Brands

Sort By:
View:
  • ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়, যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও যে বেরোতে পারে না এমন নয়। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে যে একটা পূর্ণতা এসেছে তা-ও বলা বাহুল্য। এর পরের দুটি ভাগও একই ভাবে অধিক ছবি-যোগে বেরোবে এবং তা দ্রুত।

     480.00
  • দক্ষিণারঞ্জন শাস্ত্রী
    ভারতীয় জড়বাদ : সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

    সেই কোন্‌ প্রাচীন কালেও কিছু মানুষ ছিলেন যাঁরা যাচাই করে গ্রহণ করায় বিশ্বাস করতেন, প্রতিবাদে সরব হতেন। প্রশ্ন ও তর্ক, বিচার ও বিবেচনা, আচার ও অভ্যাসের প্রয়োগের মাধ্যমে তাঁরা তুলে ধরেছিলেন প্রকৃত স্বাধীন চিন্তার পতাকা। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ভাবে দেখলেও স্পষ্ট অনুধাবন করা যায় এই অনুশীলনের বৌদ্ধিক, যৌক্তিক, সামাজিক এবং গণতান্ত্রিক প্রয়োজনীয়তা। আমাদের বোঝা উচিত, পুরাতন সেই মুক্তচিন্তকেরাই বীজ বপন করেছিলেন সভ্যতার এক অপরিহার্য আঙ্গিকের— এ ছিল মানুষের যাবতীয় মানসিক ক্রমোন্নতির এক অমূল্য উপকরণ। ভারতীয় জড়বাদের ইতিহাস নিয়ে সুপণ্ডিত দক্ষিণারঞ্জন শাস্ত্রী মহাশয়ের পথিকৃৎ গবেষণা।

    ভাষান্তর : সুদীপ্ত চক্রবর্তী

     135.00
  • সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
    লেনিন

    “লেনিনের জীবন আলোচনা করার মানে হচ্ছে, রাশিয়ার প্রোলেটারিয়ান বিপ্লব-আন্দোলনের ইতিহাস ও বিপ্লবের পরবর্তী কালের ইতিহাসের আলোচনা করা। লেনিন ও রুশীয় বিপ্লব অভেদ্য যোগসূত্রে বদ্ধ। এদের পরস্পরকে পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করা অসম্ভব।” এই বইটিতে সেই ইতিহাস আর যোগসূত্রের কথাই বর্ণনা করেছেন লেখক।

    আজ থেকে প্রায় নব্বই বছর আগে প্রকাশিত এই বই নতুন করে ছাপা হল সেই ইতিহাসের কথাই মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য।

     125.00
  • মধুপ দে
    রাজদ্রোহী রানি শিরোমণি

    কর্ণদুর্গ এবং কর্ণগড় কি এক? কর্ণগড় স্থাপনের আগে কারা রাজত্ব করত সেখানে? ভূমিজ রাজার পরে খেড়িয়া রাজারা কি রাজত্ব করতেন এখানে? কেমন করে প্রতিষ্ঠা হল কর্ণগড় রাজবংশ? মেদিনীপুরের অন্যতম বৃহৎ রাজত্ব মেদিনীপুর মহালের রাজধানী কর্ণগড়ের প্রাচীন মহিমা অনুসন্ধান। একসময়ে এই রাজ্যের রাজারা ছিলেন বাংলার নবাবের বারোহাজারি মনসবদার। নবাবের বারো হাজার সৈন্য থাকত এখানে। সাতপুরুষে পুরুষশূন্য হওয়ায় এক বিধবা নারী রানি শিরোমণি বসেছিলেন সেই রাজ্যের সিংহাসনে। কিন্তু, কী এমন করেছিলেন সেই রানি যে বীরপুরুষ ইংরেজরা তাঁকে রাজদ্রোহী রূপে বন্দি করতে বাধ্য হয়েছিল? ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজবন্দিনী সেই মহীয়সী রমণীর জীবনবৃত্তান্ত, তাঁর রণকৌশল, তাঁর পিছড়ে বর্গের মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান, মা মহামায়ার মন্দির এবং শিবায়ন কাব্যের রচয়িতা রামেশ্বর ভট্টাচার্যের কথাই এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য।

     280.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    আর্য রহস্য 

    আর্য মানে যে কৃষক, স্থায়ী গৃহস্থ, সে-সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। আর ঋগ্বেদের বিরাট অংশ হল চাষবাস বিষয়ক মন্ত্র। তাই য়ুরোপীয় কোন-কোন পণ্ডিত ঠাট্টা করে বলতেন, ঋগ্বেদ হল চাষার গান। এই উক্তিতে আমাদের অনেক পণ্ডিতের মনে কষ্টও হয়েছে। “বেদের বহু স্তোত্রে চাষের কথা আছে। ভূমি সুজলা সুফলা হয়, তাহার জন্য দেবতাদের নিকট অনেক প্রার্থনাও আছে। সুতরাং তাহাদের সিদ্ধান্ত হইল, বৈদিক স্তোত্রকারগণের যে সমাজ তাহা সভ্যতার আদিম বা চাষের স্তরে মাত্র উঠিয়াছিল। তাঁহারা মন্তব্য করিলেন, বৈদিক মন্ত্র সব চাষার গান।” কথাটা কিন্তু অমূলক নয়। কারণ শব্দবিচার করে আমরা জানতে পারব— আর্য শব্দের মৌলিক অর্থই হল কৃষক।

    আজকের দিনে অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী পণ্ডিতই বলছেন, তামাম পৃথিবীতে যে-সমস্ত সংস্কৃত শব্দের অপব্যাখ্যা হয়েছে, তার মধ্যে ‘আর্য’ শব্দটি বোধ হয় সবচেয়ে অভাগা। এর পেছনে কাজ করেছে পাশ্চাত্যের গূঢ় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী বাসনা। সংস্কৃতিতত্ত্ব আর ভাষাতত্ত্বের সূত্রে আর্য জাতি সম্পর্কে প্রকৃত সত্যের উদ্‌ঘাটনই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। সব অর্থেই এ বই বিস্ফোরক বই, প্রচলিত ধ্যানধারণা নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা

     160.00
  • এদুয়ার্দো গালেয়োনো
    আয়না : আমাদের প্রায় সব্বার গপ্প

    কেন লিখলেন এমন একটা বই? এর উত্তরে গালেয়ানো জানিয়েছেন, “আমি আমার বইগুলো, বিশেষ করে এই শেষেরটা, ‘মিররস’, লিখেছি এটা দেখানোর জন্য যে বিশ্বের কোন জায়গাই অন্য কোন জায়গার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কোন মানুষই অন্য কোন মানুষের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দাবি করে না। এ বিশ্বকে যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা আমাদের যৌথ স্মৃতিকে ছিন্ন করেছে, এবং প্রতিদিন তারা আমাদের এখনকার বাস্তবতাকেও ছিন্ন করে চলেছে। প্রভাবশালী দেশগুলোকে শিখতে হবে যে কী ভাবে ‘নেতৃত্ব’ শব্দটা ‘বন্ধুত্ব’ দিয়ে বদলে ফেলা যায়।”

    লেখক এই বইয়ে যা বলতে চেয়েছেন, যা করতে চেয়েছেন, তার ফলে নিছক গল্প-বইয়ের বদলে এ বই হয়ে উঠেছে বিশ্ব-ইতিহাসের এক বিকল্প পাঠ। এর প্রতিটি গল্প নিয়েই গুরুগম্ভীর, রীতিমতো গবেষণামূলক, দীর্ঘ প্রবন্ধ লেখা যায়, গালেয়ানো হাঁটতে পারতেন সে পথে, যদিও সে প্রবন্ধ কেতাবি মহলের বাইরে কেউ পড়ত না, আর পড়লেও মনে রাখত না। বদলে, হয়তো তিনি পাঠককেই প্ররোচিত করেছেন গবেষণার পথে, এর প্রতিটি গল্প মনোযোগী পাঠক হয়তো বিভিন্ন সূত্রে যাচাই করে নিতে চাইবেন, যদি চান, তাহলে সেখানেই লেখকের সার্থকতা।

    প্রায় ছ-শো গল্প-সম্বলিত মূল বইয়ের এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রথম ভাগ। সম্পূর্ণ বইটি মোট তিন ভাগে প্রকাশিতব্য। এই ভাগে আরও রয়েছে লেখকের নানা সময়ে দেওয়া তিনটি সাক্ষাৎকারের বয়ান। বাংলায় রূপান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য।

     430.00
  • শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়
    পিয়ের-অগুস্ত রেনোয়া : এক সৌন্দর্যসাধকের জীবন ও শিল্প

    শিল্প-আন্দোলনের ইতিহাসে ইমপ্রেশনিজম এক আশ্চর্য ঘটনা। কয়েকজন তরুণের শিল্পশৈলী ব্যঙ্গার্থে এই নাম কুড়িয়েও যে শিল্পজগতে চিরস্থায়ী মর্যাদা লাভ করে তা-ই শুধু নয়, রেনেসাঁস পর্বের পর এই প্রথম আধুনিক কালে দেখা যায় সচেতন এক রীতিকেন্দ্রিক কয়েকজন মহাপ্রতিভার বিকাশ ও বিবর্তন। ইমপ্রেশনিস্টদের প্রত্যেকেই তাঁদের স্বতঃস্ফূর্ত সৌন্দর্যবাদী সৃষ্টি দ্বারা দর্শকচিত্ত জয় করেন। তাঁদের সকলেরই বিশিষ্টতা অতুলনীয়। কিন্তু তার মধ্যেও রেনোয়া-র স্থান বিশিষ্ট। তাঁর চিত্রকলায় আগাগোড়া ধ্বনিত এক আনন্দগান, তাঁর শিল্পভুবনে চলে এক অবিরাম আনন্দোৎসব। মনে রাখতে হবে যে, ইমপ্রেশনিস্টরা যখন সক্রিয়, তখন ফ্রান্সের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস মলিন ও বিক্ষুব্ধ। যাকে ‘রূঢ় বাস্তব’ বলি তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা রেনোয়া-র কম ছিল না : ফ্র্যাংকো-প্রুশীয় মহাযুদ্ধ ও পারি কমিউন-এর সঙ্গে তিনি একজীবনে দেখেন সমাজতন্ত্রী বিপ্লব ও প্রথম বিশ্বযুদ্ধও। তবু এক বিপন্ন ও ক্লেদাক্ত পৃথিবীতে বসে তিনি রচনা করেন এক অমলিন সৌন্দর্যজগৎ। তাঁর চিত্রকলায় যে-‘সেলিব্রেশন অফ লাইফ’, তার আড়ালে সাধনা অকৃত্রিম বলেই তার আবেদন আজও অটুট। রেনোয়া-র মৃত্যুশতবর্ষ স্মরণ করে এ বই আমাদের শ্রদ্ধা-তর্পণ।

     200.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত
    বাংলা পোস্টার : দুই বাংলার লেখা ও ছবি

    পোস্টারকে শিল্পকলার ইতিহাস সেভাবে জায়গা দেয়নি, দেয় না। তাই ‘দলিত’ পোস্টারকে ‘ব্রাহ্মণত্ববাদী প্রতিষ্ঠানিকতা’র বাইরে জায়গা খুঁজে নিতে হয়। রাজ-নীতিক আন্দোলনে, প্রতিবাদে, মিছিলে, ঘোষণায়, যাত্রায়, সার্কাসে, জলশায়, ছোট অনুষ্ঠানের প্রচারে, ছোট সংস্থার শিল্পনির্মাণে, এমন-এমন সব বিষয়ে। তাই বাংলা পোস্টার নিয়ে বাংলায় বই লেখা হয় না, হয়নি, প্রবন্ধ হাতে-গোনা।

    পোস্টার এক যৌথ শিল্প। অংকনশিল্পী, অক্ষরশিল্পী, বিন্যাসশিল্পী, মুদ্রণশিল্পী— এঁদের সমবেত সৃষ্টি। মুদ্রণশিল্পের ইতিহাসের সাথে পোস্টারশিল্পের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। পোস্টার-শিল্পের ইতিহাস পড়লে মুদ্রণশিল্পের ইতিহাস পড়া হয়ে যাবে। একই ভাবে সময়কাল সাজিয়ে রাজনৈতিক পোস্টার পড়লে রাজনীতির ইতিহাস পড়া হয়ে যায়। এ ভাবেই কোন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস চর্চার অন্যতম উপাদান সাংস্কৃতিক পোস্টার, সামাজিক বিষয়ের পোস্টার। এ ভাবেই চলে আসে পোস্টার থেকে পড়ে নেওয়া ছবির ইতিহাস, দেখানো ছবির ইতিহাস, বাক্যের ইতিহাস, লেখা কথা শব্দ শ্লোগানের ইতিহাস।

    সব মিলিয়ে পোস্টার ইতিহাসের এক জরুরি উপাদান। বাংলা পোস্টার নিয়ে এই সংকলনে দর্শক ও পাঠক তার খানিক আন্দাজ পাবেন বলেই আমাদের ধারণা।

     

     950.00
  • ভিনসেন্ট ভান গখ – পল গগ্যাঁ
    দুই শিল্পীর চিঠি : পারস্পরিক পারম্পরিক 

    পল গগ্যাঁ ও ভিনসেন্ট ভান গখ-এর প্রথম দেখা হয় প্যারিসে, ১৮৮৭ সালের শেষদিকে। প্রাথমিক পরিচয়ের পরের পর্যায় শুরু হয় পরস্পরের ছবি বিনিময় দিয়ে, আর সেই সূত্রেই শুরু হয় চিঠির আদানপ্রদান। ঘটনাবহুল তাঁদের বন্ধুত্বের স্থায়িত্ব মাত্রই দু-আড়াই বছর, কিন্তু উভয়ের কাছেই এই সময়পর্ব গুরুত্বপূর্ণ। এর শেষ হয় গখ-এর স্বেচ্ছামৃত্যুতে, আর তার কয়েক মাস পরেই গগ্যাঁ তাঁর জীবনের ও শিল্পদর্শনের শেষ গন্তব্য তাহিতি-র উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

    এক অর্থে এই চিঠিগুলি পাশ্চাত্যের শিল্প-ইতিহাসের এক বিশেষ পর্বের প্রাথমিক দলিলও। দুর্ভাগ্যবশত, দুনিয়া জুড়েই মানুষ শিল্প নিয়ে নানা গালগল্পে অভ্যস্ত। এই চিঠিগুলি হতে পারে তার পালটা এবং প্রকৃত বয়ান। শিল্পীদের নিজেদের বয়ানেই তাঁদের দৈনন্দিন জীবন, কাজ ও ভাবনার কথা জানা সব সময়েই ভালো। বিস্ময়কর যে শরীর-স্বাস্থ্যের সাংঘাতিক অবস্থা এবং চিরদারিদ্র্যের মধ্যেও এই দু-জন শুধু ছবিই আঁকেননি, সেই সঙ্গে তাঁদের প্রতিদিনের জীবন ও ভাবনাকে পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশদে বর্ণনা করে গেছেন। একদিক থেকে এই সব চিঠি হল তাঁদের শিল্পভাবনার তাত্ত্বিক দলিল, তাঁদের শিল্প-ইস্তাহারও।

    উপস্থাপনার দিক থেকে এ বই একেবারেই পরীক্ষামূলক, গোটা বইটি মুখবন্ধ খামের মতো, সচিত্র গোটা বইটি তার মধ্যে বুনে দেওয়া, খাম খুলে চিঠি পড়ার মতোই এ বই পড়তে হবে। নিঃসন্দেহে, কোন বই এর আগে ঠিক এ ভাবে এই ভূখণ্ডে প্রকাশিত হয়নি।

    নোকতা (বাংলাদেশ)-এর বই। প্রথম সংস্করণ

     

     260.00
  • প্রমথ চৌধুরী
    আত্মকথা

    “যে-প্রমথ চৌধুরীকে দেশের শিক্ষিত সমাজ জানে, বাংলা সাহিত্যিক গদ্যে নব রীতির প্রবর্তক, বুদ্ধির বিদ্যুৎদীপ্ত পরিহাস-রসিক ‘বীরবল’, ‘সবুজ পত্র’-এর সম্পাদক ও লেখক, যাঁর চমক লাগানো বাকচাতুরী সংস্কারলেশহীন দৃঢ় ঋজু মনের ঈষৎ বাঁকা বহিঃপ্রকাশ— এই আত্মকথা সেই প্রমথ চৌধুরীর মন ও ভাষার ভিত্তি গড়নের ইতিহাস। প্রমথবাবুর লেখার যারা পাঠক, তারা এ বই সাদর কৌতূহলে পড়বে।… কিন্তু সাহিত্যিকের আত্মকথা হিসাবেই এ বইয়ের আকর্ষণ নয়। এ আত্ম-কাহিনীতে যে-সব ঘটনা ও লোকের বর্ণনা আছে তা এমন নিপুণ রেখায় আঁকা, এমন কৌতুকহাস্যে সমুজ্জল যে নিজ গুণেই তা সাহিত্য হয়ে উঠেছে।” এ কথা ভূমিকায় লিখেছিলেন অতুলচন্দ্র গুপ্ত। কিন্তু এ বই গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়েছিল অনেক কাল আগে, তারও পরে লেখক বিভিন্ন পত্রে ‘আত্মকথা’র আরও কয়েকটি পর্ব লিখেছিলেন, সে সমস্তের অধিকাংশ উদ্ধার করে, একত্র করে এই সংস্করণ।

     210.00
  • সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুর
    ফ্যাসিজম

    সৌম্যেন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা এই বই বাংলা ভাষায় লিখিত, মুদ্রিত ও প্রকাশিত প্রথম ফ্যাসিবিরোধী বই। ১৯৩৪ সালে প্রকাশিত হলেও এর প্রস্তুতি চলেছিল ইতালিতে সৌম্যেন্দ্রনাথের বসবাসকালে। সোভিয়েত রাশিয়ার পর তাঁর রাজনৈতিক কাজকর্মের মূল কেন্দ্র ছিল জার্মানি। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ইতালির আল্পস ও ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের স্যানাটরিয়ামে চিকিৎসার জন্য আসেন ১৯৩১ সালের শেষার্ধে। ইতালিতে তখন ঘোর ফ্যাসিস্ট যুগ। ফ্যাসিস্ট তত্ত্ব ও প্রয়োগের অনুসন্ধানে ব্যাপৃত হয়ে তার ফাঁকির দিকটা বুঝে নিতে তাঁর দেরি হয়নি।

    মার্কসবাদী দৃষ্টিতে নিটোল যুক্তিতে ফ্যাসিস্ট তত্ত্বকে খণ্ডন করার সূত্রে এ বই আজ ঐতিহাসিক দলিল।

    আমাদের দুর্ভাগ্য যে এ বইয়ের পুনঃপ্রকাশ ও পুনঃপাঠ বারে-বারেই জরুরি হয়ে পড়ে।

     220.00
  • সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদ

    গ্রন্থনা ও সম্পাদনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    এই বইটা চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে, চিত্তপ্রসাদের আঁকা বিশেষ ধরনের ছবি নিয়ে। ১৯৪০-এর দশক। চিত্তপ্রসাদ তখন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সদস্য। পার্টি-কর্মী চিত্তপ্রসাদ কমিউনিস্ট পার্টির ইংরাজি ভাষায় প্রকাশিত পত্রিকা প্রথমে পিপলস ওয়র, পরে নাম বদলিয়ে পিপলস এজ-এ ছবি আঁকছেন। প্রতিবেদন লিখছেন। কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য চিত্তপ্রসাদ পার্টির কাগজের চিত্রকর, প্রতিবেদক-চিত্রকর। এই বইটা সেই সংবাদ-চিত্রকর চিত্তপ্রসাদকে নিয়ে।

    চিত্তপ্রসাদ ছবিকে, চিত্রশিল্পকে কমিউনিস্ট পার্টির রাজনীতিকতা, রাজনীতিক আন্দোলন, রাজনীতিক প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত করে দিয়েছেন। চিত্তপ্রসাদের ছবি রাজনৈতিক। এবং এই প্রত্যেকটি ছবি ও লেখার একটা রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পটভূমি রয়েছে। তার যতটা সম্ভব, এখানে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ছবিগুলির কয়েকটি নানা বইতে রয়েছে। বেশির ভাগই নেই। সেদিক থেকে ভাবলে বেশির ভাগ পাঠক এই সব ছবি এই প্রথম দেখবেন।

    কমিউনিস্ট পার্টির কাগজে ছাপা লেখাগুলি তো কমিউনিস্ট ভাবনার ইতিহাস— কখন, কোন্‌ সময়ে, কী বিষয়ে, কেন, কমিউনিস্ট পার্টি এমন ভেবেছে, লিখেছে, জানিয়েছে। লেখার পাশে ছবিও ইতিহাস আঁকে। ইতিহাস ব্যাখ্যা করে অন্য এক ভাষায়, অন্য এক ধরনে। চিত্তপ্রসাদ ছবি এঁকে সেই ইতিহাসের কোথাও সহকারী, কোথাও স্বাধীন রচয়িতা। সেই ইতিহাস চিত্তপ্রসাদ যেভাবে দেখেছেন, অনুভবে, ব্যাখ্যায়, পার্টির রাজনীতিক ধারণায়, নিজের রাজনীতিকতায়, শিল্পীসত্তায়, তা-ই এঁকে রেখেছেন পত্রিকার পাতায়, যা এখন ইতিহাসের মহাফেজখানায়।

    এ-ও এক ধরনের চিত্রপ্রদর্শনী। বিষয় যে-ভাবে আছে সে-ভাবে নয়, যে-ভাবে বিষয়কে দেখাতে চাওয়া, সে-ভাবে আঁকা। বাস্তবে যে-ভাবে এল, আছে, আসছে, আসবে, শুধু সে-ভাবেই নয়, বাস্তব যেমন হওয়াতে চায় শিল্পী সেই ভাবে।

    বইপত্তর (পশ্চিমবঙ্গ) ও নোকতা (বাংলাদেশ) যৌথ প্রকাশনা

     525.00
  • মলয় রায়
    বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা

    বাংলার প্রাচীন ও মধ্য যুগের পুঁথি, মন্দির-সংলগ্ন ফলক আর ভাস্কর্য, লৌকিক পট, কাঠখোদাই আর তেলরঙের ছবি, আধুনিক আলোকচিত্র এবং বিভিন্ন বই আর সাময়িকপত্রে বাঙালির বেশবাস-সংক্রান্ত অসম্বদ্ধ ভাবে ছড়িয়ে থাকা অজস্র তথ্যের ভেতর থেকে প্রাসঙ্গিক তথ্য সংকলন, নির্বাচন, বিশ্লেষণ আর কালানুক্রমিক ভাবে তা বিন্যস্ত করে এবং সাধ্যমতো তার চিত্রিত নথি পেশ করে বাঙালির বেশবাসে বিবর্তনের সুদীর্ঘ ধারাকে পূর্ণাঙ্গ এই গ্রন্থে বিবৃত করেছেন লেখক।

    বাংলা বা অন্য কোন ভাষায় বাঙালির বেশবাস সম্পর্কে এমন আলোচনার যথেষ্ট অভাব রয়েছে, আর সে-অভাব যে এই বইতে অনেকটাই পূরণ করেছেন তিনি, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

     350.00
  • হারবার্ট রিড
    শিল্পের সারার্থ

    মহাশয় রিড ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের সাহিত্য সাময়িকী ‘দ্য লিসনার’-এর জন্য প্রথম এই বইয়ের কিছু-কিছু রচনা ধারাবাহিক ভাবে লেখেন, পরে ‘দ্য মিনিং অফ আর্ট’ নামে বই হিসেবে প্রকাশের সময় আরও অনেক বিষয় নতুন করে লিখে তার আদ্যোপান্ত নতুনতর যুক্তিক্রমে সাজান, তাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিক সম্পূর্ণতার তাগিদে যার জের পরবর্তী কয়েক সংস্করণ জুড়ে চলতে থাকে। এখানে, মৃত্যুর আগে, তাঁর সর্বশেষ সংশোধিত পাঠেরই ভাষান্তর করা হয়েছে।

    এই বইয়ের প্রথম অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে শিল্পের সংজ্ঞা,  সৌন্দর্যের সংজ্ঞা, শিল্পের ধ্রুপদী আদর্শ, শিল্প ও নন্দনতত্ত্ব, রূপবিন্যাসের সংজ্ঞা ও গড়নের সংজ্ঞা ইত্যাদির মতো শিল্পের তাত্ত্বিক ও নান্দনিক নানা বিষয়। পরের অধ্যায়ে আদিম শিল্প, লোকশিল্প, মিশর, চিন ও পারস্যের শিল্প হয়ে রেনেসাঁ, বারোক ও রোকোকো থেকে ইমপ্রেশনিজম ও এক্সপ্রেশনিজম হয়ে আধুনিকতম শিল্পের নানা পর্যায় নিয়ে রয়েছে বিস্তৃত আলোচনা। প্রথম দুটি অধ্যায়ে শিল্পের ইতিহাসকে দর্শকের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হলেও শেষ অধ্যায়ে রয়েছে শিল্পীর দৃষ্টিকোণ থেকে তা দেখার প্রয়াস।

     450.00
  • সুব্রতকুমার মুখোপাধ্যায়।। সুশীলকুমার বর্মন
    ঝাড়গ্রাম জেলা প্রত্ন পরিক্রমা

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমাংশে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম মহকুমাকে ঝাড়গ্রাম জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল। ছোটনাগপুর মালভূমির অবক্ষয়িত প্রান্তভাগ এই অঞ্চল ছিল প্রাগৈতিহাসিক মানবের  চারণভূমি। মানবসভ্যতার আদি কাল থেকে আধুনিক কালে বিবর্তনের চিহ্নসমূহ সুস্পষ্ট ভাবে অঙ্কিত হয়ে রয়েছে  ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি ধূলিকণায়। যুগে-যুগে বহু ধর্মগুরু ধর্মপ্রচারে আবির্ভূত হয়েছেন জঙ্গলাকীর্ণ এই রাঢ়ভূমিতে। বহু সহস্র বছরের প্রাচীন আদিবাসী ধর্মচর্চার সমান্তরালে কখনও জৈন, কখনও বৌদ্ধ, কখনও আবার বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে কঙ্করময় এই লোহিত-মৃত্তিকায়। কিন্তু আদিবাসী সংস্কৃতি ব্যতীত অন্য কোন সংস্কৃতিই এখানে স্থায়ী আসন বিস্তার করতে পারেনি। বিভিন্ন ধর্মচর্চার নিদর্শনগুলি কিন্তু থেকে গেছে ঝাড়গ্রাম জেলার আনাচকানাচে। এই জেলার পথে-ঘাটে-প্রান্তরে, বিশেষত কাঁসাই, তারাফেনি, ভৈরববাঁকি, সুবর্ণরেখা, ডুলুং, পলপলার অববাহিকায় ছড়িয়ে রয়েছে হাজার-হাজার প্রত্ন-নিদর্শন যার অধিকাংশই এ পর্যন্ত অনালোচিত বা স্বল্পালোচিত। ঝাড়গ্রাম জেলার পাহাড়-মালভূমি, গুহাকন্দর, বনজঙ্গলে নিবিড় অনুসন্ধান ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশ, জমিদার-রাজাদের ইতিবৃত্ত ও ধর্ম-সংস্কৃতি বিষয়ক পুরাতাত্ত্বিক বিবরণ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে ‘ঝাড়গ্রাম জেলা প্রত্ন-পরিক্রমা’ বইটিতে। বইটি শুধু প্রত্ন-পরিক্রমা নয়, ঝাড়গ্রাম জেলা ও পার্শ্বস্থ এলাকার আঞ্চলিক ইতিহাস পরিক্রমার চাহিদাও অনেকাংশে পূরণ করবে।

     400.00
  • মধুপ দে
    মাটির মানুষ বিদ্যাসাগর

    এক স্পর্ধিত ব্যতিক্রমী চরিত্র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। পথের ধুলো থেকে গগনচুম্বী পাহাড়-চূড়া পর্যন্ত বিস্তৃত তাঁর মহাকাব্যিক জীবন। সূর্যতেজে দীপ্যমান, মহাতেজস্বী, প্রবল জাত্যভিমানী, অহঙ্কারী, স্থিরপ্রতিজ্ঞ বিশালহৃদয় বিদ্যাসাগর ছিলেন জ্ঞান, কর্ম, প্রেম ও পৌরুষের জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি। অনেক সাগর মিলে হয় মহাসাগর। দয়ার সাগর, করুণার সাগর, দানের সাগর, বিদ্যার সাগর মিলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও মহাসাগর।

    এই ক্ষুদ্র গ্রন্থের পাতায় তাঁকে পূর্ণ রূপে বিধৃত করা সম্ভব নয়। তবু, মিথ-এর নির্মোকমুক্ত তথ্যের আলোকে উদ্ভাসিত মাটির মানুষ বিদ্যাসাগরকে পূর্ণ রূপে দেখার প্রচেষ্টা আছে এখানে। নবীন হৃদয়ে বিদ্যাসাগরের সত্য রূপ প্রতিষ্ঠা করাই এই গ্রন্থের লক্ষ্য।

     250.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart