Monishar Pathorer Bon
₹ 120.00
In Stockনাইজেল হিউজ
মনীষার পাথরের বন
মানুষ আবির্ভূত হওয়ার আগেও বাংলার একটা অতীত ছিল। প্রকৃতিকে জানার মাধ্যমে সেই অতীতকে কি জানা-বোঝা সম্ভব? মনীষা নামে ছোট্ট একটি মেয়ে তার সন্ধানী চোখ দিয়ে প্রকৃতিকে দেখেছে, কৌতূহলী মন নিয়ে তার তাৎপর্য বুঝতে চেয়েছে। এ বইয়ে গাছপাথরের জীবন্ত বনে তার রোমাঞ্চকর অভিযানের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ বছর আগে বাংলার বীরভূম জেলার অতীত মূর্ত হয়ে উঠেছে। বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী করে সচিত্র এ বই লিখেছেন নাইজেল হিউজ, ভূবিদ্যারই অধ্যাপক তিনি। ছবি : রতি বসু।
Description
নাইজেল হিউজ
মনীষার পাথরের বন
মানুষ আবির্ভূত হওয়ার আগেও বাংলার একটা অতীত ছিল। প্রকৃতিকে জানার মাধ্যমে সেই অতীতকে কি জানা-বোঝা সম্ভব? মনীষা নামে ছোট্ট একটি মেয়ে তার সন্ধানী চোখ দিয়ে প্রকৃতিকে দেখেছে, কৌতূহলী মন নিয়ে তার তাৎপর্য বুঝতে চেয়েছে। এ বইয়ে গাছপাথরের জীবন্ত বনে তার রোমাঞ্চকর অভিযানের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ বছর আগে বাংলার বীরভূম জেলার অতীত মূর্ত হয়ে উঠেছে। বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী করে সচিত্র এ বই লিখেছেন নাইজেল হিউজ, ভূবিদ্যারই অধ্যাপক তিনি। ছবি : রতি বসু।
প্রথম সংস্করণ, ১০৪ পৃষ্ঠা
You must be logged in to post a review.
Related products
-
মাঝি রামদাস টুডু রেস্কা
খেরওয়াল বংশা ধরম পুথি বা সাঁওতাল জাতির ধর্মপুস্তকমূল বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ বাংলা অনুবাদ : সুহৃদকুমার ভৌমিক
ভারতীয় আদিবাসী সমাজে আত্মানুসন্ধানের ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়। এ দেশের আদিবাসীদের মধ্যে অগ্রণী সাঁওতাল সমাজের যে-কয়জন মহাপুরুষ প্রথম থেকেই তাঁদের ধর্ম-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন হয়েছিলেন, মাঝি রামদাস তাঁদের অন্যতম। তিনি লক্ষ করেছিলেন সাঁওতাল সমাজে তাঁদের ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাহিনী, গাথা ও গান প্রচলিত থাকলেও তা লিখে রাখার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অফুরন্ত এই মৌখিক সাহিত্যের ভাণ্ডার সম্পর্কে লোকের কোন ধারণা নেই। এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রায় বারো বছর তিনি সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন, এবং প্রায় নিজের উদ্যোগে তা প্রকাশ করেন ১৮৯৪ সালে। এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর আন্তরিক আগ্রহে। তিনি স্বয়ং এর একটি ভূমিকাও লিখে দেন। ১৯৫১ সালে প্রকাশিত এই সংস্করণটি অবশ্য মাঝি রামদাস দেখে যেতে পারেননি। পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন-ও এই বইয়ের প্রকাশের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উৎসাহী ছিলেন। মহামূল্যবান এই বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ এটি অনুবাদ করে বাংলাভাষী পাঠকদের হাতে তুলে দিলেন আদিবাসী ভাষা-বিশেষজ্ঞ স্বনামধন্য সুহৃদকুমার ভৌমিক। এই অনুবাদের দায়িত্ব স্বয়ং সুনীতিকুমার-ই তাঁকে একদা দিয়ে গিয়েছিলেন। বলা যায়, এত দিনে সেই আরব্ধ কাজ সম্পন্ন হল।
₹ 450.00 -
শুভেন্দু দাশগুপ্ত
গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কার্টুনে হিন্দু সমাজআমাদের দেশে এখন হিন্দুত্ববাদীদের দাপট। তারা এখন কেন্দ্রীয় সরকারে, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারে, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, সামাজিক সংগঠনে, সাংস্কৃতিক সংস্থায়, ক্ষমতায়।
হিন্দুত্ববাদের সামাজিক ক্ষমতা-কাঠামোয় ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, উঁচু জাত, জাত-ব্যবস্থা। হিন্দুত্ববাদের সাংস্কৃতিক কাঠামোয় নিজ-জাতে বিবাহ, পণপ্রথা। হিন্দুত্ব-বাদের রাজনীতিক কাঠামোয় দেশপ্রেম, যা আসলে হিন্দু দল-শাসিত সরকারের প্রতি, অতএব রাষ্ট্রের প্রতি প্রেম।
হিন্দুত্ববাদের উচ্চারণে শুধুই ‘ভারতমাতা কি জয়’, ‘বন্দেমাতরম’। হিন্দুত্ব-বাদের ঘৃণায় অন্য ধর্ম, প্রতিবেশী দেশ। হিন্দুত্ববাদীদের আক্রোশে, আক্রমণে তাদের প্রতি সমালোচনা ও তাদের পূজিত ব্যক্তিদের সমালোচক এবং তাদের প্রিয় বিষয়ের বিরোধিতা। এমনই এক পরিস্থিতির, এক ভয়ঙ্কর অবস্থার সমালোচনায়, প্রতিরোধে আমাদের পাশে থাকা, পাশে পাওয়া গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের আঁকা, লেখা, কার্টুনকে। সময়কাল বিংশ শতাব্দীর প্রথম ও দ্বিতীয় দশক। গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর হিন্দু, ইংরেজ শাসন-বিরোধী আন্দোলনের শরিক, আধুনিক, সামাজিক আন্দোলনের অংশীদার, সংগঠক, শিল্পস্রষ্টা, কার্টুনচিত্রী।₹ 25.00 -
মার্গারেট র্যান্ডাল
ভাবনা জুড়ে চে
ভূমিকা ও ভাষান্তর : সলিল বিশ্বাসসাম্রাজ্যবাদ আজও তাঁকে দেখে অসীম ভীতি আর অসীম ঘৃণায়। কেননা, যে-স্বাধীনতা আর মানবিকতার তারা চিরশত্রু, তারই পরম মিত্র আর চিরস্থায়ী প্রতীক হলেন চে। তৎকালীন বলিভিয়া সরকার আর সিআইএ তাঁকে খুন করে গোপন কবরে লুকিয়ে ফেলেছিল তাঁর মৃতদেহ। সাম্রাজ্যবাদ এতই সন্ত্রস্ত যে চে-র সব স্মৃতি মুছে ফেলতে চেয়েছে তারা। কিন্তু স্বপ্ন আর দৃষ্টান্তকে যে খুন করা যায় না, তার অমর উদাহরণ স্বয়ং চে।
এই বইয়ের লেখক মার্গারেট র্যান্ডাল নারীবাদী কবি, লেখক, আলোকচিত্রী এবং সমাজ-পরিবর্তনের লড়াইয়ে দীর্ঘদিনের সৈনিক। কিউবা বিপ্লবের দ্বিতীয় দশকে ঐ দেশে তিনি বাস করেছেন। চে-র পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই এই বই লেখা, কিন্তু তা সত্ত্বেও এখানে চে-র নিছক বন্দনা করেননি তিনি, প্রয়োজনে সমালোচনা করেছেন, ভুলত্রুটি নিয়ে মুক্তমনে সমালোচনা করেছেন, করেছেন গভীর আন্তরিকতা আর ভালোবাসার সঙ্গে, বুঝতে চেষ্টা করেছেন চে-র জীবন ও সংগ্রামকে। এ কারণেই এই বইটিকে ভাষান্তরের জন্য বেছে নিয়েছেন বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক সলিল বিশ্বাস। চে-অনুরাগী সকলেরই এ বই অবশ্যপাঠ্য।
₹ 160.00 -
শক্তিনাথ ঝা
বাউল-ফকির ধ্বংস-আন্দোলনের ইতিবৃত্তএই বইয়ের পূর্ববর্তী সংস্করণ ২০০১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। তার বহু আগে থেকেই ধর্মীয় নিপীড়ন নিয়ে নানা লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৯৭ সালে বাউল-ফকিরবিরোধী লেখা এবং তথ্যাদি প্রথম গ্রন্থভুক্ত পায়। নানা সাংবাদিক, প্রতিবেদক এবং অত্যাচারিতদের লেখা সেখানে সংকলিত হয়েছিল। সে গ্রন্থ নিঃশেষিত হওয়ায় তার পুনর্মুদ্রণ চাইছিলেন অনেকে। পরিবর্ধিত এবং পরিমার্জিত বর্তমান সংস্করণের পঞ্চম অধ্যায়ে পরবর্তী কালের ঘটনা ও তথ্য বর্ণিত হয়েছে। বাউল-ফকির সংঘের সক্রিয় সহযোগিতায় রীতিমতো ক্ষেত্রসমীক্ষা এবং তদন্ত করে সত্যাসত্য যাচাইয়ের পরই এখানে নিপীড়নের ঘটনাগুলি তুলে ধরা হয়েছে। অত্যাচারিতের আবেদন এবং ক্ষেত্রসমীক্ষা-লব্ধ তথ্যের সাহায্যে এ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। মধ্যবঙ্গের আঞ্চলিক ইতিহাসের নানা অজানা তথ্য উঠে এসেছে এই বিবরণীতে। ধর্ম-সংস্কৃতির লড়াই সমাজেরই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের অন্য এক নাম। নিপীড়নের এই সমস্ত তথ্যে অত্যাচারিতদের অশ্রুজল আর রক্তের দাগ লেগে আছে।
₹ 350.00 -
শক্তিনাথ ঝা সম্পাদিত
বাউল-ফকির পদাবলি ২বঙ্গদেশের বৈষ্ণব আন্দোলন একক বৃহত্তম এক ধর্মগোষ্ঠী সৃষ্টি করে এক সমৃদ্ধ সাহিত্যের সূচনা করেছিল। বাঙালি কবিরা প্রায় দশ হাজার বৈষ্ণব পদ রচনা করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গের বৈষ্ণব এবং সুফি-পীর নামে চিহ্নিত মানুষজনের এক বৃহদংশ বাউল-ফকির চর্যাচর্য পালন করেন। এই গোষ্ঠীর মহাজনদের লেখা পদের যথাযথ সংকলন হলে দেখা যাবে যে, তাঁদের পদাবলি এবং পদকর্তার সংখ্যা বৈষ্ণব পদ আর পদকর্তাদেরও ছাড়িয়ে যাবে। বঙ্গের এমন কোন জেলা নেই, যেখানে বাউল ও ফকিরি গানের গায়ক ও পদকর্তার সন্ধান মেলে না। বহু বছর ধরে নিঃশব্দে সংগৃহীত এ রকম সহস্রাধিক পদ প্রকাশিত হয়েছে এই দ্বিতীয় খণ্ডে। সঙ্গে সম্পাদকের দীর্ঘ ভূমিকা, পদকর্তাদের পরিচয় ও আলোকচিত্র এবং প্রতিটি গানের শব্দার্থ ও টীকা। এ খণ্ডের বিশেষ আকর্ষণ বাউল-ফকির মহাজনদের নিজ হাতে লেখা খাতা ও পুথির বহু আলোকচিত্র, যার অনেকটাই এই সংকলন গড়ে ওঠার নেপথ্যে রয়েছে।
₹ 675.00 -
মধুপ দে
জঙ্গলমহলের লোকযাত্রাদিনের বেলা যারা মালগুদামে কাজ করে, বা মজুরের কাজ করে ক্ষেতে, কাজ করে রাজমিস্ত্রি বা যোগানদারের, মন্দিরে বলির পাঁঠা কাটে বা কাগজওয়ালা হয়ে কাগজ কিনে ঠোঙা বানায়, সন্ধ্যার পর তারাই রাম-রাবণ বা যুগী, সীতা কিংবা চম্পাবতী সেজে যাত্রাপালার আসর মাতায়। তার চিত্রনাট্য তাৎক্ষণিক, সংলাপও তাৎক্ষণিক। কেবল স্মৃতির ওপর নির্ভর করে ছ’-সাত ঘণ্টা গান গেয়ে, অভিনয় করে তারা মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, আনন্দ দেয়। এই লোকযাত্রা জঙ্গলমহলের মানুষের লোকশিক্ষা, বিনোদন আর জীবনযুদ্ধে শক্তি আহরণের অন্যতম মাধ্যম। দ্বিতীয় পর্বে এই ধরনের দুটি লোকযাত্রা ‘সীতাচুরি’ ও ‘চম্পাবতী’ সুবর্ণরেখা নদীর অববাহিকা অঞ্চল থেকে আসরের ভাষায় সংগ্রহ করে সংকলিত হয়েছে। প্রথম পর্বে সংগৃহীত লোকযাত্রা দুটির সমীক্ষা করা হয়েছে বাংলার লোকনাটক আর লোকযাত্রার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রেক্ষিতে। হারিয়ে যাওয়ার আগে নিরক্ষর মানুষের এই বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সময়সরণিতে প্রতিষ্ঠার জন্যই এই সংকলন।
₹ 300.00
Reviews
There are no reviews yet.