Description
তপোধীর ভট্টাচার্য
জাক দেরিদা : তাঁর বিনির্মাণ
You must be logged in to post a review.
Related products
-
মানিক দাস
আশপাশের মানুষজন
অসমের প্রেক্ষাপটে বস্তুত এ এক প্রেমের আখ্যান। অসংখ্য দ্বন্দ্বতন্তুর অনিঃশেষ কাটাকুটিতে নির্মিত এই আখ্যান কার্যত অসমিয়া-বাঙালির সম্পর্ক ও সম্পর্কহীনতার সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাসের জলছবি। মানুষজনের দ্বন্দ্ব, সামাজিক অস্থিরতা, সংশয়, উদভ্রান্তি ও স্বার্থপরতা এই যাপনকথায় প্রকট।
লেখক অসমবাসী। অসম ও বাংলায় সুপরিচিত। অসমিয়া ও বাংলা, দুই ভাষাতেই তিনি লেখেন। ফলে তাঁর বয়ানে এ আখ্যানের গুরুত্ব অন্যরকম হতে বাধ্য। এ বয়ানের পরতে-পরতে ক্রমোন্মোচিত অভিজ্ঞতার নির্যাসে রয়েছে সমাজ-বাস্তবতার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একটি প্রণয়োপাখ্যানকে কেন্দ্র করে এ হল আশপাশের মানুষজনের চলমান জীবনালেখ্য।
অসমে সাম্প্রতিক সমস্যার প্রেক্ষিত বুঝতে বাংলা সাহিত্যে এই নতুনতর সংযোজন অনেকটাই সাহায্য করবে।
₹ 495.00 -
প্রমথ চৌধুরী জীবনভর বিদ্যাচর্চা করেছেন ও সেই সঙ্গে ছোট-বড় নানান পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত প্রবন্ধ ও পত্র-প্রবন্ধ লিখেছেন। সে সবের কিছু অংশ গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হলেও তার বাইরে রয়ে গেছে আরও অসংখ্য রচনা, বাংলা সাহিত্যের যা অমূল্য সম্পদ। টীকাভাষ্য-সহ এমন কিছু ‘অগ্রন্থিত রচনা’ই এখানে পাঠকের জন্য সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে।
₹ 50.00 -
মানিক দাস
এ-আমি সে-আমি নইমানিক দাস থাকেন অসম-এ, লেখেন দু-হাতে, বাংলা এবং অসমিয়ায়। লেখার জন্যই দামি চাকরি ছেড়ে এখন পুরো সময়ের লেখক। গল্প-উপন্যাস বা প্রবন্ধ যখন লেখেন, তাঁর বিষয় স্বতই আবর্তিত হয় সমসময়ের শিকড়হীনতায়। আবার যখন অনুবাদ করেন, তখন ফিরে যান শিকড়ের টানে : লোককথা, লোকগানে। এ দুয়ের টানাপোড়েনেই তাঁর যাপন, যেমন হয়তো আরও অনেকের। মানিকবাবুর এই গল্পগুলিতে রয়েছে ঐ টানাপোড়েনেরই বিবরণ। তার মধ্যে বড় হয়ে ওঠে শিকড়হীনতার বেদনা, প্রকাশের সময়ে আপাত-কৌতুকের আবরণ থেকে ক্রমে যা বেঁকে গেছে ব্যঙ্গে আর শ্লেষে। কিন্তু নিরাবেগ তার ধরন, যদি তার থেকে কোন আবেগ তৈরি হয়, তা হোক পাঠকের মনে, পাঠকই ঠিক করুন কী হবে এই গল্পপাঠের ভবিষ্যৎ।
₹ 50.00 -
মাঝি রামদাস টুডু রেস্কা
খেরওয়াল বংশা ধরম পুথি বা সাঁওতাল জাতির ধর্মপুস্তকমূল বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ বাংলা অনুবাদ : সুহৃদকুমার ভৌমিক
ভারতীয় আদিবাসী সমাজে আত্মানুসন্ধানের ইতিহাস খুব দীর্ঘ নয়। এ দেশের আদিবাসীদের মধ্যে অগ্রণী সাঁওতাল সমাজের যে-কয়জন মহাপুরুষ প্রথম থেকেই তাঁদের ধর্ম-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ে সচেতন হয়েছিলেন, মাঝি রামদাস তাঁদের অন্যতম। তিনি লক্ষ করেছিলেন সাঁওতাল সমাজে তাঁদের ধর্ম ও সংস্কৃতি নিয়ে অনেক কাহিনী, গাথা ও গান প্রচলিত থাকলেও তা লিখে রাখার কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অফুরন্ত এই মৌখিক সাহিত্যের ভাণ্ডার সম্পর্কে লোকের কোন ধারণা নেই। এই দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে প্রায় বারো বছর তিনি সাঁওতাল অধ্যুষিত অঞ্চলে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেন, এবং প্রায় নিজের উদ্যোগে তা প্রকাশ করেন ১৮৯৪ সালে। এই বইয়ের দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয় আচার্য সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়-এর আন্তরিক আগ্রহে। তিনি স্বয়ং এর একটি ভূমিকাও লিখে দেন। ১৯৫১ সালে প্রকাশিত এই সংস্করণটি অবশ্য মাঝি রামদাস দেখে যেতে পারেননি। পণ্ডিত রাহুল সাংকৃত্যায়ন-ও এই বইয়ের প্রকাশের ব্যাপারে বিশেষ ভাবে উৎসাহী ছিলেন। মহামূল্যবান এই বইয়ের অবিকল পুনর্মুদ্রণ-সহ এটি অনুবাদ করে বাংলাভাষী পাঠকদের হাতে তুলে দিলেন আদিবাসী ভাষা-বিশেষজ্ঞ স্বনামধন্য সুহৃদকুমার ভৌমিক। এই অনুবাদের দায়িত্ব স্বয়ং সুনীতিকুমার-ই তাঁকে একদা দিয়ে গিয়েছিলেন। বলা যায়, এত দিনে সেই আরব্ধ কাজ সম্পন্ন হল।
₹ 450.00 -
মধুপ দে
চন্দ্ররেখাগড়ের কাহিনিচন্দ্ররেখাগড়ের কাহিনি স্থানীয় লোক-ইতিহাস অবলম্বনে রচিত। কিছুটা পড়া, অনেকটা শোনা, বাকিটা বোনা। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা জানার কোন উপায় নেই। কিন্তু, এখানকার প্রায় পাঁচশো বছর আগের ভৌগোলিক অবস্থান, ছিন্নভিন্ন ঐতিহাসিক উপাদান, অসূর্যম্পশ্যা অরণ্যভূমি, জীবনদাত্রী সুবর্ণরেখা এবং আর্য-অনার্য মানুষের নিকট-অবস্থানে যা সত্যি-সত্যি ঘটেছিল বা ঘটা সম্ভব ছিল, সেই সত্য দর্শন থেকেই উঠে এসেছে এই উপন্যাসের ঘটনাধারা এবং চরিত্ররা। নয়াগ্রামের দক্ষিণাংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গড়বাড়ির ধ্বংসস্তূপ, ভগ্ন প্রাচীর, পরিখাচিহ্ন, মজে যাওয়া দিঘি, গভীর অরণ্যভূমি, ধূ-ধূ প্রান্তর, নদী এবং নদীতীরে দাঁড়ালে যে-অলিখিত ইতিহাস আর অকথিত কাহিনি শোনা যায়, তার সঙ্গে দেশ-কালের ইতিহাস জুড়ে গঠিত হয়েছে চন্দ্ররেখাগড়ের এই আখ্যান।
₹ 110.00 -
জাঁ-পল সার্ত্র
লেখকের অস্তি নাস্তি অবস্থিতিজাঁ-পল সার্ত্র-এর (১৯০৫-১৯৮০) ষাট এবং সত্তর বছরে নেওয়া দুটি সাক্ষাৎকার নিয়ে এই বই।
প্রথম সাক্ষাৎকারটি যখন দিচ্ছেন, তার কিছু পরেই সাহিত্যে নোবেল নিতে অস্বীকার করছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি শেষ হচ্ছে এই প্রত্যাখ্যান নিয়ে তাঁর ক্ষুরধার বক্তব্য দিয়ে, ‘কোন আকাদেমি বা কোন পুরস্কারের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।… আমার বই যদি লোকে পড়ে, তবে সে-ই হতে পারে আমার সেরা সম্মান।’
দশ বছর পরে তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন, চোখে আর দেখতে পান না মোটেই, ভাবছেন কী ভাবে তাঁর কাজ চালিয়ে নিয়ে যাবেন, কিন্তু একই সঙ্গে জানাচ্ছেন, ‘আমার মন দশ বছর আগের মতোই এখনও সমান ধারালো— ধার বাড়েনি হয়তো, কিন্তু কমেও যায়নি।’
বিশ শতকের অদম্য এই মেধাজীবীর বহু বিষয়ে ভাবনার প্রাসঙ্গিকতাকে খানিক স্পর্শ করা যাবে এই বইয়ে।
₹ 160.00
Reviews
There are no reviews yet.