Brands

Sort By:
View:
  • ভোলানাথ ভট্টাচার্য
    শিল্পভাবনা

    বাঙালি জাতটি ইদানীন্তন বা ভুঁইফোড় নয়; নিছক উদরপূর্তি ছাড়া জীবনকে সৌন্দর্যে ও লাবণ্যে মণ্ডিত করার জন্য এবং অন্তর্নিহিত শিল্পচেতনাকে বহুধা বিকশিত করে তোলার জন্য যুগ-যুগ ধরে সামাজিক স্তরে তার এক ব্যাপক ও নিগূঢ় প্রয়াস ও সাধনা চলে এসেছে। সেই বিস্তীর্ণ শিল্পচর্চা, যা বাঙালির প্রাণবত্তারই সমষ্টিগত প্রকাশ, তা যুগে-যুগে কী ভাবে এবং কেন কোন্ রূপ পরিগ্রহ করেছে, তার আঁকাবাঁকা স্রোতে কোথা থেকে কোন্ জলরাশি এসে তাকে পুষ্ট করেছে, তার নিজের বহুমুখী অবয়বের পরস্পরের মধ্যে কোন্ মিথস্ক্রিয়া তার অগ্রগতিতে কী ভাবে সহায়তা করেছে— এই সব প্রাসঙ্গিক বৃত্তান্ত কথঞ্চিৎ স্বচ্ছ হলে বোধ হয় বাঙলার শিল্পের অদ্যতন রূপটির সম্যক্ উপলব্ধি সম্ভবপর হয়। এতাদৃশ উপলব্ধির অভীপ্সায় চঞ্চল হয়ে প্রয়াত লেখক দীর্ঘদিন যাবৎ এই দুরূহ সন্ধানে ব্রতী ছিলেন। এই গ্রন্থ তার পরিণাম।

     300.00
  • নবপত্রিকা : ভেষজ চরিত
    সংকলক : নুসরাত জাহান

    নবপত্রিকা কি নয়টি পাতা, নাকি বর্ষার ঢল নেমে যাওয়ার পর নতুন পলি মাটিতে গজিয়ে ওঠা নতুন কিশলয়? হরপ্রসাদ শাস্ত্রী থেকে সুহৃদকুমার ভৌমিক সেই তর্ক জারি রেখেছেন। শরৎকালের এই মহাপূজায় বাসন্তীও দখল চেয়েছেন। সমস্ত আগ্রাসন, দূষণ আর উপনিবেশের বাঁধ ভেঙে আজও শরতের নতুন পলিতে এই সব পাতারা মাথা তোলে। বানভাসি কৃষাণির মতোই নতুন জন্মের আনন্দে ঝলমল করে ওঠে তাদের শক্তি। দেবীর ভক্তদের মতোই উপমহাদেশের মাটি শেষ অধ্যায়ে মাথা নত করে নবকিশলয়ের কাছে।

    পুরাণে, লোককথায়, মিথে ও মিথস্ক্রিয়ায় নবপত্রিকার ন-টি পাতা।

    প্রথম সংস্করণ
    পেপারব্যাক, ৫৬ পৃষ্ঠা

     125.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    দ ত্ত  কে বি ন

    শুভেন্দু দাশগুপ্ত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন অর্থনীতি, তা নিয়ে প্রবন্ধ লিখেছেন, পত্রিকা করেছেন। অবসরের পর সরে এসেছেন অন্যতম আগ্রহের বিষয় শিল্পকলায়। বাংলার কার্টুন, পোস্টার ইত্যাদি জনশিল্পের নানান রূপ নিয়ে গবেষণা করেছেন, বই লিখেছেন, এবং এভাবে প্রায়-অবহেলিত এই সব শিল্পরূপকে নতুন করে জনমানসে প্রতিষ্ঠা করেছেন।

    দ ত্ত  কে বি ন : তাঁর প্রথম এবং এখনও পর্যন্ত একমাত্র উপন্যাস।

    প্রথম সংস্করণ
    পেপারব্যাক, ৭২ পৃষ্ঠা

     160.00
  • নাগিব মাহ্‌ফুজ
    আত্মজীবনীর প্রতিধ্বনি

    আধুনিক আরবি সাহিত্যের এক প্রধান লেখক নাগিব মাহ্‌ফুজ। সাহিত্যকৃতির জন্য তিনি দু-দুবার লাভ করেছেন মিশরের রাষ্ট্রীয় পুরস্কার, অন্যান্য আরও পুরস্কারের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ১৯৮৮ সালের নোবেল পুরস্কার।

    ‘আত্মজীবনীর প্রতিধ্বনি’ কিছু চূর্ণ গদ্যের সমষ্টি। মাহ্‌ফুজ-এর এই গ্রন্থে রয়েছে নানান প্রবচনাত্মক বাণী, ব্যাখ্যা ও সূত্র, রূপককাহিনি ইত্যাদি। গ্রন্থের একটি গদ্যরচনার শিরোনাম ধার করে বলা যায় এই রচনাগুলি যেন মাহ্‌ফুজ-এর জীবনের ‘পড়ন্ত বিকেলের কথোপকথন’।

    ভূমিকা গ্রন্থপ্রসঙ্গ তরজমা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

     240.00
  • মলয় রায়
    পূর্বভারতের মধ্যযুগীয় রামায়ণ : সমাজ ও জীবন

    ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত ভাষাতেই বাল্মীকি-রচিত রামায়ণ (কয়েকটি আঞ্চলিক প্রকারভেদ-সহ) অনূদিত তথা কিছু স্থানীয় বৈশিষ্ট্য-সহ সমৃদ্ধতর হয়ে প্রকাশিত হয়েছে। এই বইয়ে আলোচনার অন্তর্গত বিভিন্ন অঞ্চলের রামায়ণ-অনুবাদক কবিগণ সামাজিক কাঠামোর সঙ্গে সমন্বিত করে এর স্থানীয় রূপ নির্মাণে সচেষ্ট ছিলেন। এই অনুবাদগ্রন্থগুলি শুধু এই সব অঞ্চলের মূল্যবান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপাদানসমূহই পরিবেশন করেনি, সেই সঙ্গে বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক যোগসূত্র স্থাপনের ক্ষেত্রেও এই গ্রন্থগুলির মূল্যবান ভূমিকা রয়েছে।

    এই বইয়ে লেখক পূর্বভারতের প্রধান চারটি ভাষাকে অবলম্বন করেছেন— অসমিয়া, বাংলা, ওড়িয়া এবং হিন্দি (অবধি)। প্রধান উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল আঞ্চলিক ভাষায় লিখিত এই সব গ্রন্থে যে-সমস্ত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উপকরণ পরিকীর্ণ হয়ে আছে, সেগুলিকে নির্বাচন ও বিশ্লেষণ করা এবং সেগুলির মধ্যে যথাসম্ভব কার্যকারণ যোগসূত্র স্থাপন করা।

    এই সব ভাষাবদ্ধ রামায়ণসমূহের প্রধানতম ও জনপ্রিয়তম কবিরা ছিলেন— ১. অসমিয়া : মাধব কন্দলী, ২. বাংলা : কৃত্তিবাস ওঝা, ৩. ওড়িয়া : বলরাম দাস এবং ৪. হিন্দি (অবধি) : তুলসীদাস। আলোচনার কালসীমা মোটের ওপর চোদ্দ শতক থেকে ষোলো শতকের মধ্যবর্তী সময়।

    ‘বাঙালির বেশবাস : বিবর্তনের রূপরেখা’ গ্রন্থের লেখক এই বইয়ে সে-আলোচনা কতটা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন, তা পাঠকের বিচার্য।

     480.00
  • ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি
    দ্বিতীয় ভাগ

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়, যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও যে বেরোতে পারে না এমন নয়। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে যে একটা পূর্ণতা এসেছে, এ কথা বলা যায়।

    এই ভাগের সূচি : রুশ বিপ্লবের প্রতিবেদন : দৈনন্দিনের নথিচিত্র। তিন রুশ শিল্পীর যৌথ সত্তা কুক্রিনিক্সি-র লেখা আমাদের যৌথদৃষ্টি : শিল্পজীবন। ভ্লাদিমির মায়াকোভস্কি-র লেখা ROSTA-কর্মীদের প্রথম নিখিল রুশ কংগ্রেসে শিল্পপ্রচার সম্পর্কে প্রতিবেদন। শুনুন, মায়াকোভস্কি বলছেন নিজের জীবনের কথা।  মায়াকোভস্কি, ভাসিলি কামেনস্কি ও ডেভিড বারলিউক-এর ইস্তাহার শিল্পের গণতন্ত্রীকরণ সম্পর্কিত ফতোয়া। মায়াকোভস্কি-কে নিয়ে য়ুরি গেরচিউক : রেমব্রান্টের পুনর্বাসন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক শিল্প-সক্রিয়তা নিয়ে ডেভিড শাপিরো-র লিখেছেন সমাজবাস্তব শিল্পের ধারাপ্রকৃতি : পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব, সঙ্গে জন রিড ক্লাবের খসড়া ইস্তাহার ও আমেরিকান আর্টিস্টস’ কংগ্রেসের ঘোষণা। মেক্সিকোয় ম্যুরাল আন্দোলন নিয়ে দাভিদ আলফ্যেরো সিক্যেরাস-এর চারটি লেখা : এক নতুন ও অখণ্ড শিল্পধর্মের সন্ধানে, মেক্সিকোর সমকালীন শিল্প-অভিজ্ঞতার আলোয় লাতিন আমেরিকার বিপ্লব ও তার দৃশ্যকল্প, ছবি ও ভাস্কর্যের বৈপ্লবিক রূপান্তর দিশা, আধুনিক মেক্সিকান ছবিপত্রের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া। ডেভিড ক্যুনজলে লিখেছেন চিলির নতুন ছবি : বৈপ্লবিক প্রক্রিয়ার দেওয়ালছবি ও দেওয়ালনামা। লু স্যুন-এর লেখা চিনদেশের ছবিকথা। চিনের কাঠখোদাই : আন্দোলনের আরও কথা। এড্রিয়ান হেনরি-র লেখা শিল্পিত ঘটনার রাজনীতি পরিবেশ, সঙ্গে চারটি সংযোজন : আমাদের স্বপ্নের মিউকাস মেমব্রেন, গুস্তাভ মেৎসগার-এর স্বয়ংবিনাশী শিল্পের তিনটি ইস্তাহার, ফ্রান্স : মে-দিনের ছাত্রবিপ্লব, সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ডাক : বড় হরফের দেওয়ালনামা।

    প্রথম ভাগটি আগেই প্রকাশিত, এই ভাগটি বেরোল যথাসম্ভব দ্রুত, তৃতীয় এবং শেষ ভাগটিও একই ভাবে অধিক ছবি-যোগে দ্রুতই বেরোবে বলে আশা করা যায়।

     560.00
  • ছবির রাজনীতি রাজনৈতিক ছবি
    প্রথম ভাগ

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য

    এ বই যখন প্রথম বেরিয়েছিল তখন এ বিষয়ে আর-একটিও বাংলা বই ছিল না, এবং এখনও, খুব সম্ভবত নেই। মাঝে যদিও, তিন দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে। এটা এ বইয়ের পক্ষে সুখবর নয়, যদিও এই সময়ে ছবি ও রাজনীতি নিয়ে কথা কিছু কম হয়নি, কিন্তু এ দুয়ের পরস্পর-সম্পর্ক নিয়ে কথা বলার দায় এবং ঝুঁকি সংশ্লিষ্ট সকলেই সুবিধামাফিক এড়িয়ে গেছেন। তাই সেই পুরনো সংকলনই ফের নতুন করে, নতুন চেহারায় বের করতে হচ্ছে, এবং সেটা তিন ভাগে ভেঙে, আর তার কারণ বিশদে বইয়ের শুরুতে বলা আছে। সেখানে এ কথাও বলা আছে যে নতুন লেখাপত্র যোগে ভবিষ্যতে আরও দু-একটি ভাগও যে বেরোতে পারে না এমন নয়। আগের সংকলনের সঙ্গে নতুন এই সংকলনের প্রধান প্রভেদ মুদ্রিত ছবির সংখ্যায়, আগে যে-সব ছবি ছাপা যায়নি, এবার তার অনেকটাই যোগ করা গেছে। তাতে এই সংকলনে যে একটা পূর্ণতা এসেছে, এ কথা বলা যায়।

    এই ভাগে যা আছে : অনোরে দোমিয়ে-কে নিয়ে শার্ল বোদল্যের-এর লেখা, দোমিয়ে-র চিঠি, দোমিয়ে-র সময়কাল নিয়ে প্রতিবেদন। পারি কম্যুন : গুস্তাব কুরবে-র দুটি চিঠি। ক্যোথে কোলভিৎস-কে নিয়ে ভেরনের টিম-এর লেখা, কোলভিৎস-এর ডায়েরি, ক্যোথের সময়যাত্রা। গেয়ৰ্গ বুশমান-এর লেখা বিশের দশকে জার্মানি : সক্রিয় রাজনীতি ছবির কর্মপ্রত্যয়। গেয়ৰ্গ গ্রোস-এর আত্মকথা পদাতিকের জবানবন্দি, গ্রোস-এর ছবি নিয়ে প্রেমের ছবি ঘৃণার শৈলী। পিটার সেলজ-এর লেখা জন হার্টফিল্ড : ফ্যাসিবিরোধী আলোর কারিগর, জন হার্টফিল্ড ও ‘সচিত্র মজদুর বার্তা’, ওয়ান ম্যান’স ওয়র এগেনস্ট হিটলার। পল হোগার্থ-এর লেখা চিত্রসাংবাদিকতার অন্য ইতিহাস : দৈনন্দিনের চিত্রনথি।

    দ্বিতীয় ভাগটি ইতিমধ্যেই প্রকাশিত, তৃতীয় এবং শেষ ভাগটিও একই ভাবে অধিক ছবি-যোগে দ্রুত বেরোবে বলে আশা করা যায়।

     480.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    অ ন্য  ন ন্দ লা ল
    নন্দলাল বসুর কার্টুন-ছবি

    এ এক অন্য নন্দলাল। রসিক, মজাদার, ব্যঙ্গপ্রবণ। শান্তিনিকেতনে কলাভবনের প্রধান হিসেবে বা শিল্পাচার্য হিসেবে যে-নন্দলালের ছবি আমাদের মনে ভাসে, তার সঙ্গে যেন এর মিল নেই, বা মিল আছে কোন এক নান্দনিক রসবোধে। এই নন্দলালের কথা এত দিন ঠিক এ ভাবে জানা ছিল না আমাদের, এই বইয়ে প্রকাশিত তাঁর একগুচ্ছ ছবিতে যার দর্শন মিলবে। একদিক থেকে তৎকালীন শান্তিনিকেতনের স্মৃতিচিহ্ন হিসেবেও এই ছবিগুলি পাঠ করা যেতে পারে, পাঠ করা
    যেতে পারে শিল্পিত ইতিকথা হিসেবেও।

    শুভেন্দু দাশগুপ্ত প্রায় দু-দশক ধরে চিত্রশিল্পের এক নতুন ইতিহাস রচনা করে চলেছেন। মূল ধারার ইতিহাসে উপেক্ষিত কার্টুন, পোস্টার, দেওয়াললিখন নিয়ে তাঁর ধারাবাহিক কাজ এর মধ্যেই আমাদের নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। এই বই সেই ধারাবাহিকতায় নতুনতর সংযোজন হিসেবে গণ্য হবে।

     380.00
  • বাংলা কার্টুন
    দুই বাংলার লেখা কথা চিত্র

    সম্পাদনা : শুভেন্দু দাশগুপ্ত

    কার্টুন নিয়ে কাজ করতে-করতে পেয়ে যাওয়া প্রায় ১৫০ বছর ধরে ছাপা বাংলা কার্টুন, বাংলা কার্টুন নিয়ে লেখা। এই বইটিতে রইল সেই সব পেয়ে-যাওয়া লেখার, বাংলায় কার্টুন নিয়ে লেখার নির্বাচিত অংশ। বোঝা যায়, কত কাল ধরে কত জন বাংলা কার্টুন নিয়ে কাজ করেছেন, ভেবেছেন, লিখেছেন। অন্য দিকটাও খেয়াল করার মতন, কত পত্রপত্রিকায় কার্টুন নিয়ে লেখা বেরিয়েছে, কত জন কার্টুনের নানা দিকের কথা আলোচনা করেছেন।

    এই সব লেখার বিশেষ অবদান কী? ইতিহাস। ভাবনার ইতিহাস, বিষয়ের ইতিহাস, কার্টুন আঁকার ইতিহাস, কার্টুনশিল্পীর ইতিহাস, কার্টুন নিয়ে লেখার ইতিহাস। এই বইটা দু-তিনটে দিক দিয়ে খুব কাজেরও হল। এক, সবার পক্ষে সম্ভব না সব জায়গায় গিয়ে-গিয়ে এই লেখাগুলো পড়া। একজায়গায় পাওয়া হল। দুই, সবার জানাও নেই বাংলা কার্টুন নিয়ে এত জনের এত লেখা রয়েছে। জানা হল। আদতে লাভ হল বাংলা কার্টুনের।

    যাঁদের লেখা আছে : বিনয়েন্দ্রনাথ মজুমদার, বনফুল, অখিল নিয়োগী, চণ্ডী লাহিড়ী, কাফী খাঁ, পি কে এস কুট্টি, রেবতীভূষণ ঘোষ, সুফি, দেবব্রত মুখোপাধ্যায়, অহিভূষণ মালিক, শিশির ভট্টাচার্য, উন্মাদ পত্রিকাগোষ্ঠী, কৃষ্ণ ধর, প্রতীক চক্রবর্তী, কল্পতরু সেনগুপ্ত, কুমারেশ ঘোষ, চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিশ্বদেব গঙ্গোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু দাশগুপ্ত।

     580.00
  • অঁরি মাতিস
    এক চিত্রকরের জীবনভাবনা

    লেখা কথা রেখা

    আধুনিক পশ্চিমি চিত্রজগতে আচার্যস্থানীয় অঁরি মাতিস এক চিত্রকরের জীবন ও ভাবনার স্বচ্ছ ও সৎ, নির্ভরযোগ্য ও ধারাবাহিক এক বিবরণ রেখে গেছেন তাঁর লেখায় ও কথায়। সেখানে পশ্চিমি শিল্পী ও শিল্পধারার নির্ভেজাল বিশ্লেষণ আছে, সে-সব গ্রহণ-বর্জনের যুক্তি আছে, আছে নিজেরও যাত্রাপথের খুঁটিনাটি। নিজের সৃষ্টির প্রক্রিয়া কী, কী ভাবে তিনি দেখেন, কী ভাবেন, নিজেকে প্রস্তুত করেন কী ভাবে, অবশেষে কাজ করার সময়ে তাঁর বিশেষ লক্ষ্য থাকে কোন্ দিকে— সে-সবই তিনি অবিরল ধারে বলে গেছেন। প্রতিটি ছবির কথা তিনি মনে করতে পারেন, কী তার উৎস, কোন্‌ ধারার সঙ্গে যোগ, রূপের বৈশিষ্ট্য, কী ছিল সেখানে তাঁর অন্বিষ্ট— কোন কাজেরই কোন অনুপুঙ্খ তিনি ভোলেন না। মেজাজে তিনি শান্ত, স্থিতধী, নিজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন ও মনস্ক। একই সঙ্গে ছবি আঁকার জন্য তিনি ছবি-আঁকা বাদে আর সমস্ত কিছুকে সরিয়ে রেখে জীবনকে সরল করে আনার কথা বলেন, প্রায় সন্তের মতো প্রয়োজনকে নামিয়ে আনতে বলেন ন্যূনতমে, আসলে বোধ হয় নিরঙ্কুশ এক জীবনসাধনার দিকেই তিনি ইঙ্গিত করেন।

    এই জীবনসাধনা নিয়ে এক মহৎ চিত্রকরের ভাবনার কথা তাঁরই লেখা আর কথায় এই বইয়ে থাকল, আর থাকল তাঁর কিছু রেখা।

    সংকলন ভাষান্তর সম্পাদনা : সন্দীপন ভট্টাচার্য

     360.00
  • রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
    আছে আমার ছবি : নির্বাচিত পত্রাংশে চিত্রকরের আত্মকথা

    “এই টলমলে অবস্থায় এখনো দুটো পাকা ঠিকানা পেয়েছি আমার বানপ্রস্থের— গান আর ছবি। এদের উপরে বাজারের বস্তাবন্দীর ছাপ পড়েনি।… কলার সকল বিভাগে আমি ব্রাত্য…। আছে… আমার ছবি। কোথা থেকে দেখা দিতে এসেছে এই শেষ বেলায়, যখন রোদ্দুর পড়ে এল। আমার এই রেখানাট্যের নটী আর কারো চোখে ধরা দেয় কিনা তার সঠিক খবর পাইনে।… প্রশংসা আমার মনকে আঁকড়ে ধরেনি… আমার ছবির প্রশংসা টেকসই কিনা সে তর্ক বাজারে ওঠেনি, আমার মনেও না। আমার চৈতন্য-অন্তঃপুরে রেখারূপের জাদু নর্তকীরা একদিন পর্দানশীন ছিল, আজ পর্দা সরিয়ে বেরিয়ে এসেছে। আমার কাছে এই অদ্ভুত প্রকাশলীলার আনন্দই যথেষ্ট।… আমার ছবির খ্যাতির সম্বন্ধেও সেই কথা।… তার… অখ্যাতির গৌরবে সে আছে ভালো…।”

    প্রায় পঞ্চাশ বছর ধরে ছবি নিয়ে তাঁর এমনই সব অনুভব, ভাবনা, উপলব্ধি, উদ্বেগ, হতাশা আর উৎফুল্লতার কথা তিনি লিখেছেন অন্তরঙ্গজনকে লেখা তাঁর অজস্র চিঠিতে। তার থেকে নির্বাচন করে এই সংকলন– চিত্রকর রবীন্দ্রনাথের আত্মকথা।

    সংকলন ও বিন্যাস : সন্দীপন ভট্টাচার্য।

     240.00
  • বব মার্লে
    রক রেগ্যে রাস্তা আর শিকড়ের গান

    বব মার্লে গান গাইতেন। বুক নিংড়ে গাইতেন। জামাইকায় থাকতেন তিনি, ফিরতে চাইতেন নিজভূমি আফ্রিকায়– তাঁর গোষ্ঠীর অন্যান্যদের মতো। এঁরা রাস্তাফারিয়ান। রাস্তা-র দর্শন গুরুবাদী, ইথিওপিয়ার রাজা প্রথম হাইলি সুলাসি-কে এঁরা মনে করেন পুনরুত্থিত খ্রিস্ট, আর সেই নিয়ে খ্রিস্টানদের সঙ্গে এঁদের ঝগড়া। বস্তুত এ এক প্রান্তিক দর্শন, জীবনের বহু কিছু এখানে আশ্চর্য সরলতায় জড়িয়ে আছে। গান আর দর্শন এখানে একাকার, এর কোন কিছুকেই পরস্পরের থেকে ঠিক আলাদা করা যায় না।

    এই বইয়ে রয়েছে বিভিন্ন সময়ে নেওয়া রাস্তা গোষ্ঠীর সাঙ্গীতিক কণ্ঠস্বর বব মার্লে-র সাতটি সাক্ষাৎকারের সম্পাদিত বয়ান, আর তাঁর সুখ্যাত কয়েকটি গানের কথা– যেখানে পাওয়া যাবে তাঁর মর্মজীবনের কথা। আর তাঁর কর্মজীবনের কথা আছে সংশিষ্ট পঞ্জিতে।

    মার্লে-র গান যাঁরা শুনেছেন, আশা করা যায় এই বইতে তাঁরা তাঁর কণ্ঠস্বর শুনতে পাবেন।

     220.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    রাজনৈতিক আলোকচিত্র
    গোবিন্দ বিদ্যার্থী  সুনীল জানা

    এই বইটা দু-জন আলোক-চিত্রকর গোবিন্দ বিদ্যার্থী ও সুনীল জানার আলোকচিত্র নিয়ে।

    আলোকচিত্র নিজেই কথা বলে। যা দেখায়, তার থেকে একটু বেশি বলে। আলোকচিত্রের দর্শক, পাঠক আলোকচিত্রের মধ্যে দিয়ে আলোকচিত্রের বিষয়ে, বিষয়ের ব্যাখ্যায়, রাজনীতিতে, সমাজনীতিতে, ইতিহাসে অংশগ্রহণ করে।

    আলোকচিত্র এক অর্থে ইতিহাস। আলোকচিত্রে সমকালের ইতিহাস। আলোকচিত্রীর দেখা ও দেখানো ইতিহাস। ইতিহাস আলোকচিত্রের মধ্যে দিয়ে হয়ে ওঠে স্মৃতি, সময়কাল, সাক্ষ্য।

    মেনে নিতেই হবে আলোকচিত্রের পক্ষ আছে। পক্ষপাত আছে। এই বইটার ছবিও পক্ষপাতিত্বের ছবি। একটা শ্রেণির প্রতি পক্ষপাতিত্বের ছবি। আলোকচিত্র নিছক নথি নয়, একটা অস্তিত্ব, একটা মূল্যায়ন এবং তা শ্রেণিপক্ষপাত-নির্ভর।

    ইতিহাস পড়া ও ইতিহাস দেখার মধ্যে পার্থক্য— দেখানো-ইতিহাসকে ‘বেশি’ বাস্তব মনে হয়। ইতিহাসকে পালটে দেওয়া, মুছে দেবার কালে আলোকচিত্রের ভূমিকা আরও বেড়ে যায়। রাজনীতিক ইতিহাসের এক জরুরি তথ্যসূত্র রাজনীতিক আলোকচিত্র।

    এই সংগ্রহটি একটি পরিবারের মাধ্যমে পাওয়া। গোবিন্দ বিদ্যার্থী ও সুনীল জানা কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম দিকের সদস্য। পার্টিতে তাঁদের নিয়ে আসেন পার্টির প্রথম সাধারণ সম্পাদক পি সি যোশি। সুনীল জানা পার্টিতে আসার আগেই আলোকচিত্রী। সুনীলের অনুপ্রেরণায় গোবিন্দর আলোকচিত্রে আগ্রহ। এঁরা দু-জনেই ছিলেন পার্টি কমিউনের বাসিন্দা। এঁদের দু-জনের সেই সময়কার কিছু আলোকচিত্র নিয়ে এই বই।

     1,150.00
  • অসীম রেজ
    ভাসিলি কান্দিনস্কি : বিমূর্ত চিত্রের মহাবিশ্ব

    রুশ শিল্পী ও শিল্পতাত্ত্বিক ভাসিলি কান্দিনস্কি-কে আধুনিক শিল্পে শুদ্ধ বিমূর্ততার অন্যতম স্রষ্টা ও প্রবক্তা বলে মনে করা হয়। অবশ্যই যেখানে পৌঁছতে তাঁকে পাড়ি দিতে হয় দীর্ঘ পথ, পেরিয়ে আসতে হয় বেশ কয়েকটি পর্যায়। তাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ‘দ্য ব্লু রাইডার’-এর মতো শিল্পগোষ্ঠী, রাশিয়ায় বিপ্লব-পরবর্তী শিল্প-সংগঠন, এবং ‘বাউহাউস’-এর মতো শিল্পশিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ড— বিশ শতকের শিল্প-ইতিহাস যার একটাকেও বাদ দিয়ে সম্পূর্ণ হয় না।

    কান্দিনস্কি একদিকে যেমন সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে তাঁর পরিবর্তিত ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ছবি এঁকেছেন, তেমনই নিজের ভাবনাকে স্পষ্ট ও বিশদ করেছেন তাঁর লেখাপত্রে। তাঁর লেখা অন্তত দুটি বই (‘কনসার্নিং দ্য স্পিরিচুয়াল ইন আর্ট’ এবং ‘পয়েন্ট অ্যান্ড লাইন টু প্লেইন’) বিবেচিত হয় অবশ্যপাঠ্য হিসেবে। পাশাপাশি কবিতাও লিখেছেন তিনি, লিখেছেন স্মৃতিকথা।

    ভাসিলি কান্দিনস্কি-র জীবন ও কাজকর্মের ভিত্তিতে লেখা এই প্রথম বাংলা বইয়ে এ-সমস্ত প্রসঙ্গই রয়েছে বিস্তারিত ভাবে। সঙ্গে রয়েছে শাদা-কালো অসংখ্য ছবির প্রতিলিপি, শুধু সেটুকু দেখলেও বিশ শতকের এই প্রধান শিল্পীর বিকাশের পথরেখাটি খানিক পরিষ্কার হবে বলে আশা করা যায়।

     260.00
  • পাউল ক্লে
    পদচিহ্ন মুছে যায়
    চিত্রকরের দিনলিপি কবিতা লেখা

    সুইস-জার্মান শিল্পী ও শিল্পতাত্ত্বিক পাউল ক্লে (১৮৭৯-১৯৪০)-এর ছবি (পেন্টিং ও ড্রয়িং মিলিয়ে যার সংখ্যা প্রায় পনেরো হাজার), তাত্ত্বিক লেখাপত্র (‘পেডাগজিকাল স্কেচবুক’, ‘অন মডার্ন আর্ট’ বা ‘দ্য থিঙ্কিং আই’ ও ‘দ্য নেচার অফ নেচার’ নামে দুটি বিশালাকার নোটবুক-এর কথা এ প্রসঙ্গে মনে পড়বে) বিশ শতকের শিল্পকলার ইতিহাসে মোড়-ফেরানো।

    পাউল ক্লে-র ছবি যদিও ঘরানাহীন স্বতন্ত্র মেজাজের, তবু বিশ শতকের বিভিন্ন শিল্প-আন্দোলনের সঙ্গে তাঁর গভীর যোগ ছিল। ‘দ্য ব্লু রাইডার’, ‘দ্য ব্লু ফোর’ ইত্যাদি শিল্পীগোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। পরে শিক্ষকতা করেছেন বাউহাউস স্কুল ও ডুসেলডরফ অ্যাকাডেমিতে, সেক্ষেত্রেও তাঁর অবদান বিস্ময়কর। স্বভাবতই নাৎসিরা তাঁর কাজকে অধঃপতিত বা অবক্ষয়িত শিল্পের তালিকাভুক্ত করেছিল।

    অন্যদিকে ১৮৯৭ থেকে ১৯১৮ পর্যন্ত প্রায় নিয়মিত ডায়েরি লিখেছেন তিনি, যেখানে তাঁর ব্যক্তিগত শিল্প ও দর্শনভাবনার পরিচয় মেলে। এ বইয়ে তাঁর যোগ্য পুত্র ফেলিক্স ক্লে সম্পাদিত সেই দিনলিপির নির্বাচিত অংশের পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে লেখা তাঁর কবিতার ভাষান্তর সংকলিত হয়েছে। ক্লে-র আরও দুটি গুরুত্বপূর্ণ লেখাও এখানে আছে, আছে তাঁর কিছু নির্বাচিত ছবির শাদা-কালো প্রতিলিপি।

    পাউল ক্লে-র ব্যাপক প্রভাব নানা ভাবে এদেশের শিল্পজগতে আমরা দেখতে পাই, কিন্তু তাঁর কাজ নিয়ে প্রকাশ্য চর্চা তেমন দেখি না। হয়তো এ বই সেই অভাব কিছুটা মেটাবে।

    ভূমিকা ও ভাষান্তর : স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত

    প্রথম সংস্করণ, নতুন মুদ্রণ

     350.00
  • গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ
    বাতিল পুথি

    আঠারো শতকি জর্মন বৈজ্ঞানিক গেয়র্গ ক্রিস্টফ লিশটেনব্যর্গ [১৭৪২-১৭৯৯] আক্ষরিক অর্থেই বহুবিদ্যাবিশারদ হলেও— তিনি ছিলেন গবেষণানির্ভর ভৌতবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতজ্ঞ, শিল্পসাহিত্য-সমালোচক— আজ প্রাসঙ্গিক কিছু প্রবচনাত্মক উক্তির জন্য। এগুলি তিনি লেখেন কয়েকটি নোটবই জুড়ে, এবং নোটবইগুলির নাম দেন ‘বাতিল পুথি’।

    প্রদীপ্ত বুদ্ধিমত্তা এবং সর্বব্যাপী ঔৎসুক্য সহকারে লিশটেনব্যর্গ-রচিত এই তীক্ষ্ণ উক্তিগুলি একদিকে যেমন প্রকট করে সমাজ ও শিক্ষার ভানসর্বস্বতা, তেমনই আর-এক দিকে বিচার করে সুবিস্তৃত দার্শনিক প্রশ্নমালা; এবং ফলে এর মধ্যে আমরা সন্ধান পাই তাঁর নিগূঢ় চিন্তার এমন সব অলিগলি যা কখনও অস্বস্তিকর এবং কখনও সরসোজ্জ্বল। এগুলির বিশেষত্ব এই যে, তা আমাদের শেখায় জ্ঞানের শ্রেষ্ঠ রূপ সংশয়বদ্ধতা।

    লিশটেনব্যর্গ সেই সব বিরল ভাবুকদের একজন, যিনি বিশ্বাস করেন সংশয়তিমিরে যাত্রা না করলে সত্যজ্ঞানের আলোকরশ্মির সন্ধান পাওয়া যায় না।

    তরজমা উত্তরকথন টীকা : শান্তনু গঙ্গোপাধ্যায়

     180.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart