুমতী ইত্যাদি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে।
একজন ভুক্তভোগী, সামাজিক পর্যবেক্ষক ও অনানুষ্ঠানিক ইতিহাসকার হিসেবে দেশভাগের ঘটনা রয়েছে তাঁর চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই সংকলনের তেরোটি গল্পের মধ্যে সাতটিই কোন-না-কোন ভাবে ওই দুর্ভাগ্যজনক ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এর সমান্তরালে, দিল্লিতে তাঁর জীবনের কথা, শুধুমাত্র একজন প্রবাসী বাঙালি হিসেবে নয়, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে একজন দিল্লিওয়ালা হিসেবেও, তাঁর লেখায় রয়েছে। এই সংকলনের বেশ কয়েকটি গল্প ভারতের রাজধানীকে প্রবাসী বাঙালির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ করে দেবে।
১৯৯০ সালে লেখিকার মৃত্যুর পর তাঁর অগ্রন্থিত গল্পের এই সংকলন পাঠককে বাংলা সাহিত্যের একজন শক্তিশালী লেখকের কথা মনে করিয়ে দেবে।
সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
ফ্যাসিজম
সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই বই বাংলা ভাষায় লিখিত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত প্রথম ফ্যাসিবিরোধী বই। ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হলেও এর প্রস্তুতি চলেছিল ইতালিতে সৌম্যেন্দ্রনাথের বসবাসকালে। সোভিয়েত রাশিয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক কাজকর্মের মূল কেন্দ্র ছিল জার্মানি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ইতালির আল্পস ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্যানাটরিয়ামে চিকিৎসার জন্য আসেন ১৯৩১ সালের শেষার্ধে। ইতালিতে তখন ঘোর ফ্যাসিস্ট যুগ। ফ্যাসিস্ট তত্ত্ব ও প্রয়োগের অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হয়ে তার ফাঁকির দিকটা বুঝে নিতে তাঁর দেরি হয়নি।
মার্কসবাদী দৃষ্টিতে নিটোল যুক্তিতে ফ্যাসিস্ট তত্ত্বকে খণ্ডন করার সূত্রে এ বই আজ ঐতিহাসিক দলিল।
আমাদের দুর্ভাগ্য যে এ বইয়ের পুনঃপ্রকাশ ও পুনঃপাঠ বারে-বারেই জরুরি হয়ে পড়ে।
পাউলো ফ্রেইরি
মুক্তির জন্য সাংস্কৃতিক প্রয়াস
পাউলো ফ্রেইরি-র শিক্ষাচিন্তার মূল কথা হল— প্রতিটি মানুষ এক-একটি স্বতন্ত্র স্বাধীন সত্তা, যিনি পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে পারেন এবং নতুন করে গড়তে পারেন। মানুষের চেতনা রূপ পায় আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি আর মানুষটির নিজস্ব পারিপার্শ্বিকের প্রভাবে। তত্ত্ব-কর্ম-সমন্বয়ী বিশ্লেষণী চেতনা মানুষকে ভাবনা থেকে কাজে অগ্রসর হতে শেখায়। শোষকের আরোপিত নৈঃশব্দ্যের সংস্কৃতি নিপীড়ন জারি রাখতে সাহায্য করে এবং মিথ্যা কিছু ভাবনার মধ্যে মানুষকে আটকে রাখে। জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যই হল শিক্ষার্থীর (সেই সঙ্গে শিক্ষকেরও) তত্ত্ব-কর্ম-সমন্বয়ী বিশ্লেষণী চেতনায়নের মাধ্যমে বাস্তব জীবনে মুক্তি অর্জনের পথ করে নেওয়া ।
পাউলো ফ্রেইরি-কে নিয়ে বিশ্লেষণমূলক কাজ এখানে বিশেষ হয়নি। তাঁর শিক্ষাতত্ত্বের প্রয়োগও খুব বিস্তারিত ও সংগঠিত ভাবে হয়নি। বিদ্যায়তনের অন্দরে বসে গবেষণা যথেষ্ট নয়। তাঁকে নিয়ে কোন অর্থপূর্ণ কাজ করতে গেলে দেওয়ালের বাইরে না এলে চলবে না। তা না হলে মূল ব্যাপারটাই থেকে যাবে অধরা। সমস্যা হল, প্রথাবহির্ভূত শিক্ষাও এদেশে প্রাতিষ্ঠানিক হয়ে পড়ে। দরকার চিন্তাভাবনাকে বাক্সের বাইরে নিয়ে আসা, জানলা দিয়ে বাইরে তাকানো। ‘শিক্ষাব্যবস্থা’ নামক জড়দ্গবটিকে ভাঙতে হলে, ফ্রেইরি-র শিক্ষাচিন্তা অধ্যয়ন করা তাই খুবই জরুরি। তাঁর সব বই-ই পড়া উচিত, কিন্তু প্রথমে পড়া উচিত ‘কালচারাল অ্যাকশন ফর ফ্রিডম’।
বাঙালি পাঠকের কাছে পাউলো ফ্রেইরি-কে একেবারে গোড়া থেকে পৌঁছে দেওয়ার জন্যই এই বইয়ের পরিকল্পনা। বাংলা ভাষায় ফ্রেইরি-র লেখা সাবলীল ভাবে পৌঁছে দেওয়ার মূল কাজটি করেছেন সবিতা বিশ্বাস এবং এ বই সম্পাদনা করেছেন সলিল বিশ্বাস, দু-জনেই প্রথাবহির্ভূত শিক্ষার কাজে দীর্ঘ অভিজ্ঞতাসম্পন্ন।
প্রথম সংস্করণ, নতুন মুদ্রণ, ১১০ পৃষ্ঠা
ভোলানাথ ভট্টাচার্য
পট ও পটুয়া-কথা এবং অন্যান্য কথামালা
‘পট’ শব্দের উৎস, তার ইতিহাস; পটের প্রকরণ ও পরিবর্তনের ধারা; অনুরূপ শিল্পনমুনার সঙ্গে তার সাযুজ্য ও সম্পর্ক; পটচিত্রকর বা পটুয়াশিল্পীর পরিচয় এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় বিষয় নিয়ে এই বইয়ের নাম-প্রবন্ধটির তুল্য সার্বিক আলোচনা বাংলাভাষায় আর নেই। সেই সঙ্গে এই বইয়ে বিশদে রয়েছে কালীঘাট পটের কথা, রয়েছে মৃৎশিল্পের খণ্ডচিত্র ও কুমারটুলির কথা। আছে লিপি ও লিখনশিল্প এবং দেহাঙ্গচিত্রণের কথা। প্রবীণ লেখক ও গবেষকের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের সংকলন।
পরিবর্ধিত ও সচিত্র দ্বিতীয় সংস্করণ
THE ONLINE ART SHOP
www.boipattor.in
‘বইপত্তর’-এর ওয়েবসাইটে এবার চলে এল ‘ছবিপত্তর’-ও। ছবিপত্তর মানে একেবারে অরিজিনাল হাতে-আঁকা ছবি, আর ছবির প্রিন্ট, পোস্টার, আর সেই সঙ্গে সেরামিকস ও টেরাকোটার অরিজিনাল হাতে-গড়া মূর্তি বা ভাস্কর্য।
অর্থাৎ এবার ‘বইপত্তর’-এর সাইট থেকেই অনলাইনে এই সব ছবি এবং ভাস্কর্যও কেনা যাবে, এবং অনতিবিলম্বে তা সরকারি ডাকব্যবস্থার মাধ্যমে আপনার বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবে। এ বিষয়ে আরও জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্ক-এ : https://www.boipattor.in/about/
এ সবের দামও থাকছে একেবারে সাধ্যের মধ্যে, ফলে ইচ্ছে করলেই নিজের চারপাশটা এবার আপনি একটু অন্যরকম, একটু সুদৃশ্য, একটু মনোরম করে তুলতে পারেন।
দেখুন এখনও পর্যন্ত আমরা আপনার জন্য কী-কী হাজির করতে পেরেছি। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, বলা বাহুল্য যে এই সংগ্রহ ক্রমে বাড়বে, নিয়মিত এখানে নতুন-নতুন কাজ যুক্ত হবে। ফলে মাঝে-মাঝেই আপনাকে সাইটটা একটু কষ্ট করে খুলে দেখতে হবে, এবং তার জন্য নিজের মোবাইলে বইপত্তর-এর অ্যাপ-টা ইনস্টল করে নেওয়া ভালো এই লিঙ্ক থেকে : https://play.google.com/store/apps/details?id=com.os.boipattor.
Owl 03
medium: terracotta
recent work by alakananda sengupta
size: 6 cm x 8 cm x 13 cm
Owl 02
medium: terracotta
recent work by alakananda sengupta
size: 6 cm x 6 cm x 14 cm
Owl 01
medium: terracotta
recent work by alakananda sengupta
size: 8 cm x 6 cm x 14 cm
Sandipan Bhattacharya
Untitled 5
Status : SOLD
Original Painting,
acrylic and water colour on handmade paper
23 cm X 12.5 cm
Sandipan Bhattacharya
Untitled 4
Original Painting,
acrylic and water colour on handmade paper
17.5 cm X 19 cm
free shipping
Sandipan Bhattacharya
Untitled 3
Status : SOLD
Original Painting,
acrylic and water colour on handmade paper
17.5 cm X 18 cm
Sandipan Bhattacharya
Untitled 2
Original Painting,
acrylic and water colour on handmade paper
17.5 cm X 18 cm
free shipping
Sandipan Bhattacharya
Untitled 1
Original Painting,
acrylic and water colour on handmade paper
17.5 cm X 17.5 cm
free shipping
Subhendu Dasgupta
Untitled 5
Original Painting,
Water colour on paper
24.5 cm X 22 cm
free shipping
Subhendu Dasgupta
Untitled 4
Status : SOLD
Original Painting,
Water colour on paper
25 cm X 22 cm
Subhendu Dasgupta
Untitled 3
Original Painting,
Water colour on paper
30 cm X 23 cm
free shipping
Subhendu Dasgupta
Untitled 2
Original Painting,
Water colour on paper
21 cm X 17.5 cm
free shipping
Introducing THE ONLINE ART SHOP www.boipattor.in ‘বইপত্তর’-এর ওয়েবসাইটে এবার চলে এল ‘ছবিপত্তর’-ও। ছবিপত্তর মানে একেবারে অরিজিনাল হাতে-আঁকা ছবি, আর ছবির … Read more
এই প্রবন্ধের প্রধান উদ্দেশ্য হল ভারতের প্রাচীনতম নরগোষ্ঠী কোল বা অস্ট্রো-এশিয়াটিক জাতির যে-সমস্ত জীবন্ত ভাষা রয়েছে, যেমন সাঁওতাল, মুণ্ডা, হো … Read more
সিন্ধু সভ্যতার উৎখনন করে প্রত্নভারতের শিল্পবস্তু যে পাওয়া গিয়েছে রবীন্দ্রনাথ সে বিষয়ে অবহিত ছিলেন। মহেঞ্জোদড়োর উল্লেখ আছে তাঁর কবিতায়। … Read more
আমাদের দেশের এখনকার এই সরকার হঠাৎ বাছতে শুরু করল কে ‘দেশবাসী’, আর কে নয়। কেন? এখনকার এই ভারত সরকার ঠিক … Read more
ভাষা আমরা একমাত্র লোকের মুখে শিখিনে, বই পড়েই শিখি। কৃষ্ণনগরে বাস-কালে আমি কী-কী বই পড়েছিলুম, তা বলছি। আমি ছাত্রবৃত্তি স্কুলে … Read more