Brands

Sort By:
View:
  • উনিশশো আটষট্টির ফ্রান্স : মে-দিনের ছাত্রবিপ্লব
    ইস্তাহার গ্রাফিতি ইতিহাস

    দেওয়ালের লেখা, কথা, শ্লোগান… নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই তা রচিত হয়, বিপদের বার্তাই তা বহন করে গর্ভে, আতঙ্কের পরিবেশে ঠাঁই পায় লোক-হৃদয়ে। তারপর পথচলতি লোকজনের ছন্দেই তা চলতে শুরু করে, এক হাত থেকে অন্য হাত, বারে-বারেই সে সব ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন পড়ে। উনিশশো আটষট্টির ফ্রান্সে, ছাত্রবিপ্লবের সেই মে-দিনে রাজনৈতিক কার্যক্রমের অনুপ্রাণিত ভাষ্য সম্পূর্ণত ঝরে পড়েছিল দেওয়ালে-প্রাচীরে। সময়ের জরুরি তাগিদ আর তৎপরতার স্নায়ুস্পন্দনে রাঙানো তেমন সব দেওয়াল-লেখা, গ্রাফিতি, পোস্টার, ইস্তাহার, আর ইতিহাস নিয়ে এই সচিত্র সংকলন। সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত।

    88 pages, 2nd print

     120.00
  • নোয়াম চমস্কি
    ভাবনার আগল ভাঙো
    নির্বাচিত সতেরোটি সাক্ষাৎকার

    “আপনার সামনে মূলত দুটো বিকল্প পথ খোলা রয়েছে। একটা হল, সবচেয়ে খারাপটা ধরে নেওয়া, তখন আপনি নিশ্চিত জানেন যে তা-ই ঘটবে। আর-একটা হল, ধরে নেওয়া যে পরিবর্তনের আশা রয়েছে। তা হলে এ-ও সম্ভব যে আপনি যা করছেন, তার মাধ্যমে পরিবর্তনের পক্ষে আপনি কিছুটা সাহায্য করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার কাছে দুটো বিকল্প পথের একটায় নিশ্চিত যে সবচেয়ে খারাপটাই ঘটবে, আর-একটা এই সম্ভাবনা খোলা রাখে যে অবস্থাটা ভালো হবে। এ অবস্থায় যুক্তিবাদী লোক দ্বিধায় পড়ে না।… প্রত্যেকেরই এমন কিছু-না-কিছু বিকল্প থাকে। আপনি তখন নিজেকেই জিজ্ঞাসা করেন, আমি কি সে সব কোন কাজে লাগাব না। কোন্‌টা হলে নিশ্চিত করে বলা যায় যে দুঃখকষ্ট চলতেই থাকবে, নিপীড়ন চলতেই থাকবে, বিভেদ চলবে, হয়ে উঠবে আরও খারাপ? নাকি, তার বিরুদ্ধে যেটুকু বিকল্প আমার সামনে আছে, আমি তা ব্যবহার করব, পরিবর্তনের পক্ষে অন্যদের সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করব? সে ক্ষেত্রে ভালো কিছু তো হতেও পারে।” এই বইয়ে সংকলিত এক সাক্ষাৎকারে চমস্কি বলেছেন এ কথা।

    ইতিহাসে দেখা যায় পরিবর্তনের প্রয়োজন কখনও ফুরোয় না। আজ যাকে মনে হয় সর্বরোগহর বটিকা, দু-দিন যেতে-না-যেতেই তার স্বরূপ প্রকাশিত হয়ে পড়ে। অগত্যা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার প্রয়োজনও দেখা দেয়। পুনরাবৃত্ত এই সব সময়ে এই বইয়ে সংকলিত সাক্ষাৎকারের বয়ানসমূহ আমাদের পথ দেখাতে পারে। সেই কারণেই এই নতুন সংকলন।

     

     220.00
  • আশীষ লাহিড়ী
    বুদ্ধিজীবীর ভাববিশ্ব : সংশয়ে প্রত্যয়ে নির্মাণে বর্জনে

    যে-কোন চলতি আধুনিক বাংলা পরিভাষার মতন বুদ্ধিজীবী কথাটাকেও বোঝবার সহজ রাস্তা হচ্ছে কথাটাকে ইংরেজি করে ফেলা। কে না জানে, যুক্তিবাদ যেমন আসলে র‍্যাশনালিজমের অনুবাদ, বুদ্ধিজীবীও তেমনি ইন্টেলেকচুয়াল-এর বাংলা। আর ইংরেজি ইন্টেলেকচুয়াল বিশেষ্যটি ফরাসি আঁতেলেকতুয়েল-এর সগোত্র। ফ্রান্সে intellectual কথাটা চালু হয় উনিশ শতকের শতকের শেষ দিকে, ফরাসি রাষ্ট্রের চরম ইহুদি-বিদ্বেষী মনোভাব-প্রসূত অবিচারের বিরুদ্ধে এমিল জোলা প্রমুখ  সাহিত্যিকদের তুলাকালাম কলমি গর্জনের মধ্যে দিয়ে। চালাক বাঙালিরা সেই কথাটাকেই আপন মনের কালিমা মিশিয়ে আঁতেল শব্দটি পয়দা করেছেন। বাঙালি বুজরুক যেমন ফরাসি বুজুর্গ-এর একেবারে বিপরীত, বাঙালি আঁতেলও তেমনি ফরাসি আঁতেলেকতুয়েলের ঠিক উলটো।

    একটি কথা বারে-বারেই পেয়েছে লাঘবতা/ তাহারে লঘু করিব না তো আর—এই কবিবাক্য মেনে বৃদ্ধ বুদ্ধিজীবী শব্দটিকে বৈতরণী পার করিয়ে দেওয়াই হয়তো সংগত ছিল। কিন্তু মনে হল, খাঁটি বুদ্ধিজীবিত্ব বলেও একটা চিরজীবী ব্যাপার আছে, তার গুরুত্বকে নতুন করে কুর্নিশ করাটা আজকের এই ভাঙা স্বপ্নের দুনিয়ায় বিশেষ করে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই তাগিদ থেকেই এই বই।

     180.00
  • আশনা সেন
    পুরনো তোরঙ্গ

    ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মেছিলেন সৈয়দ মনজুর মুরশেদ। ভারতীয় উপমহাদেশের এক উত্তাল সময়কালে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর জীবন। পেশায় রাজপুরুষ তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন দু’-দুটি বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, (১৯)৪৬-এর দাঙ্গা, দেশভাগ ও স্বাধীনতা। আর এর অনেকটাই ঘটেছিল ইংরাজ শাসকদের অধীনে প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসের অফিসার হিসেবে। চলমান ইতিহাসকে মনজুর খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। লিখে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবন, টুকরো সব ঘটনা, আপাত-তুচ্ছ আলাপচারিতার বিবরণ। এর সঙ্গেই জুড়ে আছে মনজুরের দ্বিতীয়া স্ত্রী বেগম হাসিনা মুরশেদের কাহিনীও। বাংলার প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে ১৯৩৭ সালে তিনি নির্বাচিত হন প্রাদেশিক আইনসভায়। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অন্যতম রূপকার ও স্থপতিও ছিলেন হাসিনা। পুরনো তোরঙ্গ-এর ঢাকনা খুলে এই পারিবারিক কাহিনী নতুন করে উপস্থিত করেছেন মনজুরের নাতনি আশনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসও।

     50.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    দেওয়াল লেখার আত্মকথা

    ‘একটা দেওয়াল। দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি, আমরা, কমরেড, পার্টি। দেওয়ালে শাদা রঙের পোঁচ লাগিয়ে দিচ্ছে আমাদের বিশ্বাস। গুঁড়ো নীলে সুতলি চুবিয়ে লাইন দাগিয়ে দিচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। রঙ-ভরা টিন ধরে থাকছে আমাদের রাজনীতি। এগিয়ে দিচ্ছে আমাদের লড়াই। দেওয়ালে আঁকা হয়ে যাচ্ছে আমাদের মুক্তাঞ্চল। আমাদের দেশ। ওয়ালিং শেষ করে মুঠো-করা হাত তুলে বলে উঠলাম, লাল সেলাম।’ এই ভাবে সত্তরের আগুন-ঝরা দিনে দেওয়াল লেখার মন মেজাজ ভয় উদ্বেগ আনন্দ থেকে তার রীতি প্রকরণ রাজনীতি ও নন্দনতত্ত্ব পর্যন্ত বিশদ করেছেন লেখক। এ তাঁর একার আত্মকথা নয় তাই, হয়ে উঠেছে সময়েরই সচিত্র আত্মকথন।

    pdf version

     50.00
  • সন্‌জীদা খাতুন
    বাংলাদেশের সংস্কৃতির চড়াই-উতরাই

    অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের ভিতর দিয়ে আজকের বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম। ব্রিটিশ আমলে এই ভূখণ্ডের মানুষ পরাধীনতার বেদনায় পীড়িত ছিল। উনিশশো সাতচল্লিশ সালের পনেরোই আগস্টের স্বাধীনতা পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালির মনে মুক্তির হাওয়া বইয়ে দেয়।

    কিন্তু ঐ সাতচল্লিশ সালেই বাঙালির ভাষার উপরে এল আঘাত। উর্দু পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে বলে পূর্ব পাকিস্তানের বিদ্যালয়গুলোতে উর্দু ভাষা শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হল।জানা গেল আপিস-আদালতের কাজও হবে উর্দুতে। সঙ্গে-সঙ্গে বুদ্ধিজীবী মহল আর সচেতন ছাত্রসমাজে আপত্তি আর প্রতিবাদের ঝড় উঠল। স্বাধীনতার পর বাংলা ভাষা বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের এই বৈরী মনোভাব পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালিকে ক্ষুব্ধ করল। তারা পরিষ্কার বুঝতে পারল ঐ ভাষাবৈর বাঙালি সংস্কৃতির মূলে আঘাত হানছে। কারণ ভাষাই ঐতিহ্যাশ্রিত সংস্কৃতির প্রধান বাহন।

    বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক সংগ্রামের ইতিবৃত্ত আর ক্রমধারা বর্তমান সংকলনের উপজীব্য। সেই সঙ্গে রয়েছে বর্তমান আর ভবিষ্যতের সঙ্গীত বিষয়ক ভাবনা।

    লিখেছেন অপার বাংলার সংস্কৃতিজগতের সর্বজনশ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব সন্‌জীদা খাতুন। বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত-শিল্পী তিনি, একই সঙ্গে সঙ্গীতজ্ঞ, শিক্ষক, লেখক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ও সাংস্কৃতিক সংগ্রাম-আন্দোলনে তাঁর ভূমিকা স্মরণীয়। এই বইয়ে আত্মজীবন ও দেশকালের জীবনপ্রবাহ একসূত্রে মিশে গেছে।

     160.00
  • মানিক দাস
    অনেক জোনাকির আলো

    দুর্গম আফগানিস্তান-পাকিস্তানের পার্বত্য এলাকায় স্কুল নেই, ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করতে পারে না। পর্বতাভিযানে গিয়ে পথ-হারানো গ্রেগ মর্টেনসন একক প্রয়াসে সেখানে একের পর এক স্কুল খুলেছেন। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, একশো একাত্তর।

    স্পেনের আন্দালুসিয়ায় ছোট্ট একটা মিউনিসিপাল শহর ম্যারিনালেডা, আসলে একটা গ্রাম। সংসদীয় ব্যবস্থার মধ্যেই নির্বাচিত মেয়র হুয়ান গোরদিলো সেখানে আটকে দিয়েছেন বিশ্বায়নের অবুঝ রথের চাকা। সব কিছুই চলে সেখানে সমবায় প্রথায়, সমস্ত সিদ্ধান্ত যৌথ।

    পাপুয়া-নিউ গিনির অন্তর্গত ছোট্ট দেশ বোগেনভিল। তামার খনি সেখানে সব কিছুই প্রায় বিষিয়ে তুলেছিল। ফ্রান্সিস ওনা-র নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সে-দেশে সম্ভব করে তুলেছেন এক পরিবেশ-বান্ধব বিপ্লব।

    বিকল্প ভাবনায় এই তিন সাফল্যের খতিয়ান নিয়ে এই বই। গভীর অন্ধকারে ছোট-ছোট জোনাকির আলোর মতো এই সব উপাখ্যান।

     60.00
  • লীনা চাকী
    মৃত্তিকার গান

    মাটির রস আর গ্রামজীবনের ভাপ নিয়ত যে-সুর ও ধ্বনি সৃষ্টি আর লালন করে চলেছে, তার কোন ‘মার’ নেই। প্রবল প্রাণশক্তি তাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। প্রায় প্রতিটি ধারা হাজারো ঝড়ঝাপটা সয়ে, পরিবর্তনকামী সমাজকে মেনে নিয়ে, ঠাঁইনাড়া হয়েও টিকে আছে। তাদের আগলে রেখেছে গ্রামবাংলার চাষবাস, জমিজিরেত নিয়ে থাকা মানুষ।

    অন্য দিকে, লোকসঙ্গীত সদাই চলমানতার মধ্যে থাকে। এই চলন-পদ্ধতি এত বড় একটা বৃত্তের মধ্যে সক্রিয় যে জানতে চাইলেও দিশেহারা হয়ে যেতে হয়। রূপ-রস-ভঙ্গিমা-প্রকৃতি-পরিবেশ নিয়ে বিশাল তার ভাণ্ডার। সেই ভাণ্ডার থেকে মাত্রই ষোলটি লোকগানের ভুবন নিয়ে এই বইয়ে নাড়াচাড়া করা হয়েছে। সেই ভুবনকে খুব কাছ থেকে দেখা ও শোনার অভিজ্ঞতাই এখানে বিবৃত হয়েছে।

    168 pages, 1st Edition

     180.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত গ্রন্থিত
    শৈল চক্রবর্তীর ছবি : শ্রীযুক্ত সাম্প্রদায়িকতা

    শৈল চক্রবর্তী শিল্পী, লেখক, কার্টুন-চিত্রকর। ভারতে সাম্প্রদায়িকতার চেহারা নিয়ে সেই ১৯৪৮ সাল নাগাদ লেখা আর ছবি সাজিয়ে Confessions of Mr. Communalism নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এটিই তাঁর একমাত্র ইংরেজি বই। তার থেকে সাতটি ছবি নিয়ে এই সংকলনটি বানানো। তাঁর ছবি-লেখাতে শ্রীযুক্ত সাম্প্রদায়িকতা একটি চরিত্র, তারই বয়ানে ভারতে সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস বর্ণনা। কার্টুনপত্তর.ইন-এর প্রথম পুস্তিকা।

     15.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত গ্রন্থিত
    শৈল চক্রবর্তীর ছবি : শ্রীযুক্ত সাম্প্রদায়িকতা

    শৈল চক্রবর্তী শিল্পী, লেখক, কার্টুন-চিত্রকর। ভারতে সাম্প্রদায়িকতার চেহারা নিয়ে সেই ১৯৪৮ সাল নাগাদ লেখা আর ছবি সাজিয়ে Confessions of Mr. Communalism নামে একটি বই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এটিই তাঁর একমাত্র ইংরেজি বই। তার থেকে সাতটি ছবি নিয়ে এই সংকলনটি বানানো। তাঁর ছবি-লেখাতে শ্রীযুক্ত সাম্প্রদায়িকতা একটি চরিত্র, তারই বয়ানে ভারতে সাম্প্রদায়িকতার ইতিহাস বর্ণনা। কার্টুনপত্তর.ইন-এর প্রথম পুস্তিকা।

     30.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    দেওয়াল লেখার আত্মকথা

    ‘একটা দেওয়াল। দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি, আমরা, কমরেড, পার্টি। দেওয়ালে শাদা রঙের পোঁচ লাগিয়ে দিচ্ছে আমাদের বিশ্বাস। গুঁড়ো নীলে সুতলি চুবিয়ে লাইন দাগিয়ে দিচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। রঙ-ভরা টিন ধরে থাকছে আমাদের রাজনীতি। এগিয়ে দিচ্ছে আমাদের লড়াই। দেওয়ালে আঁকা হয়ে যাচ্ছে আমাদের মুক্তাঞ্চল। আমাদের দেশ। ওয়ালিং শেষ করে মুঠো-করা হাত তুলে বলে উঠলাম, লাল সেলাম।’ এই ভাবে সত্তরের আগুন-ঝরা দিনে দেওয়াল লেখার মন মেজাজ ভয় উদ্বেগ আনন্দ থেকে তার রীতি প্রকরণ রাজনীতি ও নন্দনতত্ত্ব পর্যন্ত বিশদ করেছেন লেখক। এ তাঁর একার আত্মকথা নয় তাই, হয়ে উঠেছে সময়েরই সচিত্র আত্মকথন।

     120.00
  • শ্যামলী খাস্তগীর
    স্বপ্নের শান্তিনিকেতন ও অন্যান্য রচনা

    শিল্পী সুধীর খাস্তগীরের কন্যা, আচার্য নন্দলাল বসুর ছাত্রী শ্যামলী শান্তিনিকেতনের শিক্ষা ও আদর্শে বড় হয়ে উঠেছেন এবং সারা জীবন তাকেই অনুসরণ করেছেন মনে-প্রাণে। তবু তাঁর স্বপ্নের শান্তিনিকেতন শুধু ঐ ভৌগোলিক পরিসরেই সীমাবদ্ধ ছিল না কোন দিন। বাস্তবের শান্তিনিকেতনেও যখন তার ব্যত্যয় লক্ষ করেছেন তিনি, তখন প্রতিবাদে কঠোর হতেও তাঁর বাধেনি। শান্তিনিকেতনের ভেতর আর তার বাইরের শান্তিনিকেতন নিয়ে অসামান্য এই বই।

     100.00
  • মাঝি রামদাস টুডু রেস্কা
    খেরওয়াল বংশা ধরম পুথি বা সাঁওতাল জাতির ধর্মপুস্তক 

    মূল বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ বাংলা অনুবাদ : সুহৃদকুমার ভৌমিক

    ভারতীয় আদিবাসী সমাজে আত্মানুসন্ধানের ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়। এ দেশের আদিবাসীদের মধ্যে অগ্রণী সাঁওতাল সমাজের যে-কয়জন মহাপুরুষ প্রথম থেকেই তাঁদের ধর্ম-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন হয়েছিলেন, মাঝি রামদাস তাঁদের অন্যতম। তিনি লক্ষ করেছিলেন সাঁওতাল সমাজে তাঁদের ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাহিনী, গাথা ও গান প্রচলিত থাকলেও তা লিখে রাখার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অফুরন্ত এই মৌখিক সাহিত্যের ভাণ্ডার সম্পর্কে লোকের কোন ধারণা নেই। এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রায় বারো বছর তিনি সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন, এবং প্রায় নিজের উদ্যোগে তা প্রকাশ করেন ১৮৯৪ সালে। এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর আন্তরিক আগ্রহে। তিনি স্বয়ং এর একটি ভূমিকাও লিখে দেন। ১৯৫১ সালে প্রকাশিত এই সংস্করণটি অবশ্য মাঝি রামদাস দেখে যেতে পারেননি। পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন-ও এই বইয়ের প্রকাশের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উৎসাহী ছিলেন। মহামূল্যবান এই বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ এটি অনুবাদ করে বাংলাভাষী পাঠকদের হাতে তুলে দিলেন আদিবাসী ভাষা-বিশেষজ্ঞ স্বনামধন্য সুহৃদকুমার ভৌমিক। এই অনুবাদের দায়িত্ব স্বয়ং সুনীতিকুমার-ই তাঁকে একদা দিয়ে গিয়েছিলেন। বলা যায়, এত দিনে সেই আরব্ধ কাজ সম্পন্ন হল।

     450.00
  • রবীন বন্দ্যোপাধ্যায়
    নগরনটীকথা

    এই গ্রন্থের প্রথম ভাগে ঐতিহাসিক পটভূমিকায় স্থাপন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা-সহ লেখক যে-চার জন অবাঙালি বাইজির জীবনকাহিনী পরিবেশন করেছেন, তাঁরা হলেন নিকি, মালকাজান, গহরজান ও জদ্দন বাই। দ্বিতীয় ভাগে তিনি লিখেছেন রাজকুমারী, কাদম্বিনী, যাদুমণি, বনবিহারিণী, গঙ্গামণি, প্রমদাসুন্দরী, হরিসুন্দরী, রানীসুন্দরী, শশীমুখী প্রমুখ নটীদের কথা। নগরনটীদের কথা এই গ্রন্থের সীমিত পরিসরে বেঁধে ফেলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন লেখক। তা হলেও এ বিষয়ে তিনি নিশ্চিত যে, যেটুকু তিনি তুলে ধরছেন, পরবর্তী কালে গবেষকদের কাজে লাগবে তা। লেখকের এই প্রত্যয়ের সঙ্গে আমরা একমত। নতুন মুদ্রণ।

     180.00
  • মধুপ দে
    জঙ্গলমহলের লোকযাত্রা

    দিনের বেলা যারা মালগুদামে কাজ করে, বা মজুরের কাজ করে ক্ষেতে, কাজ করে রাজমিস্ত্রি বা যোগানদারের, মন্দিরে বলির পাঁঠা কাটে বা কাগজওয়ালা হয়ে কাগজ কিনে ঠোঙা বানায়, সন্ধ্যার পর তারাই রাম-রাবণ বা যুগী, সীতা কিংবা চম্পাবতী সেজে যাত্রাপালার আসর মাতায়। তার চিত্রনাট্য তাৎক্ষণিক, সংলাপও তাৎক্ষণিক। কেবল স্মৃতির ওপর নির্ভর করে ছ’-সাত ঘণ্টা গান গেয়ে, অভিনয় করে তারা মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, আনন্দ দেয়। এই লোকযাত্রা জঙ্গলমহলের মানুষের লোকশিক্ষা, বিনোদন আর জীবনযুদ্ধে শক্তি আহরণের অন্যতম মাধ্যম। দ্বিতীয় পর্বে এই ধরনের দুটি লোকযাত্রা ‘সীতাচুরি’ ও ‘চম্পাবতী’ সুবর্ণরেখা নদীর অববাহিকা অঞ্চল থেকে আসরের ভাষায় সংগ্রহ করে সংকলিত হয়েছে। প্রথম পর্বে সংগৃহীত লোকযাত্রা দুটির সমীক্ষা করা হয়েছে বাংলার লোকনাটক আর লোকযাত্রার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রেক্ষিতে। হারিয়ে যাওয়ার আগে নিরক্ষর মানুষের এই বিলুপ্তপ্রায় শিল্পকে শ্রদ্ধার সঙ্গে সময়সরণিতে প্রতিষ্ঠার জন্যই এই সংকলন।

     300.00
  • নাইজেল হিউজ
    মনীষার পাথরের বন

    মানুষ আবির্ভূত হওয়ার আগেও বাংলার একটা অতীত ছিল। প্রকৃতিকে জানার মাধ্যমে সেই অতীতকে কি জানা-বোঝা সম্ভব? মনীষা নামে ছোট্ট একটি মেয়ে তার সন্ধানী চোখ দিয়ে প্রকৃতিকে দেখেছে, কৌতূহলী মন নিয়ে তার তাৎপর্য বুঝতে চেয়েছে। এ বইয়ে গাছপাথরের জীবন্ত বনে তার রোমাঞ্চকর অভিযানের মধ্যে দিয়ে প্রায় ৫০ লক্ষ বছর আগে বাংলার বীরভূম জেলার অতীত মূর্ত হয়ে উঠেছে। বৈজ্ঞানিক তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর-কিশোরীদের উপযোগী করে সচিত্র এ বই লিখেছেন নাইজেল হিউজ, ভূবিদ্যারই অধ্যাপক তিনি। ছবি : রতি বসু।

     120.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart