Brands

Sort By:
View:
  • বারীন সাহা
    ‘তের নদীর পারে’ ছবির সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য

    বারীন সাহা নামে এক চলচ্চিত্রকার যে প্রায় একশো বছর আগে জন্মেছিলেন এই দেশে, আর তিনি যে বছর-ষাটেকেরও আগে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্যের আধুনিক বাংলা ছবি পরিচালনা করেছিলেন, যে-ছবি বিষয়ে ও প্রয়োগে এখনও সমসাময়িক, আধুনিকতম— সে-কথা মনে রাখার লোক আজ বিরল হয়ে এসেছে।

    এই ছবি এখন দেখতে পাওয়াও কঠিন, বছর-কুড়ি আগে এর একটি মাত্র প্রিন্ট ছিল পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের আর্কাইভে, কিন্তু এখন তা-ও আর আছে কি না, বা কী অবস্থায় আছে, আমরা জানি না।

    চোখে দেখার সুযোগ প্রায় না-থাকলেও অন্তত মনে-মনে এই আশ্চর্য ছবিটি দেখার জন্য অতএব এখন শুধু এই চিত্রনাট্যটি থাকল।

    কিন্তু বলে নেওয়া ভালো যে, এই চিত্রনাট্য স্বয়ং পরিচালকের নিজের হাতে লেখা নয়, বা তাঁর শুটিং স্ক্রিপ্ট নয়। পুনের ফিল্ম আর্কাইভ থেকে ছবিটি যোগাড় করে স্টেইনবেক যন্ত্রে তা চালিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ ডিটেলে এই চিত্রনাট্য একদা প্রস্তুত করেছিলেন পিনাকী চট্টোপাধ্যায়। ঐ ইনস্টিটিউটের সম্পাদনা বিভাগে ২০০৪-এ তিনি শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁকে তখন সাহায্য করেছিলেন প্রমিতা ভট্টাচার্য আর বিশেষত ছবির স্টিল নির্বাচনে সূর্যদীপ রায়। নির্বাচিত সেই সমস্ত ছবি এই বইয়ে যথাস্থানে ছাপা হয়েছে। বস্তুত এই একটি কাজের জন্য বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস তাঁদের কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে বলে মনে হয়।

    একই সঙ্গে বেরিয়েছে বারীন সাহার নিজের লেখাপত্র, কথালাপ ও সাক্ষাৎকার এবং বারীন সাহা-কে নিয়ে তাঁর অনুরাগী, সমধর্মী-সহকর্মী ও সমালোচকদের লেখাপত্রের আর-একটি সংকলন : ‘চলচ্চিত্রাক্ষর’। নতুন প্রজন্মের পাঠক যদি দুটি বই একসঙ্গে পড়েন, তবে বারীন সাহা-কে খানিকটা ছুঁতে পারবেন।

     265.00
  • বারীন সাহা
    চলচ্চিত্রাক্ষর

    ‘তের নদীর পারে’র মতো অদ্বিতীয় ছবির পরিচালক বারীন সাহা সারা জীবনে ছবি করার সুযোগ পেয়েছেন ঐ একটাই, তার সঙ্গে ‘চেঞ্চু’ বা ‘ভাসা’র মতো দুটি ডকুমেন্টারি আর ‘শনিবার’-এর মতো স্বল্প দৈর্ঘ্যের একটি ছবির কথা ধরলে যা দাঁড়াবে, তা দিয়ে বাংলা ছবির জাবদা ইতিহাসে তাঁর নাম লেখার মতো প্রায় কোন জায়গাই জোটে না। পাশাপাশি এ কথাও স্মর্তব্য যে বারীন সাহা তাঁর সময়ে কেতাবি মতেই রীতিমতো শিক্ষিত পরিচালক ছিলেন। খোদ ইয়োরোপে গিয়ে চলচ্চিত্রের পাঠ নিয়েছিলেন হাতে-কলমে, কতিপয় তাবড় পরিচালককে দেখেছিলেন কাছ থেকে, এমনকী পেশাদার হিসেবে ঐ বিদেশেই কাজ করেছিলেন সহকারের। তাঁর স্থান-কালের পরিসরে এ যোগ্যতা আর কার ছিল? কার ছিল এই অভিজ্ঞতা? তবু কেন আর ছবি করলেন না তিনি, কেন তার কোন সুযোগ পেলেন না? ছবি করলেন না তো সারা জীবন করলেন কী? তার কিছু-কিছু সংকেত মিলবে এই বইতে। অদ্বিতীয় এই চলচ্চিত্র-পরিচালকের লেখা কয়েকটি প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার আর কথোপকথনের বয়ান নিয়ে এই সংকলন। সেই সঙ্গে এই আশ্চর্য মানুষটির জীবন আর কাজকে বোঝার জন্য রয়েছে তাঁর অনুরাগী ও সহকর্মী-সহমর্মী কয়েকজনের লেখা।

     245.00
  • ছবি-কথায় আব্বাস কিয়ারোস্তামি
    চেরির স্বাদ ও অন্যান্য
    সংকলন ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    কিয়ারোস্তামি-র ছবির ঠিক বর্ণনা বা ব্যাখ্যা ইত্যাদি হয় না। একমাত্র উপায় হল তাঁর ছবি দেখা। শুধু চোখে দেখাও নয়, কিয়ারোস্তামি চান তাঁর ছবির অদৃশ্য নানান অংশ দর্শক নিজের মনে-মনেও খানিকটা দেখুন, অদৃশ্য ফাঁকগুলো মনে-মনে খানিকটা পূরণ করে নিন। তাঁর ছবি দেখে লোকে খুব তৃপ্ত বা সন্তুষ্ট হোক, এ তিনি চাননি। বরং চেয়েছেন তাদের অস্বস্তি হোক, আর তা কাটাতে তারা বাধ্য হোক তাঁর ছবি নিয়ে ভাবতে, কথা বলতে।

    জীবিত থাকতেই তাঁর নাম চলচ্চিত্রের মহান সব স্রষ্টাদের সঙ্গে একই আসনে সংরক্ষিত। যে-জায়গা থেকে গোদার বলেছিলেন, “… চলচ্চিত্রের শেষ কিয়ারোস্তামি-তে।”

    এ বইয়ে কিয়ারোস্তামি-র সঙ্গে সাত সাক্ষাৎকারীর কথাবার্তার সম্পূর্ণ বয়ান এবং আরও সাত সাক্ষাৎকার থেকে প্রশ্ন বাদ দিয়ে শুধু কিয়ারোস্তামি-র নিজের কথার অংশবিশেষ রয়েছে। সেই সঙ্গে আছে আর-এক যুগান্তকারী চলচ্চিত্রকার আকিরা কুরোসাওয়া-র সঙ্গে কিয়ারোস্তামি-র কথোপকথনের বয়ান। বছর-সাতেক আগে এ বই প্রথম প্রকাশের সময় কিয়ারোস্তামি-র কবিতার তেমন অনুবাদ বাংলায় হয়নি। বলা যায়, বাংলাভাষী পাঠকের কাছে সেই ছিল কবি কিয়ারোস্তামি-র প্রথম আবির্ভাব। ইতিমধ্যে অনেকেই তাঁর কবিতার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছেন, অনেকে অনুবাদ করেছেন, বই করেছেন, এ কারণে এই বইয়ে কবিতার অংশ সম্পূর্ণত বাদ দেওয়া হল। থাকল কেবল চলচ্চিত্রী এবং অংশত আলোকচিত্রী আব্বাস কিয়ারোস্তামি-র কথা।

     285.00
  • ঋত্বিককুমার ঘটক-এর জীবন ও চলচ্চিত্র : নির্বাচিত রচনা ও সাক্ষাৎকার
    ঋত্বিক-চরিত

    ঋত্বিককুমার ঘটক সম্পর্কে এ হল আমাদের প্রিয় কয়েকটি লেখা আর কথালাপের সংগ্রহ, হারিয়ে-যাওয়া পত্রিকা আর ফুরিয়ে-যাওয়া বই থেকে আহরিত। এ বইয়ের এক দিকে আছে ঋত্বিকের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের স্মৃতিচারণ। যথা দীনেন গুপ্ত, বেবি ইসলাম, রমেশ যোশি, উস্তাদ বাহাদুর খাঁ, রণেন রায়চৌধুরী এবং বিজন ভট্টাচার্য। আর-এক দিকে আছে তাঁর অনুরাগীদের বিশ্লেষণ। যথা কুমার সাহানি, নিমাই ঘোষ, পার্থপ্রতিম চৌধুরী, জন আব্রাহাম, দীপক মজুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন ঘোষ, জ্যোৎস্নাময় ঘোষ, অরূপরতন বসু ও নবারুণ ভট্টাচার্য । সব মিলিয়ে ঋত্বিক-চরিতের এ এক আন্তরিক উন্মোচন।

    পরিবর্ধিত ও সচিত্র বইপত্তর সংস্করণ

     300.00
  • ঋত্বিককুমার ঘটক
    নিজের পায়ে নিজের পথে
    এক কথা-কোলাজ

    বাংলা চলচ্চিত্রের এই পথিকৃৎ চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র এবং জীবনযাপনের সমূহ বিষয়ে তাঁর ভাবনা ও অভিজ্ঞতার কথা যেমন অসংখ্য মূল্যবান রচনায় ব্যক্ত করেছেন, তেমনই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মুখে-মুখে বলেছেন নানান কথা।

    সেই সমস্ত সাক্ষাৎকারের বয়ান থেকে তাঁর মুখের কথাকে ভেঙে, নতুন করে সাজিয়ে গড়ে তোলা এই কথা-কোলাজ। এক-একটা বিষয়ের ঘেরে, তাঁর জীবনানুক্রম বজায় রেখে সংকলিত।

     320.00
  • ফেদেরিকো ফেলিনি
    একটি ছবির জন্ম ও অন্যান্য
    নির্বাচিত রচনা বক্তৃতা সাক্ষাৎকার

    চলচ্চিত্র-পড়ুয়াদের কাছে ইতালির মহত্তম পরিচালক ফেদেরিকো ফেলিনি (১৯২০-১৯৯৩) অবশ্যপাঠ্য। ‘লা স্ত্রাদা’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘এইট অ্যান্ড হাফ’ বা ‘আমারকর্দ’-এর মতো আশ্চর্য সব কিংবদন্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। অবশ্যপাঠ্য বলতে প্রথমত ফেলিনি-র ছবিই যে আগে পড়তে হবে, অর্থাৎ দেখতে হবে, সে-কথা বলা বাহুল্য। তার পরে আসে অন্যান্য সূত্র, অর্থাৎ তাঁর সম্পর্কে তাঁর নিজের এবং সমালোচকদের ভাষ্যপাঠের প্রশ্ন। কিন্তু সমালোচকরা কেউ তাঁকে বলেছেন ভণ্ড, ক্লাউন একটা, পাক্কা শয়তান। কেউ আবার বলেছেন, ওঃ যাদুকর লোক, পুরোদস্তুর কবি, সত্যিকারের প্রতিভাবান। বেশ। কিন্তু ফেলিনি নিজে কী বলছেন? নিজের জীবন, নিজের ছবি ইত্যাদি নিয়ে তাঁর নিজের ভাবনাটা কী? এ বইতে ঠিক সেই ভাবনার হদিশই রয়েছে ফেলিনি-র নিজের বয়ানে। আধুনিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসাহী পাঠকের অবশ্যপাঠ্য।

     300.00
  • দীপেন্দু চক্রবর্তী
    সিনেমা নিয়ে কথা 

    সিনেমা নিয়ে নানান পত্রিকায় কয়েক দশক ধরে লিখছেন দীপেন্দু চক্রবর্তী, বলা যায় এই প্রথম তা একত্র হল। ফলে পাঠক যেমন সিনেমা নিয়ে লেখকের ভাবনার ব্যাপ্তি ও গভীরতার সন্ধান পাবেন এখানে, তেমনই যেহেতু দীপেন্দু লিখেছেন মূলত বাংলা সিনেমা নিয়ে, তাই গত কয়েক দশকের বাংলা সিনেমার একটা ক্রম-ইতিহাসও পেয়ে যাবেন এই সূত্রে। কেউ-কেউ হয়তো লেখকের মতে আস্থা রাখবেন, আবার কেউ-কেউ, আশা করা যাক যে হয়তো প্ররোচিত হবেন তুমুল তর্কে। বলা থাক, পাঠকের সঙ্গে এহেন মত-বিনিময়ে লেখকের অরুচি নেই। সহমত-ই হোন বা প্ররোচিত হোন তর্কে, একটা কথা ঠিক যে এ সমস্ত লেখা পড়তে শুরু করলে শেষ না করে তৃপ্তি নেই।

    প্রথম সংস্করণ, ১৬৫ পৃষ্ঠা

     210.00
  • রবের ব্রেসঁ
    চলচ্চিত্র : চিন্তাবীজ
    ‘নোট্‌স অন সিনেমাটোগ্রাফি’ ও এক দীর্ঘ সাক্ষাৎকারের বয়ান
    সংকলন ও ভাষান্তর : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    ‘নোট্‌স অন সিনেমাটোগ্রাফি’ ফরাসি চলচ্চিত্রকার রবের ব্রেসঁ-র লেখা একমাত্র বই। দীর্ঘদিন ধরে ছোট-ছোট সূত্রের আকারে বা আমরা যেমন বলেছি, প্রায় বীজের আকারে চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবনা এখানে নথিবদ্ধ করেছিলেন ব্রেসঁ।
    ‘ন্যুভেল ভাগ’ ফরাসি নিউ ওয়েভ চলচ্চিত্রকারদের ওপর ব্রেসঁ-র কাজের বিপুল প্রভাব পড়েছিল। গোদার ফরাসি চলচ্চিত্রে তাঁর অবদানকে জার্মান সঙ্গীতে মোজার্ট এবং রুশ সাহিত্যে দস্তয়ভস্কি-র অবদানের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। অন্য দিকে, তারকভস্কি তাঁকে বাখ এবং লিওনার্দো দা ভিঞ্চি-র সঙ্গে তুলনীয় বলে মনে করেছেন।
    এ বইয়ে রয়েছে ‘নোট্‌স অন সিনেমাটোগ্রাফি’-র সম্পূর্ণ অনুবাদ। সূত্রাকারে তাঁর ভাবনার যেটুকু সেখানে অধরা বলে মনে হবে, সংশ্লিষ্ট দীর্ঘ এক সাক্ষাৎকারে তার অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

     350.00
  • খ্রিস্তভ কিয়েসলোভস্কি
    প্রেম ও হত্যা
    দুটি ছবির চিত্রনাট্য/ পরিচালকের বক্তব্য ও সাক্ষাৎকার

    ‘প্রেম’ ও ‘হত্যা’ নিয়ে এই দুটি ছোট ছবি আদতে খ্রিস্তভ কিয়েসলোভস্কি পরিচালিত পোলিশ টেলিভিশনের জন্য তৈরি দশটি ছবির সিরিজ ‘ডেকালগ’-এর অন্তর্গত। তার মধ্যে এ দুটি ছবি (ডেকালগ ৫ ও ৬) একই সঙ্গে সামান্য পরিবর্তনসাপেক্ষে ‘আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট লভ’ এবং ‘আ শর্ট স্টোরি অ্যাবাউট কিলিং’ নামে স্বতন্ত্র দুটি কাহিনিচিত্র হিসেবেও নির্মিত হয়। এখানে প্রকাশিত দুটি চিত্রনাট্যই ঐ কাহিনিচিত্রের। এই সংকলনে আরও আছে ‘ডেকালগ’ নিয়ে পরিচালকের দুটি সাক্ষাৎকার এবং আলাদা করে এ দুটি ছবি নিয়ে তাঁর বক্তব্য।

    পরিবর্ধিত প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ১১৪ পৃষ্ঠা

     160.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart