Brands

Sort By:
View:
  • ঋত্বিককুমার ঘটক-এর জীবন ও চলচ্চিত্র : নির্বাচিত রচনা ও সাক্ষাৎকার
    ঋত্বিক-চরিত

    ঋত্বিককুমার ঘটক সম্পর্কে এ হল আমাদের প্রিয় কয়েকটি লেখা আর কথালাপের সংগ্রহ, হারিয়ে-যাওয়া পত্রিকা আর ফুরিয়ে-যাওয়া বই থেকে আহরিত। এ বইয়ের এক দিকে আছে ঋত্বিকের সঙ্গে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁদের স্মৃতিচারণ। যথা দীনেন গুপ্ত, বেবি ইসলাম, রমেশ যোশি, উস্তাদ বাহাদুর খাঁ, রণেন রায়চৌধুরী এবং বিজন ভট্টাচার্য। আর-এক দিকে আছে তাঁর অনুরাগীদের বিশ্লেষণ। যথা কুমার সাহানি, নিমাই ঘোষ, পার্থপ্রতিম চৌধুরী, জন আব্রাহাম, দীপক মজুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, উদয়ন ঘোষ, জ্যোৎস্নাময় ঘোষ, অরূপরতন বসু ও নবারুণ ভট্টাচার্য । সব মিলিয়ে ঋত্বিক-চরিতের এ এক আন্তরিক উন্মোচন।

    পরিবর্ধিত ও সচিত্র বইপত্তর সংস্করণ

     300.00
  • ঋত্বিককুমার ঘটক
    নিজের পায়ে নিজের পথে
    এক কথা-কোলাজ

    বাংলা চলচ্চিত্রের এই পথিকৃৎ চলচ্চিত্র নির্মাণের পাশাপাশি চলচ্চিত্র এবং জীবনযাপনের সমূহ বিষয়ে তাঁর ভাবনা ও অভিজ্ঞতার কথা যেমন অসংখ্য মূল্যবান রচনায় ব্যক্ত করেছেন, তেমনই বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মুখে-মুখে বলেছেন নানান কথা। সেই সমস্ত সাক্ষাৎকারের বয়ান থেকে তাঁর মুখের কথাকে ভেঙে, নতুন করে সাজিয়ে গড়ে তোলা এই কথা-কোলাজ। এক-একটা বিষয়ের ঘেরে, তাঁর জীবনানুক্রম বজায় রেখে সংকলিত।

    নতুন সংস্করণে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মূলের ইংরেজি থেকে আরও দুটি সাক্ষাৎকারের অনূদিত বয়ান।

     320.00
  • ভোলানাথ ভট্টাচার্য
    পট ও পটুয়া-কথা এবং অন্যান্য কথামালা

    ‘পট’ শব্দের উৎস, তার ইতিহাস; পটের প্রকরণ ও পরিবর্তনের ধারা; অনুরূপ শিল্পনমুনার সঙ্গে তার সাযুজ্য ও সম্পর্ক; পটচিত্রকর বা পটুয়াশিল্পীর পরিচয় এবং আনুষঙ্গিক যাবতীয় বিষয় নিয়ে এই বইয়ের নাম-প্রবন্ধটির তুল্য সার্বিক আলোচনা বাংলাভাষায় আর নেই। সেই সঙ্গে এই বইয়ে বিশদে রয়েছে কালীঘাট পটের কথা, রয়েছে মৃৎশিল্পের খণ্ডচিত্র ও কুমারটুলির কথা। আছে লিপি ও লিখনশিল্প এবং দেহাঙ্গচিত্রণের কথা। প্রবীণ লেখক ও গবেষকের গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধের সংকলন।

    পরিবর্ধিত ও সচিত্র দ্বিতীয় সংস্করণ

     160.00
  • মধুপ দে
    রাজদ্রোহী রানি শিরোমণি

    কর্ণদুর্গ এবং কর্ণগড় কি এক? কর্ণগড় স্থাপনের আগে কারা রাজত্ব করত সেখানে? ভূমিজ রাজার পরে খেড়িয়া রাজারা কি রাজত্ব করতেন এখানে? কেমন করে প্রতিষ্ঠা হল কর্ণগড় রাজবংশ? মেদিনীপুরের অন্যতম বৃহৎ রাজত্ব মেদিনীপুর মহালের রাজধানী কর্ণগড়ের প্রাচীন মহিমা অনুসন্ধান। একসময়ে এই রাজ্যের রাজারা ছিলেন বাংলার নবাবের বারোহাজারি মনসবদার। নবাবের বারো হাজার সৈন্য থাকত এখানে। সাতপুরুষে পুরুষশূন্য হওয়ায় এক বিধবা নারী রানি শিরোমণি বসেছিলেন সেই রাজ্যের সিংহাসনে। কিন্তু, কী এমন করেছিলেন সেই রানি যে বীরপুরুষ ইংরেজরা তাঁকে রাজদ্রোহী রূপে বন্দি করতে বাধ্য হয়েছিল? ব্রিটিশ ভারতের প্রথম রাজবন্দিনী সেই মহীয়সী রমণীর জীবনবৃত্তান্ত, তাঁর রণকৌশল, তাঁর পিছড়ে বর্গের মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান, মা মহামায়ার মন্দির এবং শিবায়ন কাব্যের রচয়িতা রামেশ্বর ভট্টাচার্যের কথাই এই গ্রন্থের প্রতিপাদ্য।

     280.00
  • বাংলা কার্টুনে ভোট

    গ্রন্থনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    ভোট গম্ভীর ব্যাপার। ভোট মজার ব্যাপার। ঠাট্টা-তামাশার ব্যাপার। বিষয় নিয়ে ব্যঙ্গ। কথায়, প্রতি দিনের প্রতি জনের কথায়। আঁকায়, ব্যঙ্গচিত্রীদের আঁকায়।

    সেই কবে থেকে ভোট নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র। যবে থেকে ব্যঙ্গচিত্র ছাপা হওয়া বাংলা পত্রিকায়। ১৮৭৪ সাল থেকে। প্রথম ‘বসন্তক’ পত্রিকায়।

    ভোট নিয়ে, ভোটের বিষয় নিয়ে সাধারণজনের হাসি ঠাট্টা মশকরা তামাশা বিদ্রূপ ব্যঙ্গচিত্রীর আঁকায়, কথায় চলে আসে। হালকা চালে। সমালোচনায়। যেমন হয় কার্টুনে। বাইরে থেকে দেখে নিলে, পড়ে ফেললে একরকম। ভিতরে ঢুকলে, বুঝে নিলে অন্যরকম। ব্যঙ্গচিত্রী সমালোচক।

    প্রথম পর্বের সাজিয়ে নেওয়া কার্টুন ছাপানোর সময় ধরে।

    দ্বিতীয় পর্বে দেওয়া গেল বাংলাদেশের শিল্পী রফিকুন নবী-র ভোট নিয়ে আঁকা কিছু কার্টুন।

    রফিকুন নবী-র একটি জনপ্রিয় কার্টুন-চরিত্র ‘টোকাই’। টোকাইকে নিয়ে আমরা আগেই একটি বই বানিয়েছি। তাঁর আঁকা আর-একটি কার্টুন-চরিত্র ‘ভোটারালী’। টোকাইয়ের মতো ভোটারালীও না-মানুষদের সঙ্গে কথা-বলাবলি করে। সে কখনও গাঁয়ে, কখনও শহরে। কখনও সে প্রশ্ন করে, কখনও উত্তর দেয়। সে-সব প্রশ্ন আমাদেরই, উত্তরও আমাদেরই। সাধারণ মানুষদের।

    এ বাংলায় ভোটারালী-কে আনা গেল এবার।

     180.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    তখন যেমন এখন তেমন : বাংলা কার্টুনে সময়ের ছবি

    এদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক দুরবস্থা পঞ্চাশ-একশো বছর আগে যেমন ছিল, এখনও মনে হয় রয়ে গেছে তেমনই, পালটায়নি কিছু। বাংলার সংবাদপত্র আর সাময়িকপত্রে প্রকাশিত কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে গবেষণার সূত্রে এই অপ্রিয় সত্য প্রায় নতুন করে উপলব্ধি করেছেন লেখক।

    গগনেন্দ্রনাথ, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোর, পরিতোষ সেন, রেবতীভূষণ, অমল চক্রবর্তী, সুফি, কাফী খাঁ, চণ্ডী লাহিড়ী, কুট্টি প্রমুখের মূল কার্টুনের প্রতিলিপি-সহ এই বইয়ে রয়েছে প্রত্যেকটি কাজ নিয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য আর টীকাভাষ্য।

    এ বই কার্টুনের সূত্রে একটা কালপর্বের বাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসও।

     270.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    একটি দেওয়ালছবির জন্মকথা

    “শিল্পরচনার প্রধান ভূমি ঢাকার শহিদ মিনার চত্বর। শিল্পের প্রতি, বিশেষত রাজনীতিক শিল্পের প্রতি ভালোবাসায় আমি শহিদ মিনার চত্বরে ঘুরে-ঘুরে সেবার ছবি আঁকা দেখছিলাম। শিশির ভট্টাচার্য একটি দেওয়ালে ছবি আঁকছিল। দুটি কারণে আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। এক, শিশির দেওয়ালে ছবি আঁকছে, ওর এই পরিচয় আমি আগে পাইনি। দুই, আমি নিজে একসময় দেওয়াল আঁকায় নয়, দেওয়াল লেখায় থাকতাম, একা নয়, দলের সঙ্গে। সেই টানেই শিশিরের আঁকার সামনে দাঁড়িয়ে যাই। শহিদ মিনার চত্বরে ২১শে ফেব্রুয়ারির জন্য ক’দিন ধরে দেওয়াল আঁকা চলে। শেষদিনে আমি ঠিকই করেছিলাম যতক্ষণ শিশির দেওয়ালে ছবি বানাবে, আমি দেখব। সকালদুপুরবিকেলসন্ধেরাত যতক্ষণ শিশির ছবি এঁকেছে, আমি দাঁড়িয়ে, বসে দেখেছি। একটা শিল্পের জন্ম নেওয়ার সাক্ষী থাকতে।”

    এই বইতে আছে লেখকের সেই অভিজ্ঞতার বয়ান, একটি দেওয়ালছবির জন্মকথা। সঙ্গে লেখকেরই নিজের হাতে তোলা প্রায় ২০ পৃষ্ঠা রঙিন ছবি।

     160.00
  • অসীম রেজ
    চিত্রকর ফ্রিদা কাহলো : এক অনন্য নারী

    আধুনিক চিত্রকলায় নারীসত্তার উন্মোচনে যে-কয়েকজন শিল্পীর ভূমিকা স্মরণীয়, তাঁদের মধ্যে মেক্সিকোর চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো অন্যতম। ভারতীয় শিল্পীদের ভিতর একমাত্র অমৃতা শের-গিলের সঙ্গে তাঁর তুলনা চলে। ফ্রিদা-র ব্যক্তিসত্তার উন্মেষ ঘটেছিল এক গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিভূমিতে। তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে মেক্সিকোর বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সশস্ত্র বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এক গণতান্ত্রিক, উদার ও সুস্থ সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যে নিপীড়িত ও শোষিত জনগণের পক্ষে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। স্বদেশ-ভাবনা এবং স্বাজাত্যাভিমান ছিল তাঁর জীবন-আদর্শের মূল কথা। তাঁর শিল্পভাবনার কেন্দ্রে ছিল স্বাধীন ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ। তিনি সমাজ ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা যেমন স্বীকার করেছিলেন, তেমনই নারীসত্তার উন্মোচনে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনে ব্যক্তিগত জীবন বাজি রেখেছিলেন। তাঁর শিল্পকলায় জীবন-সংগ্রাম ও কঠোর বাস্তবতা, ফ্যান্টাসি ও কল্পনা এবং আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের এক আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটেছিল। একদিকে ইউরোপীয় আধুনিকতা, অন্য দিকে মেক্সিকোর সনাতন জনপ্রিয় লোকশিল্পের ধারা তাঁর শিল্পকর্মের প্রাণবিন্দু।

    ফ্রিদা-র জীবন ও শিল্পকর্মের সামগ্রিক পরিচয় নিয়ে এ বাংলার প্রথম বই। সঙ্গে আছে তাঁর অনেক ছবির রঙিন ও শাদা-কালো প্রতিলিপি।

     200.00
  • শক্তিনাথ ঝা
    লোকধর্মের বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

    ভদ্রলোকের ধারণায় শিষ্ট জীবন হল দেয়ালবন্দি, আচারপ্রধান। আর লোকজীবন হল অনাচার-যথেচ্ছাচারে মুক্ত, স্বাধীন, এক কথায় সহজিয়া। লোকধর্ম অর্থমূল্যে বিকোয় না। কঠোর অনুশীলনে অর্জন করতে হয় ধর্মবোধ। এ বোধ ব্যতিরেকে আত্ম-অনুভবের মহাসুখের স্বাদ মেলে না। সেখানকার পাশপোর্ট সাধনার, শ্রমের মূল্যে কিনতে হয়।

    লোকধর্মের সাহিত্যে যৌনতা শব্দটির ব্যবহার প্রায় নেই। দেহে ক্ষুধা, নিদ্রা, বাসনা, মৈথুনের আবেগাদি আছে। আছে দশেন্দ্রিয় ষড়্‌রিপুর স্বভাব-ধর্মগুলি। এগুলি ভালো বা মন্দ, পাপ বা পুণ্য, কোনটিই নয়। এগুলি সহজাত দেহধর্ম। বৈষ্ণব বাউল-ফকিরেরা কামকে নিষ্কাম প্রেমে পরিণত করতে চায়। এটি তাদের সাধ্য ও সাধনা। তাদের খাদ্য, অশন-বসন, দর্শন একটু আলাদা।

    অনিত্য ভুবনে, অনাত্ম দেহে নানা দুঃখ আছে। দেহের ক্ষয়-জরা-রোগকে প্রতিষেধ করতে হয়, মনে শোকতাপকে ছিন্ন করতে হয়, অহং-এর তৃষ্ণাকে শমিত করতে হয়। বাহ্য জগতের ঘটনাবলিকে অনিবার্য বলে মানলে এ ভুবন বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। তখন মানবিক সম্বন্ধের মন্থিত অমৃতকে খুঁজতে হয়।  লোকধর্মে কঠোর অনুশীলনে দেহ-মন বদলে আত্মদীপ হতে হয়। এর শতেক পন্থা, অযুত প্রকরণ-পদ্ধতি সাধু-সন্তদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে। সেগুলি বুকে (সিনায়) থাকে, মুখে শোনা যায়। আর কিছু দেখে অনুকরণ করতে হয়।

    আরশি-নগরের পাশে এক ঘর, সে ঘরের পড়শিরা কৃপা করে ডেকে নিয়েছিলেন। যারা স্মরণে মরেন না, তাদের কথার কথকতার সূত্রেই এ রচনা। লোকধর্মের জীবনপ্রবাহ থেকে নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুননির্মাণ করে-করে একরকম ইতিহাস রচনার অদক্ষ প্রয়াসও কেউ-কেউ খুঁজে পেতে পারেন এ রচনায়। লৌকিক সাধকেরা ‘অপর নন’। তাঁরা আর-পাঁচজন মানুষেরই মতো। প্রবহমান কাল এবং ঘটনা অনিবার্য ভাবেই তাঁদের উপরে ছায়া ফেলে। প্রতিটি মানুষের মতো এ সাধকেরা প্রত্যেকে বিশিষ্ট, অনন্য। অলৌকিক সাধু নয়, লৌকিক অসাধারণ মানুষেরা এ রচনায় স্থান নিয়েছেন। এগুলি অলৌকিক রহস্যগাথা নয়, রহস্যে বাঁধা জীবনের কথা।

     400.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত গ্রন্থিত
    গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কার্টুনে হিন্দুত্ববাদ

    হিন্দুত্ববাদের সামাজিক কাঠামোয় নানান ধর্মীয় অনুশাসন, নানা বিধান, আচার-আচরণ, নিষেধের বেড়াজাল। হিন্দত্ববাদের রাজনৈতিক কাঠামোয় দেশপ্রেম, যা আসলে প্রশ্নহীন আনুগত্যের রকমফের। আমাদের দেশে এখন সেই হিন্দুত্ববাদীদের দাপট। তারাই এখন কেন্দ্রীয় শাসনে, ক্ষমতায়। সেই সূত্রেই আসছে নানান ফতোয়া, আনুগত্য প্রকাশের চাপ। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হচ্ছে। নানা রূপে, নানা ধরনে। একটা ধরন হল কার্টুন। আর সেখানেই পাওয়া গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাঁর আঁকা কার্টুনের বিষয়ে আর এখনকার বিষয়ে দেখা যাচ্ছে আশ্চর্য মিল। একশো বছর আগেও যা সত্যি ছিল, দেখা যাচ্ছে এখনও তার কোন বদল ঘটেনি। দু-ভাগে সাজানো এই বইয়ে সংকলিত কার্টুনে পাঠকের তা খুঁজে নিতে অসুবিধে হবে না কোন।

    নতুন মুদ্রণে ৮টি কালার প্লেট যুক্ত হল। বইপত্তর-এর বই।

     150.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    আর্য রহস্য 

    আর্য মানে যে কৃষক, স্থায়ী গৃহস্থ, সে-সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। আর ঋগ্বেদের বিরাট অংশ হল চাষবাস বিষয়ক মন্ত্র। তাই য়ুরোপীয় কোন-কোন পণ্ডিত ঠাট্টা করে বলতেন, ঋগ্বেদ হল চাষার গান। এই উক্তিতে আমাদের অনেক পণ্ডিতের মনে কষ্টও হয়েছে। “বেদের বহু স্তোত্রে চাষের কথা আছে। ভূমি সুজলা সুফলা হয়, তাহার জন্য দেবতাদের নিকট অনেক প্রার্থনাও আছে। সুতরাং তাহাদের সিদ্ধান্ত হইল, বৈদিক স্তোত্রকারগণের যে সমাজ তাহা সভ্যতার আদিম বা চাষের স্তরে মাত্র উঠিয়াছিল। তাঁহারা মন্তব্য করিলেন, বৈদিক মন্ত্র সব চাষার গান।” কথাটা কিন্তু অমূলক নয়। কারণ শব্দবিচার করে আমরা জানতে পারব— আর্য শব্দের মৌলিক অর্থই হল কৃষক।

    আজকের দিনে অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী পণ্ডিতই বলছেন, তামাম পৃথিবীতে যে-সমস্ত সংস্কৃত শব্দের অপব্যাখ্যা হয়েছে, তার মধ্যে ‘আর্য’ শব্দটি বোধ হয় সবচেয়ে অভাগা। এর পেছনে কাজ করেছে পাশ্চাত্যের গূঢ় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী বাসনা। সংস্কৃতিতত্ত্ব আর ভাষাতত্ত্বের সূত্রে আর্য জাতি সম্পর্কে প্রকৃত সত্যের উদ্‌ঘাটনই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। সব অর্থেই এ বই বিস্ফোরক বই, প্রচলিত ধ্যানধারণা নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা

     160.00
  • নোয়াম চমস্কি 
    গণমাধ্যমের চরিত্র  

    “জনসংযোগ এক বৃহৎ শিল্প। এ বাবদে এখন বছরে বিলিয়ন ডলারের হিসেবে খরচ হয়। জনতার মনকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই তার বরাবরের দায়। জনসংযোগকে ইন্ডাস্ট্রির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পথিকৃৎ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।জনসংযোগের শিল্পক্ষেত্রে যারা আছেন, তারা কেউ সেখানে মজা মারার জন্য বসে নেই। তারা রীতিমতো কাজ করছেন সেখানে। তারা লোকের মনে সঠিক মূল্যবোধ চারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বস্তুত, প্রকৃত গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের একটা ধারণা আছে : এ ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যেখানে বিশেষজ্ঞদের প্রভুর স্বার্থে কাজ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রভু মানে এই সমাজটা যাদের। জনগণের বাদবাকি অংশকে সংগঠিত হওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে, কারণ সংগঠন মাত্রেই ঝামেলা পাকায়। টিভির সামনে এদের একা বসিয়ে রাখতে হবে, আর মাথায় এ কথা ঢুকিয়ে দিতে হবে যে জীবনের একমাত্র অর্থ হল চারপাশে আরওআরও পণ্য জোটাও বা ঐ ধনী মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো জীবন কাটাও, যা তুমি টিভির পর্দায় দেখছ।” লিখেছেন নোয়াম চমস্কি।

    রাষ্ট্রশাসনের অন্যতম হাতিয়ার এই  গণমাধ্যম। সমকালীন রাজনীতিতে তার ভূমিকা, মিথ্যে প্রচার আর তথ্যগোপনের কূটকৌশলে ব্যাপ্ত সে এক ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত। এ নিয়ে লেখার যোগ্যতম যিনি, তাঁর কলমে ক্ষুরধার এই বই।

     180.00
  • জাঁ-পল সার্ত্র
    লেখকের অস্তি নাস্তি অবস্থিতি

    জাঁ-পল সার্ত্র-এর (১৯০৫-১৯৮০) ষাট এবং সত্তর বছরে নেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে এই বই।

    প্রথম সাক্ষাৎকারটি যখন দিচ্ছেন, তার কিছু পরেই সাহিত্যে নোবেল নিতে অস্বীকার করছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি শেষ হচ্ছে এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য দিয়ে, ‘কোন আকাদেমি বা কোন পুরস্কারের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।… আমার বই যদি লোকে পড়ে, তবে সে-ই হতে পারে আমার সেরা সম্মান।’

    দশ বছর পরে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে আর দেখতে পান না মোটেই, ভাবছেন কী ভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘আমার মন দশ বছর আগের মতোই এখনও সমান ধারালো— ধার বাড়েনি হয়তো, কিন্তু কমেও যায়নি।’

    বিশ শতকের অদম্য এই মেধাজীবীর বহু বিষয়ে ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাকে খানিক স্পর্শ করা যাবে এই বইয়ে।

     160.00
  • সন্দীপন ভট্টাচার্য সংকলিত ও সম্পাদিত
    ছবির রাস্তা 

    ছবির রাজনীতি যেমন তার বিষয়ে আছে, তেমনি আছে তার ফর্ম-এ, তার রূপে, তার গড়নে। আছে তার উৎপাদনের ধরনে। যে-কোন শিল্পকর্মের মতোই ছবিও কী ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে, কাদের জন্য হচ্ছে, কারা করছে, কোন্ পরিস্থিতিতে করছে, তার মাধ্যম কী, উপকরণ কী— সব-ই বিচার্য। এর পরে আছে তা দেখা এবং দেখানোর প্রশ্ন। ছবি যেহেতু দেখার জিনিশ, ফলে তা কী ভাবে দেখা হচ্ছে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এই সব নিয়ে একদা হাতেকলমে কিছু কাজ করা হয়েছিল, ভাবা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি— অনতি অতীতের সেই সব কাজ ও ভাবনার কিছু নথিপত্র এই বইয়ে একজায়গায় করে দেওয়া গেল।

     200.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত সম্পাদিত
    বাংলা পোস্টার : দুই বাংলার লেখা ও ছবি

    পোস্টারকে শিল্পকলার ইতিহাস সেভাবে জায়গা দেয়নি, দেয় না। তাই ‘দলিত’ পোস্টারকে ‘ব্রাহ্মণত্ববাদী প্রতিষ্ঠানিকতা’র বাইরে জায়গা খুঁজে নিতে হয়। রাজ-নীতিক আন্দোলনে, প্রতিবাদে, মিছিলে, ঘোষণায়, যাত্রায়, সার্কাসে, জলশায়, ছোট অনুষ্ঠানের প্রচারে, ছোট সংস্থার শিল্পনির্মাণে, এমন-এমন সব বিষয়ে। তাই বাংলা পোস্টার নিয়ে বাংলায় বই লেখা হয় না, হয়নি, প্রবন্ধ হাতে-গোনা।

    পোস্টার এক যৌথ শিল্প। অংকনশিল্পী, অক্ষরশিল্পী, বিন্যাসশিল্পী, মুদ্রণশিল্পী— এঁদের সমবেত সৃষ্টি। মুদ্রণশিল্পের ইতিহাসের সাথে পোস্টারশিল্পের ইতিহাস জড়িয়ে রয়েছে। পোস্টার-শিল্পের ইতিহাস পড়লে মুদ্রণশিল্পের ইতিহাস পড়া হয়ে যাবে। একই ভাবে সময়কাল সাজিয়ে রাজনৈতিক পোস্টার পড়লে রাজনীতির ইতিহাস পড়া হয়ে যায়। এ ভাবেই কোন অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ইতিহাস, সামাজিক ইতিহাস চর্চার অন্যতম উপাদান সাংস্কৃতিক পোস্টার, সামাজিক বিষয়ের পোস্টার। এ ভাবেই চলে আসে পোস্টার থেকে পড়ে নেওয়া ছবির ইতিহাস, দেখানো ছবির ইতিহাস, বাক্যের ইতিহাস, লেখা কথা শব্দ শ্লোগানের ইতিহাস।

    সব মিলিয়ে পোস্টার ইতিহাসের এক জরুরি উপাদান। বাংলা পোস্টার নিয়ে এই সংকলনে দর্শক ও পাঠক তার খানিক আন্দাজ পাবেন বলেই আমাদের ধারণা।

     

     950.00
  • ফেদেরিকো ফেলিনি
    একটি ছবির জন্ম ও অন্যান্য
    নির্বাচিত রচনা বক্তৃতা সাক্ষাৎকার

    চলচ্চিত্র-পড়ুয়াদের কাছে ইতালির মহত্তম পরিচালক ফেদেরিকো ফেলিনি (১৯২০-১৯৯৩) অবশ্যপাঠ্য। ‘লা স্ত্রাদা’, ‘লা দোলচে ভিতা’, ‘এইট অ্যান্ড হাফ’ বা ‘আমারকর্দ’-এর মতো আশ্চর্য সব কিংবদন্তি তৈরি হয়েছে তাঁর হাতে। অবশ্যপাঠ্য বলতে প্রথমত ফেলিনি-র ছবিই যে আগে পড়তে হবে, অর্থাৎ দেখতে হবে, সে-কথা বলা বাহুল্য। তার পরে আসে অন্যান্য সূত্র, অর্থাৎ তাঁর সম্পর্কে তাঁর নিজের এবং সমালোচকদের ভাষ্যপাঠের প্রশ্ন। কিন্তু সমালোচকরা কেউ তাঁকে বলেছেন ভণ্ড, ক্লাউন একটা, পাক্কা শয়তান। কেউ আবার বলেছেন, ওঃ যাদুকর লোক, পুরোদস্তুর কবি, সত্যিকারের প্রতিভাবান। বেশ। কিন্তু ফেলিনি নিজে কী বলছেন? নিজের জীবন, নিজের ছবি ইত্যাদি নিয়ে তাঁর নিজের ভাবনাটা কী? এ বইতে ঠিক সেই ভাবনার হদিশই রয়েছে ফেলিনি-র নিজের বয়ানে। আধুনিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসাহী পাঠকের অবশ্যপাঠ্য।

     300.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart