Pitar Janmo Hoy
₹ 70.00
In Stockস্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত
পিতার জন্ম হয়
স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্তর কবিতা লেখা আরম্ভ নতুন শতকের শুরুর দশকে। বর্তমান সময়ের খণ্ডবৈচিত্র্যের ভিতরে তাঁর রচনাকে চেনা যায় ভিন্নতর প্রতিভায়, যাকে বলা যায় বি- কল্পনার রঙ, বলা যেতে পারে শ্বেতাভ প্রত্যয়। রূপকথা হয়ে ওঠা এসব লেখালেখি অমীমাংসিত প্রশ্নের মতো শূন্যতায় ফিরে যেতে চায়, সামান্যকে জানার ইচ্ছে নিয়ে তারা আবার ফিরে আসতে চায় কথার অভ্যন্তরে। যাতায়াতের এই রাস্তা যেন ছোট-ছোট কাগজের কুঁচি দিয়ে গড়ে দেন স্বর্ণেন্দু।
Description
স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত
পিতার জন্ম হয়
স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্তর কবিতা লেখা আরম্ভ নতুন শতকের শুরুর দশকে। বর্তমান সময়ের খণ্ডবৈচিত্র্যের ভিতরে তাঁর রচনাকে চেনা যায় ভিন্নতর প্রতিভায়, যাকে বলা যায় বি-কল্পনার রঙ, বলা যেতে পারে শ্বেতাভ প্রত্যয়। রূপকথা হয়ে ওঠা এসব লেখালেখি অমীমাংসিত প্রশ্নের মতো শূন্যতায় ফিরে যেতে চায়, সামান্যকে জানার ইচ্ছে নিয়ে তারা আবার ফিরে আসতে চায় কথার অভ্যন্তরে। যাতায়াতের এই রাস্তা যেন ছোট-ছোট কাগজের কুচি দিয়ে গড়ে দেন স্বর্ণেন্দু।
প্রথম সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা
You must be logged in to post a review.
Related products
-
বিজয় শংকর বর্মন
আমার আঙুলগুলির অঙ্কুরোদগমবিজয় শংকর বর্মনের জন্ম ১৯৮০ সালে, অসমের নলবাড়ি জেলার রূপীয়াবাথান গ্রামে। বিজয় শংকর কবি, অনুবাদক এবং লোকসংস্কৃতির গবেষক। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মোট দশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের কবিতাগুলি তাঁর তিনটি কাব্যগ্রন্থ ‘দেও’, ‘অশোকাষ্টমী’ এবং ‘বর্ণমুক্তি’ থেকে নির্বাচিত। প্রত্যেক ভাষারই এক স্বকীয় সৌন্দর্য রয়েছে, ভিন্ন কোন ভাষায় তার রূপান্তর সহজ নয়। এই বইয়ের জন্য রূপান্তরের এই দুরূহ কাজটি করেছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী, তিনি এই বইয়ের কবিতাগুলি নির্বাচনও করেছেন। বিজয় শংকরের কবিতা ভারতের প্রায় সমস্ত ভাষায় এবং কয়েকটি বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বাংলা ভাষায় অবশ্য তাঁর কবিতা অনূদিত হল এই প্রথম।
প্রথম সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা
₹ 120.00 -
আরণ্যক টিটো
ফুলেরা পোশাক পরে না‘লেখা’ শব্দটি ক্রিয়া। ক্রিয়া ব্যতীত কোন মানুষ নেই, এমনকী প্রকৃতিজগতে অন্যান্য প্রাণীও। এই ব্রহ্মাণ্ড ক্রিয়াশীল… সচলতা ছাড়া জীবন চলে না! আর এই লেখালিখি, ক্রিয়া, বিষয়টার সাথে, মনের মাজারে নড়নচড়নমনা বাউলটার (নন্দনতাত্ত্বিক) মরমযাতনা আছে! যার মর্মে কানাকানি জানাজানি করে জীবনপ্রকৃতি, তার কাঙ্ক্ষা— প্রাপ্তি ও হতাশার দ্বান্দ্বিক মিথষ্ক্রিয়ায় যে রসটুকু বের হয়ে আসে তারই সার এই লেখা! এই লেখালেখি ‘আড়াই অক্ষরে’ বলা যেতে পারে নিজেকে/প্রকৃতিকে বিনির্মাণ কিংবা প্রকাশ…
আর এই প্রকাশতত্ত্বের পথে (দীর্ঘ ২৪ বৎসরের বাক্যচর্চার সারমর্ম) ‘ফুলেরা পোশাক পরে না’ প্রথম পদক্ষেপ… যেখানে ১৭৮টি কবিতায় (পুরুষবাদিতা কিংবা নারীবাদিতার বিপরীতে) ধরতে চাওয়া হয়েছে এমন এক (নন্দনতাত্ত্বিক) অভিসন্দর্শন— মর্মটুকু এই: শিল্প হলো অর্ধনারীশ্বর যাহার অর্ধেক শিব, অর্ধেক পার্বতী…
এই বইদেশে ভুমিকা না শুনে ভিতরে ঢোকেন… এটুকু কেবলি ইঙ্গিত, এর পাতায় পাতায় ভাঁজে ভাঁজে লুক্কায়িত মর্মকে জানতে পাঠ করুন, নক্শিকথায় বোনা সুতোর কাহন… উদ্যাপনের কথামালা… বাংলাসাহিত্যের অর্ধনারীশ্বরকাণ্ড… বিশ্বদৃষ্টির পরম্পরা… ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যতাবাদী এককের বিপরীতে সমগ্রতার যুক্তাঞ্চল!… যার রচয়িতা মারা গেছে সৃজন বর্ষায়, খুঁজেও পাবেন না তাহাকে জলের বাসরে…
₹ 295.00 -
শক্তিনাথ ঝা
লোকধর্মের বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলিভদ্রলোকের ধারণায় শিষ্ট জীবন হল দেয়ালবন্দি, আচারপ্রধান। আর লোকজীবন হল অনাচার-যথেচ্ছাচারে মুক্ত, স্বাধীন, এক কথায় সহজিয়া। লোকধর্ম অর্থমূল্যে বিকোয় না। কঠোর অনুশীলনে অর্জন করতে হয় ধর্মবোধ। এ বোধ ব্যতিরেকে আত্ম-অনুভবের মহাসুখের স্বাদ মেলে না। সেখানকার পাশপোর্ট সাধনার, শ্রমের মূল্যে কিনতে হয়।
লোকধর্মের সাহিত্যে যৌনতা শব্দটির ব্যবহার প্রায় নেই। দেহে ক্ষুধা, নিদ্রা, বাসনা, মৈথুনের আবেগাদি আছে। আছে দশেন্দ্রিয় ষড়্রিপুর স্বভাব-ধর্মগুলি। এগুলি ভালো বা মন্দ, পাপ বা পুণ্য, কোনটিই নয়। এগুলি সহজাত দেহধর্ম। বৈষ্ণব বাউল-ফকিরেরা কামকে নিষ্কাম প্রেমে পরিণত করতে চায়। এটি তাদের সাধ্য ও সাধনা। তাদের খাদ্য, অশন-বসন, দর্শন একটু আলাদা।
অনিত্য ভুবনে, অনাত্ম দেহে নানা দুঃখ আছে। দেহের ক্ষয়-জরা-রোগকে প্রতিষেধ করতে হয়, মনে শোকতাপকে ছিন্ন করতে হয়, অহং-এর তৃষ্ণাকে শমিত করতে হয়। বাহ্য জগতের ঘটনাবলিকে অনিবার্য বলে মানলে এ ভুবন বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। তখন মানবিক সম্বন্ধের মন্থিত অমৃতকে খুঁজতে হয়। লোকধর্মে কঠোর অনুশীলনে দেহ-মন বদলে আত্মদীপ হতে হয়। এর শতেক পন্থা, অযুত প্রকরণ-পদ্ধতি সাধু-সন্তদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে। সেগুলি বুকে (সিনায়) থাকে, মুখে শোনা যায়। আর কিছু দেখে অনুকরণ করতে হয়।
আরশি-নগরের পাশে এক ঘর, সে ঘরের পড়শিরা কৃপা করে ডেকে নিয়েছিলেন। যারা স্মরণে মরেন না, তাদের কথার কথকতার সূত্রেই এ রচনা। লোকধর্মের জীবনপ্রবাহ থেকে নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুননির্মাণ করে-করে একরকম ইতিহাস রচনার অদক্ষ প্রয়াসও কেউ-কেউ খুঁজে পেতে পারেন এ রচনায়। লৌকিক সাধকেরা ‘অপর নন’। তাঁরা আর-পাঁচজন মানুষেরই মতো। প্রবহমান কাল এবং ঘটনা অনিবার্য ভাবেই তাঁদের উপরে ছায়া ফেলে। প্রতিটি মানুষের মতো এ সাধকেরা প্রত্যেকে বিশিষ্ট, অনন্য। অলৌকিক সাধু নয়, লৌকিক অসাধারণ মানুষেরা এ রচনায় স্থান নিয়েছেন। এগুলি অলৌকিক রহস্যগাথা নয়, রহস্যে বাঁধা জীবনের কথা।
₹ 350.00 -
সুহৃদকুমার ভৌমিক
শব্দ ও বানানশব্দ ও বানান প্রসঙ্গে নামপ্রবন্ধে এ দুটি শব্দের উৎস ও প্রাথমিক অর্থ থেকে লেখক ক্রমে চলে গেছেন ভাষাতত্ত্বের আলোচনায়। এ দেশের বিভিন্ন আদিবাসী ও জনজাতি গোষ্ঠীর ভাষায় তাঁর সহজ যাতায়াত। এরকম বেশ কয়েকটি ভাষার পঠন-পাঠন ও চর্চায় তাঁর ভূমিকা প্রশ্নাতীত। ফলে এ বিষয়ে তাঁর আলোচনা একেবারেই ভিন্ন গোত্রের এবং দিকনির্দেশক। এ বইতে রয়েছে ভাষা ও ভাষাতত্ত্ব সংশ্লিষ্ট এরকম আরও কয়েকটি প্রবন্ধ। যেমন উরাঁউ বা ওরাঁওদের ভাষা নিয়ে একটি প্রবন্ধে ভাষার দিক দিয়ে তিনি তাঁদের শ্রেণিবিভাগ করেছেন। আবার র-প্রত্যয়ের উৎস নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে তিনি অসুর সম্প্রদায়ের কথা বিশদে বলেছেন। বাঙালি ও বঙ্গাব্দের উৎস একটি প্রবন্ধে তিনি যেমন বঙ্গাব্দের উৎস চিহ্নিত করেছেন, তেমনি মেঘদূত-এর ছন্দ নিয়ে আলোচনার সূত্রে এই কাব্যের পরিচিত কয়েকটি শব্দ নিয়ে সংগত প্রশ্ন তুলেছেন। আরেকটি প্রবন্ধে ‘গান্ধী’কে ‘গাঁধী’ লেখার যে কোন যুক্তিই থাকতে পারে না, তা স্পষ্ট করেছেন।
₹ 60.00 -
শুভেন্দু দাশগুপ্ত
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পোস্টার
একটি তত্ত্বরচনার প্রয়াসপোস্টার কাহাকে বলে, পোস্টার কয় প্রকার, পোস্টার কী ভাবে নির্মিত হয়, পোস্টারের উদ্দেশ্য কী-কী, পোস্টারে কী-কী উপাদান থাকে, পোস্টার কোথায় প্রদর্শিত হয় ইত্যাদি-ইত্যাদি আরও বিষয় ছুঁয়ে পোস্টার সংক্রান্ত একটা বই হয়তো লিখে ফেলা যেত। লেখক সে-পথে হাঁটেননি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জ্বলন্ত ও বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সে-দেশের পোস্টার-শিল্পীদের বয়ান ধরে-ধরে বরং গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন পোস্টার-তত্ত্ব। তত্ত্বের ভূমি রাজনীতিক সময়। তত্ত্বের বিষয় সেই রাজনীতিক সময়ের পোস্টার।
পুরনোকে সরিয়ে নতুন পথে, নতুন ঢঙে, চলতি ধরন ছেড়ে অন্য ছকে লেখা এই তত্ত্বকথার বইও হয়ে উঠেছে প্রায় গল্পের মতো। সঙ্গে রয়েছে অনেক ছবি।
₹ 150.00 -
পাউল ক্লে
পদচিহ্ন মুছে যায়সুইস-জার্মান শিল্পী ও শিল্পতাত্ত্বিক পাউল ক্লে (১৮৭৯-১৯৪০)-এর ছবি (পেন্টিং ও ড্রয়িং মিলিয়ে যার সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার), তাত্ত্বিক লেখাপত্র (‘পেডাগজিকাল স্কেচবুক’, ‘অন মডার্ন আর্ট’ বা ‘দ্য থিঙ্কিং আই’ ও ‘দ্য নেচার অফ নেচার’ নামে দুটি বিশালাকার নোটবুক-এর কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়বে) বিশ শতকের শিল্পকলার ইতিহাসে মোড়-ফেরানো।
পাউল ক্লে-র ছবি যদিও ঘরানাহীন স্বতন্ত্র মেজাজের, তবু বিশ শতকের বিভিন্ন শিল্প-আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। ‘দ্য ব্লু রাইডার’, ‘দ্য ব্লু ফোর’ ইত্যাদি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। পরে শিক্ষকতা করেছেন বাউহাউস স্কুল ও ডুসেলডরফ অ্যাকাডেমিতে, সেক্ষেত্রেও তাঁর অবদান বিস্ময়কর। স্বভাবতই নাৎসিরা তাঁর কাজকে অধঃপতিত বা অবক্ষয়িত শিল্পের তালিকাভুক্ত করেছিল।
অন্যদিকে ১৮৯৭ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত ডায়েরি লিখেছেন তিনি, যেখানে তাঁর ব্যক্তিগত শিল্প ও দর্শনভাবনার পরিচয় মেলে। এ বইয়ে তাঁর যোগ্য পুত্র ফেলিক্স ক্লে সম্পাদিত সেই দিনলিপির নির্বাচিত অংশের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে লেখা তাঁর কবিতার ভাষান্তর সংকলিত হয়েছে। ক্লে-র আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ লেখাও এখানে আছে, আছে তাঁর কিছু নির্বাচিত ছবির শাদা-কালো প্রতিলিপি।
পাউল ক্লে-র ব্যাপক প্রভাব নানা ভাবে এদেশের শিল্পজগতে আমরা দেখতে পাই, কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে প্রকাশ্য চর্চা তেমন দেখি না। হয়তো এ বই সেই অভাব কিছুটা মেটাবে।
ভূমিকা ও ভাষান্তর : স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত
₹ 350.00
Reviews
There are no reviews yet.