Brands

Sort By:
View:
  • পাউল ক্লে
    পদচিহ্ন মুছে যায়

    সুইস-জার্মান শিল্পী ও শিল্পতাত্ত্বিক পাউল ক্লে (১৮৭৯-১৯৪০)-এর ছবি (পেন্টিং ও ড্রয়িং মিলিয়ে যার সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার), তাত্ত্বিক লেখাপত্র (‘পেডাগজিকাল স্কেচবুক’, ‘অন মডার্ন আর্ট’ বা ‘দ্য থিঙ্কিং আই’ ও ‘দ্য নেচার অফ নেচার’ নামে দুটি বিশালাকার নোটবুক-এর কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়বে) বিশ শতকের শিল্পকলার ইতিহাসে মোড়-ফেরানো।

    পাউল ক্লে-র ছবি যদিও ঘরানাহীন স্বতন্ত্র মেজাজের, তবু বিশ শতকের বিভিন্ন শিল্প-আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। ‘দ্য ব্লু রাইডার’, ‘দ্য ব্লু ফোর’ ইত্যাদি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। পরে শিক্ষকতা করেছেন বাউহাউস স্কুল ও ডুসেলডরফ অ্যাকাডেমিতে, সেক্ষেত্রেও তাঁর অবদান বিস্ময়কর। স্বভাবতই নাৎসিরা তাঁর কাজকে অধঃপতিত বা অবক্ষয়িত শিল্পের তালিকাভুক্ত করেছিল।

    অন্যদিকে ১৮৯৭ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত ডায়েরি লিখেছেন তিনি, যেখানে তাঁর ব্যক্তিগত শিল্প ও দর্শনভাবনার পরিচয় মেলে। এ বইয়ে তাঁর যোগ্য পুত্র ফেলিক্স ক্লে সম্পাদিত সেই দিনলিপির নির্বাচিত অংশের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে লেখা তাঁর কবিতার ভাষান্তর সংকলিত হয়েছে। ক্লে-র আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ লেখাও এখানে আছে, আছে তাঁর কিছু নির্বাচিত ছবির শাদা-কালো প্রতিলিপি।

    পাউল ক্লে-র ব্যাপক প্রভাব নানা ভাবে এদেশের শিল্পজগতে আমরা দেখতে পাই, কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে প্রকাশ্য চর্চা তেমন দেখি না। হয়তো এ বই সেই অভাব কিছুটা মেটাবে।

    ভূমিকা ও ভাষান্তর : স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত

     350.00
  • হেলাল উদ্দিন আহমেদ অনূদিত
    কনফুসিয়াস-এর কথোপকথন

    ১৩৬ পৃষ্ঠা, হার্ডবাউন্ড

     280.00
  • জাঁ-পল সার্ত্র
    গণহত্যা

    ভিয়েতনামে মার্কিন যুদ্ধাপরাধের বিচার করতে গণ-উদ্যোগে গঠিত ট্রাইবুনাল-এর (বার্ট্রান্ড রাসেল-এর সক্রিয় উদ্যোগে হয়েছিল বলে যাকে সংক্ষেপে রাসেল ট্রাইবুনাল-ও বলে) দ্বিতীয় অধিবেশনের (ডেনমার্ক, ২০ নভেম্বর – ১ ডিসেম্বর ১৯৬৭) একেবারে শেষ পর্বে সার্ত্র গণহত্যা নিয়ে যে-অসাধারণ ভাষণটি দিয়েছিলেন, বাংলায় ভাষান্তরিত তার বয়ানটিই এ বইয়ের একমাত্র উপজীব্য। আজও এর প্রাসঙ্গিকতা কিছুমাত্র হারায়নি। ভাষান্তরের প্রেরণা সেটাই।

     80.00
  • জুল রেনার
    কয়েক টুকরো ছেঁড়া মেঘ
    নির্বাচিত দিনলিপি

    অনেক লেখকেরই কাছে দিনলিপি রচনা একটা বাজে কাজ, স্রেফ সময় নষ্ট করা ছাড়া যার কোন অর্থ হয় না। দিনলিপি লিখতে বসে অকিঞ্চিৎকর সানুপুঙ্খতা, বাষ্পময় চিন্তাভাবনা আর আত্মকেন্দ্রিক আবেগময়তা এড়ানো মুশকিল, এ সবের আকর্ষণও প্রবল। উনিশ শতকের ফরাসি সাহিত্যিক পিয়ের-জুল রেনার-এর দিনলিপি-র শুরু থেকেই বোঝা যায় যে, এক তরুণ লেখক সচেতন ভাবে নিজেকে সরিয়ে রাখছেন এমনতর ভ্রান্তি থেকে। এ-ও বোঝা যায় যে, তিনি এমন এক লেখক যাঁর লক্ষ্য শৈলীর স্বচ্ছতা এবং ভাষার সুনির্দিষ্টতা। বস্তুত রেনার এমন ভাবে নিজেকে প্রশিক্ষণ দিতে চান যার লক্ষ্য— “যাবতীয় ঘরানা থেকে মুক্ত হওয়া… এবং কী ভাবে সংহত ও প্রতিরোধকারী গদ্যে পুনর্নির্মাণ করা যায় সম্পূর্ণত শুদ্ধ এবং সরল এক জীবন।”

    ফরাসি সাহিত্যে দিনলিপি এবং দিনলিপি গোত্রের রচনা পরিমাণগত ও গুণগত বিচারে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সে-সবের মধ্যে অনেকগুলিই বিভিন্ন কারণে মূল্যবান, কিন্তু রেনার-এর এই দিনলিপি-র মতো এতকাল ধরে পাঠযোগ্যতা বজায় রাখতে পেরেছে তার মধ্যে মাত্র কয়েকটিই। এর জন্য রেনার-এর অদ্বিতীয় ক্ষমতার কথাই বলতে হয়। অকৃত্রিমতা ও সহজসিদ্ধতার সঙ্গে অম্লতা ও কৌণিকতার যাদুকরি সমন্বয় ঘটেছে তাঁর রচনায়। এবং তা প্রমাণ করে কী ভাবে কখনও-কখনও মানুষের ব্যক্তিসত্তা তার সরকারি ও সামাজিক সত্তাকে তুমুল ভাবে অতিক্রম করে যায়, যে-ব্যক্তিসত্তার কথা ইদানীংকার কোলাহলমুখর রাষ্ট্রিক ও সামাজিক জীবনের চাপে আমরা প্রায় ভুলতে বসেছি।

    তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

    প্রথম সংস্করণ, ১০০ পৃষ্ঠা

     180.00
  • ভলতের
    নিজের বাগান চাষ
    অনুচিন্তন ও কথিকা

    কোন প্রকার তাত্ত্বিকতার আশ্রয় না নিয়ে নিরলস কাজ করে যাওয়াই জীবনকে সহনীয় করে তুলতে পারে। নিজের বাগান চাষ করার অর্থ সেই কাজে মন দেওয়া, যে-কাজ উন্নত রূপে নির্বাহ করার শক্তি রয়েছে আমাদের মধ্যে। কাঁদিদ-এর এই অন্তিম অমোঘ বাক্যটি যেন নীরবতার সমর্থনসূচক যুক্তি বা মানবসমাজের অসহায়তার প্রতি ঔদাসীন্যের সমার্থক বলে ভুল করা না হয়। কাঁদিদ-এর মতে, সমগ্র বিশ্বই আমাদের  উদ্যান : আমাদের পরম উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেই উদ্যানের শ্রীবৃদ্ধি ঘটানো।

    এ বইয়ে স্বনামখ্যাত ফরাসি লেখক ও দার্শনিক ভলতের-এর রচনাবলি থেকে চয়িত কিছু বাক্য ও কথিকা সাজিয়ে দেওয়া হল, সঙ্গে উত্তরকথনে রইল তাঁর জীবন ও কর্মের বিশদ পর্যালোচনা।

    তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

     180.00
  • বিজয় শংকর বর্মন
    আমার আঙুলগুলির অঙ্কুরোদগম 

    বিজয় শংকর বর্মনের জন্ম ১৯৮০ সালে, অসমের নলবাড়ি জেলার রূপীয়াবাথান গ্রামে। বিজয় শংকর কবি, অনুবাদক এবং লোকসংস্কৃতির গবেষক। বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর মোট দশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ের কবিতাগুলি তাঁর তিনটি কাব্যগ্রন্থ ‘দেও’, ‘অশোকাষ্টমী’ এবং ‘বর্ণমুক্তি’ থেকে নির্বাচিত। প্রত্যেক ভাষারই এক স্বকীয় সৌন্দর্য রয়েছে, ভিন্ন কোন ভাষায় তার রূপান্তর সহজ নয়। এই বইয়ের জন্য রূপান্তরের এই দুরূহ কাজটি করেছেন সঞ্জয় চক্রবর্তী, তিনি এই বইয়ের কবিতাগুলি নির্বাচনও করেছেন। বিজয় শংকরের কবিতা ভারতের প্রায় সমস্ত ভাষায় এবং কয়েকটি বিদেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে, বাংলা ভাষায় অবশ্য তাঁর কবিতা অনূদিত হল এই প্রথম।

    প্রথম সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা

     120.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart