Brands

Sort By:
View:
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    তখন যেমন এখন তেমন : বাংলা কার্টুনে সময়ের ছবি

    এদেশের সামাজিক-রাজনৈতিক দুরবস্থা পঞ্চাশ-একশো বছর আগে যেমন ছিল, এখনও মনে হয় রয়ে গেছে তেমনই, পালটায়নি কিছু। বাংলার সংবাদপত্র আর সাময়িকপত্রে প্রকাশিত কার্টুন বা ব্যঙ্গচিত্র নিয়ে গবেষণার সূত্রে এই অপ্রিয় সত্য প্রায় নতুন করে উপলব্ধি করেছেন লেখক।

    গগনেন্দ্রনাথ, চিত্তপ্রসাদ, সোমনাথ হোর, পরিতোষ সেন, রেবতীভূষণ, অমল চক্রবর্তী, সুফি, কাফী খাঁ, চণ্ডী লাহিড়ী, কুট্টি প্রমুখের মূল কার্টুনের প্রতিলিপি-সহ এই বইয়ে রয়েছে প্রত্যেকটি কাজ নিয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য আর টীকাভাষ্য।

    এ বই কার্টুনের সূত্রে একটা কালপর্বের বাংলার সামাজিক-রাজনৈতিক ইতিহাসও।

     270.00
  • সোমশঙ্কর রায়
    মুখোমুখি সোমনাথ হোর

    বছর-কুড়ি আগে পুরনো পরিচয়সূত্রে অগ্রজ শিল্পী সোমনাথ হোরের সঙ্গে সামনা-সামনি কথা বলার সুযোগ হয় অনুজ শিল্পী সোমশঙ্করের। সোমনাথ হোরের বয়স তখন আশি ছুঁয়েছে। ভারতবর্ষ ছাড়িয়ে তাঁর পরিচিতি তখন বিদেশেও। বেশ কয়েকটা বড়-বড় প্রদর্শনী হয়ে গেছে বিভিন্ন জায়গায়, তাঁকে নিয়ে অনেক লেখাপত্তর বেরিয়েছে। নিজেও, নিজের সম্পর্কে নানা জায়গায় নানান কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকারে সে-সব কথা নতুন করে এসেছে। আর মধ্যে-মধ্যে রয়েছে এমন কিছু কথা, যা হয়তো আগে বলা হয়নি। খানিক সময়ের ব্যবধানে দু-বার কথা হয়। প্রথম বার, তাঁর জীবনের কথা, রাজনীতির কথা। দ্বিতীয় বার, কথা হয় তাঁর কাজ নিয়ে, তার মধ্যে অনেকটা জুড়ে ছিল করণকৌশল নিয়ে তাঁর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা।

    সোমনাথ হোরের জন্মের একশো বছরে অগ্রজ শিল্পীর সঙ্গে অনুজের এই আলাপচারিতা নানা কারণেই মূল্যবান। সঙ্গে রয়েছে প্রাসঙ্গিক কিছু ছবিপত্তর।

    প্রথম সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা

     160.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পোস্টার
    একটি তত্ত্বরচনার প্রয়াস

    পোস্টার কাহাকে বলে, পোস্টার কয় প্রকার, পোস্টার কী ভাবে নির্মিত হয়, পোস্টারের উদ্দেশ্য কী-কী, পোস্টারে কী-কী উপাদান থাকে, পোস্টার কোথায় প্রদর্শিত হয় ইত্যাদি-ইত্যাদি আরও বিষয় ছুঁয়ে পোস্টার সংক্রান্ত একটা বই হয়তো লিখে ফেলা যেত। লেখক সে-পথে হাঁটেননি।

    বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের জ্বলন্ত ও বাস্তব অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে সে-দেশের পোস্টার-শিল্পীদের বয়ান ধরে-ধরে বরং গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন পোস্টার-তত্ত্ব। তত্ত্বের ভূমি রাজনীতিক সময়। তত্ত্বের বিষয় সেই রাজনীতিক সময়ের পোস্টার।

    পুরনোকে সরিয়ে নতুন পথে, নতুন ঢঙে, চলতি ধরন ছেড়ে অন্য ছকে লেখা এই তত্ত্বকথার বইও হয়ে উঠেছে প্রায় গল্পের মতো। সঙ্গে রয়েছে অনেক ছবি।

     150.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    একটি দেওয়ালছবির জন্মকথা

    “শিল্পরচনার প্রধান ভূমি ঢাকার শহিদ মিনার চত্বর। শিল্পের প্রতি, বিশেষত রাজনীতিক শিল্পের প্রতি ভালোবাসায় আমি শহিদ মিনার চত্বরে ঘুরে-ঘুরে সেবার ছবি আঁকা দেখছিলাম। শিশির ভট্টাচার্য একটি দেওয়ালে ছবি আঁকছিল। দুটি কারণে আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। এক, শিশির দেওয়ালে ছবি আঁকছে, ওর এই পরিচয় আমি আগে পাইনি। দুই, আমি নিজে একসময় দেওয়াল আঁকায় নয়, দেওয়াল লেখায় থাকতাম, একা নয়, দলের সঙ্গে। সেই টানেই শিশিরের আঁকার সামনে দাঁড়িয়ে যাই। শহিদ মিনার চত্বরে ২১শে ফেব্রুয়ারির জন্য ক’দিন ধরে দেওয়াল আঁকা চলে। শেষদিনে আমি ঠিকই করেছিলাম যতক্ষণ শিশির দেওয়ালে ছবি বানাবে, আমি দেখব। সকালদুপুরবিকেলসন্ধেরাত যতক্ষণ শিশির ছবি এঁকেছে, আমি দাঁড়িয়ে, বসে দেখেছি। একটা শিল্পের জন্ম নেওয়ার সাক্ষী থাকতে।”

    এই বইতে আছে লেখকের সেই অভিজ্ঞতার বয়ান, একটি দেওয়ালছবির জন্মকথা। সঙ্গে লেখকেরই নিজের হাতে তোলা প্রায় ২০ পৃষ্ঠা রঙিন ছবি।

     160.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    আয় রে খুকু আলো করে
    ছবি : অলকানন্দা সেনগুপ্ত

    ছোটদের ছড়ার বইতে থাকে শুধু খোকাদের নিয়ে ছড়া। খুকুরা সেখানে পিছনে বা পাশে।

    যা ছড়া লেখায়, তা-ই দেখা যায় সমাজে। লেখা সমাজে; সমাজ লেখাতে, ছবিতে।

    এই বইতে রয়েছে শুধু খুকুদের ছড়া আর খুকুদের ছবি। খুকুরাই এখানে সামনে, পাশে, পিছনে। হতে চাওয়া, হয়ে উঠতে চাওয়া এক সমাজের ছবি আর ছড়া এখানে।

    অলকানন্দা সেনগুপ্তের ছবি আর শুভেন্দু দাশগুপ্তের ছড়া নিয়ে এই বইটি। খুকুদের বইটি।

     120.00
  • ভিনসেন্ট ভান গখ
    এ ভাবেই চলে যেতে চাই : শেষ সাত মাসের চিঠি
    ১ জানুয়ারি-২৩ জুলাই ১৮৯০

    ১৮৯০ সালের ২৯ জুলাই মাত্র ৩৭ বছর বয়সে ভিনসেন্ট ভান গখ মারা যান। উনিশ শতকের আরও অনেক শিল্পীর মতো তাঁর জীবনও শেষ হয়েছিল অসহনীয় দারিদ্র্য আর অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রায় অসম সংগ্রাম করে। মারা যাওয়ার সময়ে নিতান্ত আত্মপরিজন আর পরিচিতরা ছাড়া কেউ তাঁর নাম জানতেন না। পরবর্তী একশো বছরে অবশ্য তাঁর নাম একেবারেই শোনেননি, পুঁথিশিক্ষিত এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন।

    তাঁর বিখ্যাত সব ছবি গত একশো বছরে কোটি-কোটি বইয়ের লক্ষ-লক্ষ কপিতে ছাপা হয়েছে, আর তাঁর ছবির অনুপুঙ্খ নিয়ে লেখা হয়েছে অন্তত কয়েক কোটি প্রবন্ধ। অন্য দিকে, তাঁর জীবন নিয়েও রচিত হয়েছে জনপ্রিয় উপন্যাস, হয়েছে ফিচার ফিল্ম। আবার, তাঁর জীবন ও ছবি পরবর্তী কালে নানা মাধ্যমের নানান শিল্পীকে বিভিন্ন সময়ে এতটাই অভিভূত ও প্রাণিত করেছে যে সেই সূত্রেও রচিত হয়েছে অনেক গান, কবিতা, ছবি, গদ্য বা তথ্যচিত্র।

    এ সবই তাঁকে বোঝার পক্ষে নিশ্চয়ই অপরিহার্য, কিন্তু একমাত্র ছবির প্রতিলিপি ছাড়া এর কোথাও স্বয়ং ভিনসেন্ট নেই। তিনি আছেন, এবং খুব তীব্র ভাবে আছেন একমাত্র তাঁর লেখা অজস্র চিঠিতে। দিনতারিখ মিলিয়ে বস্তুত সেখানে তাঁর নিজের হাতে লেখা আছে তাঁর জীবন ও কাজের সমূহ সংকেত, প্রকৃত আর প্রাকৃত যাবতীয় বিবরণ। বস্তুত এই হল সেই মৌলিক উৎস, ভিনসেন্টকে জানতে-বুঝতে যেখানে ফিরে-ফিরে যেতে হয় জনপ্রিয় ঔপন্যাসিক থেকে সিরিয়াস প্রাবন্ধিক, সকলকেই।

    এ বইয়ে আমরা সেই উৎসে পৌঁছনোর চেষ্টা করেছি। ১৮৯০-এর জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত তাঁর লেখা মোট সাঁইত্রিশটি চিঠি এ বইয়ে আছে। মাঝে মাস-দেড়েকের ফাঁকও আছে, যখন তিনি ঠিক লেখার অবস্থায় ছিলেন না। এর অধিকাংশই তাঁর সহোদর ভাই থিওডোর ভান গখ-কে লেখা। কয়েকটি আছে মা আর বোনকে লেখা। জন রাসেল, আলব্যের অ্যরিয়ের ও পল গঁগ্যা-কে লেখা চিঠি আছে একটি করে। আর আছে ঐ শেষের সাত মাসে তাঁর আঁকা ছবির শাদা-কালো আর রঙিন অনেক প্রতিলিপি।

     325.00
  • পাবলো পিকাসো
    আমি : আমার ছবি

    আধুনিক শিল্পের ইতিবৃত্তে পিকাসো-কে এড়িয়ে যাওয়ার কোন উপায় নেই। অবিশ্বাস্য কর্মপ্রেরণায় গোটা বিশ শতকের শিল্প-ইতিহাস মনে হয় তিনি একাই ধারণ করে আছেন তাঁর বৃষস্কন্ধে। এমনই প্রবল তাঁর ক্ষমতা, এমনই সর্বব্যাপী তাঁর প্রভাব যে তাঁকে উহ্য রেখে এ ইতিবৃত্ত সম্পূর্ণ হতেই পারে না।

    সারা জীবন তিনি ছবি-ই এঁকেছেন, আর এঁকেছেনও অজস্র। এমন কোন মাধ্যম নেই, যা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বাকি রেখেছেন তিনি। ছবি আঁকা বা কাজ করা-ই যে তাঁর বিশ্রাম, নিজেই বলেছেন সে-কথা। বার-বার নিজেকে পালটে নতুন করে গড়েছেন, বিষয় খুব না-পালটালেও ছবির রূপে অবিরাম ভাঙচুর করেছেন। তাঁর ছবির দর্শক যখন তার
    কোন এক রূপে ক্রমশ অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা করছে, অনায়াসে অন্য কোন রূপের সন্ধানে যাত্রা করেছেন তিনি। পাশাপাশি নাটক ও কবিতা লিখেছেন, কিন্তু মজার ব্যাপার, শিল্পতত্ত্ব বা নিজের ছবি নিয়ে সে-ভাবে একটি বাক্যও কখনও লেখেননি। তার বদলে, তাঁর অনুরাগী ও অন্যান্য উৎসাহীদের কাছে মুখে-মুখে এ নিয়ে বলেছেন অজস্র কথা, সারা জীবনই বলেছেন। আর সে-সবই যত্ন করে রক্ষিত হয়েছে, লিপিবদ্ধ হয়েছে, তাঁর সমগ্র জীবৎকাল জুড়ে বিভিন্ন সাময়িকপত্রে তা প্রকাশিত হয়েছে, এমনকী পূর্ণাঙ্গ বইয়ের রূপ পেয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে স্বয়ং পিকাসো তাতে অনুমোদনের শিলমোহর দিয়েছেন। লেখা বাহুল্য যে, তাঁর ছবির মতোই তাঁর এ সমস্ত কথাও অমূল্য, অন্তত তাঁকে বোঝার জন্য তাঁর নিজের মুখের কথার চেয়ে মূল্যবান আর কী-ই বা হতে পারে!

    পিকাসো-কে জানার জন্য অপরিহার্য সেই সব কথা নিয়েই এই বই। সঙ্গে আছে অনেক শাদা-কালো ছবি।

     300.00
  • অসীম রেজ
    অমৃতা শের-গিল : শিল্পজীবন

    একদিকে ভারতীয় চিত্রকলায় ঐতিহ্যময় শিল্পরূপের পুনরুজ্জীবন এবং লোক-শিল্পের সহজ-সরল, স্বতঃস্ফূর্ত রূপের অনুসন্ধান; অন্যদিকে কেতাবি ইয়োরোপীয়  শিল্পশিক্ষণে চিত্রকলায় বাস্তবতার হুবহু অনুকরণে যে-পরস্পরবিরোধী মতাদর্শের প্রকাশ ঘটেছিল, তা বর্জন করে যিনি মৌলিক ও স্বতন্ত্র এক আধুনিক শিল্পভাষার জন্ম দিয়েছিলেন তিনি হলেন অমৃতা শের-গিল (১৯১৩-১৯৪১)। শিল্পকলার কোন ‘ঘরানা’ বা ‘মতবাদ’ দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে তাঁর স্বল্পকালীন জীবদ্দশায় তিনি সৃষ্টি করেন এমন এক শিল্পভাষা, যেখানে ফুটে ওঠে ভারতীয় গ্রাম এবং নারীজীবনের মর্মস্পর্শী ছবি। জন্মসূত্রে পেয়েছিলেন একদিকে ইয়োরোপীয় এবং অন্যদিকে ভারতীয় ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার। ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতা আর আধুনিকতার সঙ্গে মানবিকতার এক আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটান তিনি। অমৃতার জীবনকাহিনি ও শিল্পচর্চা প্রায় কিংবদন্তির মতো।

    এই বইয়ে অমৃতা-র শিল্প ও জীবনের কথা আছে সমগ্রত, সঙ্গে আছে তাঁর অনেক ছবির রঙিন ও শাদা-কালো প্রতিলিপি।

     

     220.00
  • অসীম রেজ
    চিত্রকর ফ্রিদা কাহলো : এক অনন্য নারী

    আধুনিক চিত্রকলায় নারীসত্তার উন্মোচনে যে-কয়েকজন শিল্পীর ভূমিকা স্মরণীয়, তাঁদের মধ্যে মেক্সিকোর চিত্রশিল্পী ফ্রিদা কাহলো অন্যতম। ভারতীয় শিল্পীদের ভিতর একমাত্র অমৃতা শের-গিলের সঙ্গে তাঁর তুলনা চলে। ফ্রিদা-র ব্যক্তিসত্তার উন্মেষ ঘটেছিল এক গভীর রাজনৈতিক বিশ্বাসের ভিত্তিভূমিতে। তিনি প্রত্যক্ষ ভাবে মেক্সিকোর বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং সশস্ত্র বিপ্লবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এক গণতান্ত্রিক, উদার ও সুস্থ সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্যে নিপীড়িত ও শোষিত জনগণের পক্ষে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছিলেন। স্বদেশ-ভাবনা এবং স্বাজাত্যাভিমান ছিল তাঁর জীবন-আদর্শের মূল কথা। তাঁর শিল্পভাবনার কেন্দ্রে ছিল স্বাধীন ব্যক্তিসত্তার প্রকাশ। তিনি সমাজ ও ঐতিহ্যের প্রতি দায়বদ্ধতা যেমন স্বীকার করেছিলেন, তেমনই নারীসত্তার উন্মোচনে পূর্ণ স্বাধীনতা অর্জনে ব্যক্তিগত জীবন বাজি রেখেছিলেন। তাঁর শিল্পকলায় জীবন-সংগ্রাম ও কঠোর বাস্তবতা, ফ্যান্টাসি ও কল্পনা এবং আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের এক আশ্চর্য মেলবন্ধন ঘটেছিল। একদিকে ইউরোপীয় আধুনিকতা, অন্য দিকে মেক্সিকোর সনাতন জনপ্রিয় লোকশিল্পের ধারা তাঁর শিল্পকর্মের প্রাণবিন্দু।

    ফ্রিদা-র জীবন ও শিল্পকর্মের সামগ্রিক পরিচয় নিয়ে এ বাংলার প্রথম বই। সঙ্গে আছে তাঁর অনেক ছবির রঙিন ও শাদা-কালো প্রতিলিপি।

     200.00
  • শক্তিনাথ ঝা
    লোকধর্মের বাহান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি

    ভদ্রলোকের ধারণায় শিষ্ট জীবন হল দেয়ালবন্দি, আচারপ্রধান। আর লোকজীবন হল অনাচার-যথেচ্ছাচারে মুক্ত, স্বাধীন, এক কথায় সহজিয়া। লোকধর্ম অর্থমূল্যে বিকোয় না। কঠোর অনুশীলনে অর্জন করতে হয় ধর্মবোধ। এ বোধ ব্যতিরেকে আত্ম-অনুভবের মহাসুখের স্বাদ মেলে না। সেখানকার পাশপোর্ট সাধনার, শ্রমের মূল্যে কিনতে হয়।

    লোকধর্মের সাহিত্যে যৌনতা শব্দটির ব্যবহার প্রায় নেই। দেহে ক্ষুধা, নিদ্রা, বাসনা, মৈথুনের আবেগাদি আছে। আছে দশেন্দ্রিয় ষড়্‌রিপুর স্বভাব-ধর্মগুলি। এগুলি ভালো বা মন্দ, পাপ বা পুণ্য, কোনটিই নয়। এগুলি সহজাত দেহধর্ম। বৈষ্ণব বাউল-ফকিরেরা কামকে নিষ্কাম প্রেমে পরিণত করতে চায়। এটি তাদের সাধ্য ও সাধনা। তাদের খাদ্য, অশন-বসন, দর্শন একটু আলাদা।

    অনিত্য ভুবনে, অনাত্ম দেহে নানা দুঃখ আছে। দেহের ক্ষয়-জরা-রোগকে প্রতিষেধ করতে হয়, মনে শোকতাপকে ছিন্ন করতে হয়, অহং-এর তৃষ্ণাকে শমিত করতে হয়। বাহ্য জগতের ঘটনাবলিকে অনিবার্য বলে মানলে এ ভুবন বাসযোগ্য হয়ে ওঠে। তখন মানবিক সম্বন্ধের মন্থিত অমৃতকে খুঁজতে হয়।  লোকধর্মে কঠোর অনুশীলনে দেহ-মন বদলে আত্মদীপ হতে হয়। এর শতেক পন্থা, অযুত প্রকরণ-পদ্ধতি সাধু-সন্তদের মধ্যে ছড়িয়ে আছে। সেগুলি বুকে (সিনায়) থাকে, মুখে শোনা যায়। আর কিছু দেখে অনুকরণ করতে হয়।

    আরশি-নগরের পাশে এক ঘর, সে ঘরের পড়শিরা কৃপা করে ডেকে নিয়েছিলেন। যারা স্মরণে মরেন না, তাদের কথার কথকতার সূত্রেই এ রচনা। লোকধর্মের জীবনপ্রবাহ থেকে নির্মাণ-বিনির্মাণ-পুননির্মাণ করে-করে একরকম ইতিহাস রচনার অদক্ষ প্রয়াসও কেউ-কেউ খুঁজে পেতে পারেন এ রচনায়। লৌকিক সাধকেরা ‘অপর নন’। তাঁরা আর-পাঁচজন মানুষেরই মতো। প্রবহমান কাল এবং ঘটনা অনিবার্য ভাবেই তাঁদের উপরে ছায়া ফেলে। প্রতিটি মানুষের মতো এ সাধকেরা প্রত্যেকে বিশিষ্ট, অনন্য। অলৌকিক সাধু নয়, লৌকিক অসাধারণ মানুষেরা এ রচনায় স্থান নিয়েছেন। এগুলি অলৌকিক রহস্যগাথা নয়, রহস্যে বাঁধা জীবনের কথা।

     350.00
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত গ্রন্থিত
    গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কার্টুনে হিন্দুত্ববাদ

    হিন্দুত্ববাদের সামাজিক কাঠামোয় নানান ধর্মীয় অনুশাসন, নানা বিধান, আচার-আচরণ, নিষেধের বেড়াজাল। হিন্দত্ববাদের রাজনৈতিক কাঠামোয় দেশপ্রেম, যা আসলে প্রশ্নহীন আনুগত্যের রকমফের। আমাদের দেশে এখন সেই হিন্দুত্ববাদীদের দাপট। তারাই এখন কেন্দ্রীয় শাসনে, ক্ষমতায়। সেই সূত্রেই আসছে নানান ফতোয়া, আনুগত্য প্রকাশের চাপ। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদও হচ্ছে। নানা রূপে, নানা ধরনে। একটা ধরন হল কার্টুন। আর সেখানেই পাওয়া গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরকে। তাঁর আঁকা কার্টুনের বিষয়ে আর এখনকার বিষয়ে দেখা যাচ্ছে আশ্চর্য মিল। একশো বছর আগেও যা সত্যি ছিল, দেখা যাচ্ছে এখনও তার কোন বদল ঘটেনি। দু-ভাগে সাজানো এই বইয়ে সংকলিত কার্টুনে পাঠকের তা খুঁজে নিতে অসুবিধে হবে না কোন।

    নতুন মুদ্রণে ৮টি কালার প্লেট যুক্ত হল। বইপত্তর-এর বই।

     150.00
  • মীরা মুখোপাধ্যায়
    বিশ্বকর্মার সন্ধানে 

    শিল্পকর্ম আর কারুকর্মের মধ্যে তৈরি-করা কোন রকম বিভেদ মানতেন না তিনি, এই বইয়ের লেখক, এ দেশের অন্যতম প্রধান ভাস্কর মীরা মুখোপাধ্যায়। সে কারণেই এক দীর্ঘ সময়কাল জুড়ে তিনি গভীর জিজ্ঞাসা নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছিলেন বিশ্বকর্মার সন্ধানে। বিশ্বকর্মা, যিনি বিশ্বের সকল কর্মের দেবতা। ভূমিকায় তিনি লিখেছেন, ‘আমার বিষয়বস্তুকে কোন ইতিহাসে পাইনি, যা পেয়েছি তা অস্পষ্ট এবং অলীক হিসেবে পুরাণ, মহাভারতে বিরাজ করেছে। যখন মুখে-মুখে ঘুরে-ঘুরে বিশ্বকর্মাদের কাছ থেকে কিছু-কিছু জেনেছি, তখন বুঝতে পেরেছি অতি গভীর তার মূল, প্রায় আমাদের জানিত সভ্যতার শুরু থেকেই এর সূচনা।’ এই বইয়ে তাই বাস্তবের সঙ্গে কল্পকাহিনী, ইতিহাসের সঙ্গে পুরাণ, সমকালের সঙ্গে লোককথা এমন ভাবে মিশে আছে যে ভ্রম হয় কোনটা প্রকৃত বাস্তব, আর কোনটাই বা আসল ইতিহাস। প্রকৃতপক্ষে মীরা মুখোপাধ্যায়ের জীবনব্যাপী জিজ্ঞাসা ও গবেষণার ফসল এ বই।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ১২৮ পৃষ্ঠা

     250.00
  • বব ডিলান
    গিটার আর একটা অন্ধকার রাস্তা  

    “একজন সঙ্গীতজ্ঞকে, যেখানে ঠিক সে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার গভীরে প্রবেশ করতে হয়, অবশ্য তা নির্ভর করছে কত দূর সে যেতে পারবে, তার ওপর। সেই গভীরতায় পৌঁছনোর জন্য সে সব কিছু করতে প্রস্তুত থাকে। তার কারণ সঙ্গীত এক তাৎক্ষণিক ব্যাপার, ক্যানভাসে রং চড়ানোর মতো সেটা ঠিক ভেবেচিন্তে করা যায় না। তুমি যখন গাইছ বা বাজাচ্ছ, তখন তোমার আত্মা উড়ে চলে। ফলে সঠিক সুরটা খুঁজে পাওয়ার জন্য তোমাকে তোমার নিজেরই গভীর অন্তঃস্থলে চোখ মেলে তাকাতে হয়।”

    গত শতকের ছয়ের দশকে বব ডিলান-এর আবির্ভাব, তার পর থেকে গত কয়েক দশকে তাঁর গান কখনও শোনেননি, এমন লোক বোধ হয় গোটা বিশ্বেই দুর্লভ।

    এই বইয়ে তাঁর ছ-টি সাক্ষাৎকারের বয়ান, তাঁর কবিতা, তাঁর নোবেল বক্তৃতার সূত্রে মিলবে ডিলানের এক সার্বিক পরিচয়।

    পরিবর্ধিত ও পরিমার্জিত বইপত্তর সংস্করণ, ১১৬ পৃষ্ঠা

     220.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    আর্য রহস্য 

    আর্য মানে যে কৃষক, স্থায়ী গৃহস্থ, সে-সম্বন্ধে সন্দেহ নেই। আর ঋগ্বেদের বিরাট অংশ হল চাষবাস বিষয়ক মন্ত্র। তাই য়ুরোপীয় কোন-কোন পণ্ডিত ঠাট্টা করে বলতেন, ঋগ্বেদ হল চাষার গান। এই উক্তিতে আমাদের অনেক পণ্ডিতের মনে কষ্টও হয়েছে। “বেদের বহু স্তোত্রে চাষের কথা আছে। ভূমি সুজলা সুফলা হয়, তাহার জন্য দেবতাদের নিকট অনেক প্রার্থনাও আছে। সুতরাং তাহাদের সিদ্ধান্ত হইল, বৈদিক স্তোত্রকারগণের যে সমাজ তাহা সভ্যতার আদিম বা চাষের স্তরে মাত্র উঠিয়াছিল। তাঁহারা মন্তব্য করিলেন, বৈদিক মন্ত্র সব চাষার গান।” কথাটা কিন্তু অমূলক নয়। কারণ শব্দবিচার করে আমরা জানতে পারব— আর্য শব্দের মৌলিক অর্থই হল কৃষক।

    আজকের দিনে অধিকাংশ ভাষাবিজ্ঞানী পণ্ডিতই বলছেন, তামাম পৃথিবীতে যে-সমস্ত সংস্কৃত শব্দের অপব্যাখ্যা হয়েছে, তার মধ্যে ‘আর্য’ শব্দটি বোধ হয় সবচেয়ে অভাগা। এর পেছনে কাজ করেছে পাশ্চাত্যের গূঢ় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য এবং সাম্রাজ্যবাদী বাসনা। সংস্কৃতিতত্ত্ব আর ভাষাতত্ত্বের সূত্রে আর্য জাতি সম্পর্কে প্রকৃত সত্যের উদ্‌ঘাটনই এই বইয়ের প্রধান উদ্দেশ্য। সব অর্থেই এ বই বিস্ফোরক বই, প্রচলিত ধ্যানধারণা নাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৮ পৃষ্ঠা

     160.00
  • নোয়াম চমস্কি 
    গণমাধ্যমের চরিত্র  

    “জনসংযোগ এক বৃহৎ শিল্প। এ বাবদে এখন বছরে বিলিয়ন ডলারের হিসেবে খরচ হয়। জনতার মনকে নিয়ন্ত্রণ করাটাই তার বরাবরের দায়। জনসংযোগকে ইন্ডাস্ট্রির পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে পথিকৃৎ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।জনসংযোগের শিল্পক্ষেত্রে যারা আছেন, তারা কেউ সেখানে মজা মারার জন্য বসে নেই। তারা রীতিমতো কাজ করছেন সেখানে। তারা লোকের মনে সঠিক মূল্যবোধ চারিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। বস্তুত, প্রকৃত গণতন্ত্র সম্পর্কে তাদের একটা ধারণা আছে : এ ব্যবস্থা এমন হওয়া উচিত যেখানে বিশেষজ্ঞদের প্রভুর স্বার্থে কাজ করার শিক্ষা দেওয়া হয়। প্রভু মানে এই সমাজটা যাদের। জনগণের বাদবাকি অংশকে সংগঠিত হওয়া থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে, কারণ সংগঠন মাত্রেই ঝামেলা পাকায়। টিভির সামনে এদের একা বসিয়ে রাখতে হবে, আর মাথায় এ কথা ঢুকিয়ে দিতে হবে যে জীবনের একমাত্র অর্থ হল চারপাশে আরওআরও পণ্য জোটাও বা ঐ ধনী মধ্যবিত্ত পরিবারের মতো জীবন কাটাও, যা তুমি টিভির পর্দায় দেখছ।” লিখেছেন নোয়াম চমস্কি।

    রাষ্ট্রশাসনের অন্যতম হাতিয়ার এই  গণমাধ্যম। সমকালীন রাজনীতিতে তার ভূমিকা, মিথ্যে প্রচার আর তথ্যগোপনের কূটকৌশলে ব্যাপ্ত সে এক ষড়যন্ত্রের ইতিবৃত্ত। এ নিয়ে লেখার যোগ্যতম যিনি, তাঁর কলমে ক্ষুরধার এই বই।

     180.00
  • স্বর্ণেন্দু সেনগুপ্ত সম্পাদিত
    গুয়ান্তানামো : স্মৃতিকথা সাক্ষাৎকার কবিতা ছবি

    যে-কারাগারে বসে লেখা এই বইয়ে সংকলিত কবিতাগুলি, আঁকা এ বইয়ে ছাপা ছবিগুলি, যে-জেলখানাকে নিয়ে এই লেখা এই বইয়ের অন্তর্গত স্মৃতিকথা ও ডায়েরির সমূহ বয়ান, যাকে কেন্দ্র করে নেওয়া এ বইয়ের দুটি সাক্ষাৎকার— তার নাম গুয়ান্তানামো। কুখ্যাত এই সামরিক কারাগার কিউবা বা কুবা-র একটি দ্বীপ জোর করে দখলে রেখে বানিয়েছে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র আমেরিকা।
    যাঁরা খবরের কাগজ পড়েন, তাঁরা হয়তো পড়েছেন, শুনেছেন এই কারাগারের কথা। গুয়ান্তানামো কারাগারের কথা খবরের কাগজে শিরোনামে আসে তার ভয়ংকর, অত্যাচারী ব্যবস্থার কারণে। এই বই নির্দোষ নিরীহদের বিরুদ্ধে সেই অত্যাচার ও সন্ত্রাসের কথা নানা ভাবে বলে কবিতায়, গদ্যে, ছবিতে।

    ২য় মুদ্রণ, ১২০ পৃষ্ঠা

     200.00
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart