Brands

Sort By:
View:
  • সুব্রতকুমার মুখোপাধ্যায়।। সুশীলকুমার বর্মন
    ঝাড়গ্রাম জেলা প্রত্ন পরিক্রমা

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পশ্চিমাংশে অবস্থিত ঝাড়গ্রাম মহকুমাকে ঝাড়গ্রাম জেলা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল। ছোটনাগপুর মালভূমির অবক্ষয়িত প্রান্তভাগ এই অঞ্চল ছিল প্রাগৈতিহাসিক মানবের  চারণভূমি। মানবসভ্যতার আদি কাল থেকে আধুনিক কালে বিবর্তনের চিহ্নসমূহ সুস্পষ্ট ভাবে অঙ্কিত হয়ে রয়েছে  ঝাড়গ্রাম জেলার প্রতিটি ধূলিকণায়। যুগে-যুগে বহু ধর্মগুরু ধর্মপ্রচারে আবির্ভূত হয়েছেন জঙ্গলাকীর্ণ এই রাঢ়ভূমিতে। বহু সহস্র বছরের প্রাচীন আদিবাসী ধর্মচর্চার সমান্তরালে কখনও জৈন, কখনও বৌদ্ধ, কখনও আবার বৈষ্ণব ধর্মের প্রচার ও প্রসার ঘটেছে কঙ্করময় এই লোহিত-মৃত্তিকায়। কিন্তু আদিবাসী সংস্কৃতি ব্যতীত অন্য কোন সংস্কৃতিই এখানে স্থায়ী আসন বিস্তার করতে পারেনি। বিভিন্ন ধর্মচর্চার নিদর্শনগুলি কিন্তু থেকে গেছে ঝাড়গ্রাম জেলার আনাচকানাচে। এই জেলার পথে-ঘাটে-প্রান্তরে, বিশেষত কাঁসাই, তারাফেনি, ভৈরববাঁকি, সুবর্ণরেখা, ডুলুং, পলপলার অববাহিকায় ছড়িয়ে রয়েছে হাজার-হাজার প্রত্ন-নিদর্শন যার অধিকাংশই এ পর্যন্ত অনালোচিত বা স্বল্পালোচিত। ঝাড়গ্রাম জেলার পাহাড়-মালভূমি, গুহাকন্দর, বনজঙ্গলে নিবিড় অনুসন্ধান ও সমীক্ষায় প্রাপ্ত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশ, জমিদার-রাজাদের ইতিবৃত্ত ও ধর্ম-সংস্কৃতি বিষয়ক পুরাতাত্ত্বিক বিবরণ ও বিশ্লেষণ তুলে ধরা হয়েছে ‘ঝাড়গ্রাম জেলা প্রত্ন-পরিক্রমা’ বইটিতে। বইটি শুধু প্রত্ন-পরিক্রমা নয়, ঝাড়গ্রাম জেলা ও পার্শ্বস্থ এলাকার আঞ্চলিক ইতিহাস পরিক্রমার চাহিদাও অনেকাংশে পূরণ করবে।

     400.00
  • মধুপ দে
    মাটির মানুষ বিদ্যাসাগর

    এক স্পর্ধিত ব্যতিক্রমী চরিত্র ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। পথের ধুলো থেকে গগনচুম্বী পাহাড়-চূড়া পর্যন্ত বিস্তৃত তাঁর মহাকাব্যিক জীবন। সূর্যতেজে দীপ্যমান, মহাতেজস্বী, প্রবল জাত্যভিমানী, অহঙ্কারী, স্থিরপ্রতিজ্ঞ বিশালহৃদয় বিদ্যাসাগর ছিলেন জ্ঞান, কর্ম, প্রেম ও পৌরুষের জ্বলন্ত প্রতিমূর্তি। অনেক সাগর মিলে হয় মহাসাগর। দয়ার সাগর, করুণার সাগর, দানের সাগর, বিদ্যার সাগর মিলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরও মহাসাগর।

    এই ক্ষুদ্র গ্রন্থের পাতায় তাঁকে পূর্ণ রূপে বিধৃত করা সম্ভব নয়। তবু, মিথ-এর নির্মোকমুক্ত তথ্যের আলোকে উদ্ভাসিত মাটির মানুষ বিদ্যাসাগরকে পূর্ণ রূপে দেখার প্রচেষ্টা আছে এখানে। নবীন হৃদয়ে বিদ্যাসাগরের সত্য রূপ প্রতিষ্ঠা করাই এই গ্রন্থের লক্ষ্য।

     250.00
  • দীপংকর লাহিড়ী
    শাশ্বত : মহাভারতের পুনর্পাঠ

    মহাভারত এক বহুমাত্রিক মহাকাব্য। পাশ্চাত্যের গবেষকদের মতে ‘সুপার এপিক’, আমরা যার বাংলা করতে পারি অতিমহাকাব্য। তাঁদের দর্শানো কারণ মহাভারতের ব্যাপ্তি, আয়তনে যা ইয়োরোপীয় দুই মহাকাব্যের মিলিত আয়তনের আট গুণ। কিন্তু মহাভারতের কালের ব্যাপ্তি সম্বন্ধে গবেষকরা বিশেষ কিছু ভাবেননি। মহাভারত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশেরও এক বাচিক দলিল। ভূবিদ্যার একটি শাখার অনুসন্ধানের পদ্ধতি অনুসরণ করে বর্তমান গ্রন্থ তার কালক্রমিক মাত্রা উন্মোচনের গবেষণামূলক প্রচেষ্টা। তাই এখানে এসেছে কাল-ক্রমিক বিবর্তনের ধারায় গণ থেকে জন, মাতৃতন্ত্র থেকে পিতৃতন্ত্র, সভ্যতার স্তরক্রম, রাজনীতি থেকে অর্থশাস্ত্র, সমরনীতি, সমাজের উন্নতি ও অবক্ষয়, যার আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে ইয়োরোপ, মিশর, মধ্য প্রাচ্য ও ভারতের নথিবদ্ধ ইতিহাসের ভিত্তিতে। বহুদর্শী লেখকের এ এমন এক বই, যা বহু দিন ধরে পাঠকের নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকবে।

     300.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    ঝাড়খণ্ডে মহাপ্রভু

    ঝাড়খণ্ড নামটি নূতন নয়। চৈতন্য মহাপ্রভুর সময়ে এই অঞ্চল এই নামেই পরিচিত ছিল। ২৩শ জৈন তীর্থঙ্কর পাশ্বর্ণনাথ পাহাড়ে নির্বাণ লাভ করেন। ২৪শ জৈন তীর্থঙ্কর মহাবীর বা বর্ধমানস্বামী জৈন ধর্ম প্রচারকল্পে শিষ্যবৃন্দ-সহ বারো বছর ‘লাড়া’ বা ‘রাঢ়’ভূমিতে ভ্রমণ করেছিলেন। ৫৪৭-সংখ্যক বিশ্বম্ভর জাতকের কাহিনী অনুসারে ভগবান বুদ্ধ পূর্বজন্মে বঙ্কুগিরি পাহাড়ে তপস্যারত অবস্থায় মারা যান। বঙ্কুগিরি বর্তমান বাঁকুড়ার শুশুনিয়া পাহাড়। বুদ্ধদেব বোধিলাভের পর এই পাহাড়ে এসেছিলেন। জনশ্রুতি যে রাঁচি জিলার নির্জন জনহা জলপ্রপাতের এক গুহায় গৌতম বুদ্ধ কিছুদিন তপস্যা করেছিলেন। ভগবান বুদ্ধের বহু কাল পরে শ্রীচৈতন্যও তাঁর ধর্মপ্রচারের ক্ষেত্র হিসাবে রাঢ়ভূমি তথা ঝাড়খণ্ডকে গ্রহণ করেছিলেন। কেন মহাপ্রভু অবহেলিত আদিবাসী অধ্যুষিত ঝাড়খণ্ডে প্রেমধর্ম প্রচারের জন্য এসেছিলেন, কী তার পটভূমি আর তাঁর প্রভাবই বা কত স্থায়ী হয়েছিল– তারই ঐতিহাসিক ও তুলনামূলক আলোচনা এই গ্রন্থের বিষয়।

     70.00
  • দীপংকর লাহিড়ী
    শাশ্বত : মহাভারতের পুনর্পাঠ

    মহাভারত এক বহুমাত্রিক মহাকাব্য। পাশ্চাত্যের গবেষকদের মতে ‘সুপার এপিক’, আমরা যার বাংলা করতে পারি অতিমহাকাব্য। তাঁদের দর্শানো কারণ মহাভারতের ব্যাপ্তি, আয়তনে যা ইয়োরোপীয় দুই মহাকাব্যের মিলিত আয়তনের আট গুণ। কিন্তু মহাভারতের কালের ব্যাপ্তি সম্বন্ধে গবেষকরা বিশেষ কিছু ভাবেননি। মহাভারত মানবসভ্যতার ক্রমবিকাশেরও এক বাচিক দলিল। ভূবিদ্যার একটি শাখার অনুসন্ধানের পদ্ধতি অনুসরণ করে বর্তমান গ্রন্থ তার কালক্রমিক মাত্রা উন্মোচনের গবেষণামূলক প্রচেষ্টা। তাই এখানে এসেছে কাল-ক্রমিক বিবর্তনের ধারায় গণ থেকে জন, মাতৃতন্ত্র থেকে পিতৃতন্ত্র, সভ্যতার স্তরক্রম, রাজনীতি থেকে অর্থশাস্ত্র, সমরনীতি, সমাজের উন্নতি ও অবক্ষয়, যার আলোচনা ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে ইয়োরোপ, মিশর, মধ্য প্রাচ্য ও ভারতের নথিবদ্ধ ইতিহাসের ভিত্তিতে। বহুদর্শী লেখকের এ এমন এক বই, যা বহু দিন ধরে পাঠকের নিত্যসঙ্গী হয়ে থাকবে।

     100.00
  • সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়া
    বদলে যাচ্ছে খাসি মায়েদের গল্প 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি দেশ মেঘালয় – মেঘেদের বাড়ি। তিনটে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই দেশ – খাসি-গারো-জয়ন্তিয়া। মূল অধিবাসীরাও খাসি-গারো আর জয়ন্তিয়া জনজাতির। মেঘালয়ের সমস্ত জনজাতির সমাজই মাতৃপ্রধান, মায়ের বংশ-পরিচয়েই সেখানে সন্তানের পরিচয়। মায়েরাই মূলত বহন করে সন্তানের দায়িত্ব। পিতৃতান্ত্রিক পরিকাঠামোর বিপরীতে এই যে মাতৃপ্রাধান্যের সমাজ – কেমন সেই সমাজ? এ কথা জানার আগ্রহে এই বইয়ে আপাতত খাসি জনজাতির সমাজকে বেছে নিয়েছেন লেখিকা। গত কয়েক বছর ধরে এ জন্য তিনি খাসি লোককথা, গল্প, কবিতা, মেঘালয় থেকে প্রকাশিত খাসি খবরের কাগজ, পত্রপত্রিকা ইত্যাদি পড়েছেন; বারংবার মেঘালয়ে গেছেন, প্রত্যন্ত সব এলাকায় পাড়ি দিয়েছেন; সেখানকার মিউজিয়াম, বাজার, বইয়ের দোকানে গেছেন; খাসি সমাজের মানুষ, বিশেষত মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এ বই তার ফসল। অতীত থেকে বর্তমান, খাসি সমাজের এক সার্বিক পরিচয় ধরা থাকল এই বইতে।

     100.00
  • শ্রীগিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ
    বঙ্গে দুর্গোৎসব

    ১৩৩৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত এই পুস্তকের নিবেদন অংশে গিরিশচন্দ্র বেদান্ততীর্থ লিখেছিলেন, “বাঙ্গালী পাঠকপাঠিকাগণ ইহা পাঠ করিয়া দুর্গাপূজা–রহস্য ও বাঙ্গালীর পুরাতন অবস্থা কিয়ৎপরিমাণে পরিজ্ঞাত হইলেও স্বকীয় পরিশ্রম… সফল মনে করিব।”

    গিরিশচন্দ্রের জন্ম ময়মনসিংহে। অধ্যাপনা করেছেন রাজশাহীর রানি হেমন্তকুমারী সংস্কৃত কলেজে। রাজশাহীর বরেন্দ্র অনুসন্ধান সমিতির সঙ্গেও তিনি যুক্ত ছিলেন। এই পুস্তকে তিনি মহিষাসুরের জন্মবৃত্তান্ত, কাত্যায়নী নাম-নিরুক্তি, মহিষাসুরের স্বপ্নবৃত্তান্ত, ব্রহ্মশাপবৃত্তান্ত, দেবীর বর্ণ, মৃন্ময়ী মূর্ত্তিতে দুর্গাপূজা, বিসর্জ্জন, দেবীপুরাণ ও কালিকাপুরাণ, দুর্গোৎসবের কাল, নবদুর্গা, পদ্ধতিবিবরণ, দুর্গারহস্য ইত্যাদি বিবিধ বিষয়ে আলোচনা করেছেন।

    তাঁর রচিত অন্যান্য গ্রন্থ : কৌলীন্যমার্গ রহস্য, সরস্বতী তন্ত্র, প্রাচীন শিল্প পরিচয়। সম্পাদনা করেছেন : পুরুষোত্তম ভাষাবৃত্তি, তারাতন্ত্র, কুলচূড়ামণিতন্ত্র ইত্যাদি। ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’তে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নানা প্রবন্ধ।

    প্রথম বইপত্তর সংস্করণ, ৬৪ পৃষ্ঠা

     100.00
  • সুহৃদকুমার ভৌমিক
    ঝাড়খণ্ডের ডায়েরি 

    অধ্যাপক সুহৃদকুমার ভৌমিক (জন্ম ১৯৪০) প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতের প্রাচীনতম নরগোষ্ঠী সাঁওতাল, কোল, মুণ্ডা প্রভৃতির সংস্কৃতির উপর কাজ করছেন। তাঁর মতে, বাঙলা ভাষা ও সংস্কৃতি মূলত দাঁড়িয়ে আছে এই সমস্ত আদিবাসী গোষ্ঠীর ভাষা ও ধারণার উপর। বাঙালির উচ্চারণ ও ছন্দ এবং ভাব বিনিময়ের জন্য গদ্যের ভঙ্গি, উভয়ই তৈরি হয়েছিল খেরোয়াল অর্থাৎ সাঁওতাল প্রমুখ মানুষের দ্বারা – এই কেন্দ্রীয় ধারণা তিনি প্রকাশিত বহু রচনায় বিশদ করেছেন। তাঁর রচিত বহু বইয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি বই ও প্রবন্ধের সংকলন ইতিমধ্যেই প্রকাশ করেছে মনফকিরা। সাম্প্রতিক এই বইয়ে রয়েছে বিশেষ করে ঝাড়খণ্ড অঞ্চলে লেখকের গবেষণাসূত্রে পরিভ্রমণের ফলস্বরূপ নানা স্বাদের কয়েকটি রচনা। তার মধ্যে তাঁর রাঁচি ভ্রমণের স্মৃতিও যেমন আছে, তেমনই আছে বিহারের টুসু উৎসব নিয়ে তাঁর দীর্ঘ অনুসন্ধানের বিবরণ, তাঁর সাঁওতালি ভাষা চর্চার প্রথম যুগের কথা যেমন আছে, তেমনই আছে ওঁরাওদের কারাম পরবের কথা। সব মিলিয়ে, পাঠকদের এ বই এক অন্য জগতের সন্ধান দেবে বলেই আমাদের ধারণা।

    প্রথম সংস্করণ, ৯৬ পৃষ্ঠা

     150.00
  • সুপর্ণা লাহিড়ী বড়ুয়া
    বদলে যাচ্ছে খাসি মায়েদের গল্প 

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ছোট্ট পাহাড়ি দেশ মেঘালয় – মেঘেদের বাড়ি। তিনটে পাহাড় দিয়ে ঘেরা এই দেশ – খাসি-গারো-জয়ন্তিয়া। মূল অধিবাসীরাও খাসি-গারো আর জয়ন্তিয়া জনজাতির। মেঘালয়ের সমস্ত জনজাতির সমাজই মাতৃপ্রধান, মায়ের বংশ-পরিচয়েই সেখানে সন্তানের পরিচয়। মায়েরাই মূলত বহন করে সন্তানের দায়িত্ব। পিতৃতান্ত্রিক পরিকাঠামোর বিপরীতে এই যে মাতৃপ্রাধান্যের সমাজ – কেমন সেই সমাজ? এ কথা জানার আগ্রহে এই বইয়ে আপাতত খাসি জনজাতির সমাজকে বেছে নিয়েছেন লেখিকা। গত কয়েক বছর ধরে এ জন্য তিনি খাসি লোককথা, গল্প, কবিতা, মেঘালয় থেকে প্রকাশিত খাসি খবরের কাগজ, পত্রপত্রিকা ইত্যাদি পড়েছেন; বারংবার মেঘালয়ে গেছেন, প্রত্যন্ত সব এলাকায় পাড়ি দিয়েছেন; সেখানকার মিউজিয়াম, বাজার, বইয়ের দোকানে গেছেন; খাসি সমাজের মানুষ, বিশেষত মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরি করেছেন। এ বই তার ফসল। অতীত থেকে বর্তমান, খাসি সমাজের এক সার্বিক পরিচয় ধরা থাকল এই বইতে।

    প্রথম সংস্করণ, ২১২ পৃষ্ঠা

     300.00
  • ‘কান্দাহার’ এবং ‘দ্য সাইক্লিস্ট’-এর মতো ছবির স্রষ্টা, ইরানের খ্যাতনামা ও বিতর্কিত চলচ্চিত্র-পরিচালক মহসেন মখমলবাফ এখানে, এই লেখার পরিসরে একটু ভিন্ন ভাবে উপস্থিত। আফগানিস্তান সম্পর্কে যে-লেখাটি এ বইয়ের মূল উপজীব্য, যদিও তা লেখা হয়েছিল বামিয়ান-এর বিখ্যাত বুদ্ধমূর্তি তালিবানদের হাতে ধ্বংস হওয়ার কিছু পরে, কিন্তু পাঠক দেখবেন আজও তার প্রাসঙ্গিকতা কিছু মাত্র কমেনি। তার কারণ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি আজও কিছু মাত্র বদালায়নি। সাম্প্রতিক কালে এই লেখার মতো হিউম্যান ডকুমেন্ট বোধ হয় খুব বেশি রচিত হয়নি। তার সঙ্গে রয়েছে প্রায় অজানা এক দেশের বিস্তারিত পরিচয়, আর তা লেখা হয়েছে ব্যাক্তিগত অনুভব-বর্জিত কোন সাংবাদিক বা পেশাদার লেখকের বয়ানে নয়, গভীর ব্যাক্তিগত উপলব্ধি থেকে। বারবার পড়ার মতো এ লেখা।

     25.00
    Version : ebook - hardcopy
  • উনিশশো আটষট্টির ফ্রান্স : মে-দিনের ছাত্রবিপ্লব
    ইস্তাহার গ্রাফিতি ইতিহাস

    দেওয়ালের লেখা, কথা, শ্লোগান… নিরাপত্তাহীনতার মধ্যেই তা রচিত হয়, বিপদের বার্তাই তা বহন করে গর্ভে, আতঙ্কের পরিবেশে ঠাঁই পায় লোক-হৃদয়ে। তারপর পথচলতি লোকজনের ছন্দেই তা চলতে শুরু করে, এক হাত থেকে অন্য হাত, বারে-বারেই সে সব ফিরিয়ে আনার প্রয়োজন পড়ে। উনিশশো আটষট্টির ফ্রান্সে, ছাত্রবিপ্লবের সেই মে-দিনে রাজনৈতিক কার্যক্রমের অনুপ্রাণিত ভাষ্য সম্পূর্ণত ঝরে পড়েছিল দেওয়ালে-প্রাচীরে। সময়ের জরুরি তাগিদ আর তৎপরতার স্নায়ুস্পন্দনে রাঙানো তেমন সব দেওয়াল-লেখা, গ্রাফিতি, পোস্টার, ইস্তাহার, আর ইতিহাস নিয়ে এই সচিত্র সংকলন। সন্দীপন ভট্টাচার্য সম্পাদিত।

    88 pages, 2nd print

     120.00
  • আশনা সেন
    পুরনো তোরঙ্গ

    ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মেছিলেন সৈয়দ মনজুর মুরশেদ। ভারতীয় উপমহাদেশের এক উত্তাল সময়কালে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর জীবন। পেশায় রাজপুরুষ তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন দু’-দুটি বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, (১৯)৪৬-এর দাঙ্গা, দেশভাগ ও স্বাধীনতা। আর এর অনেকটাই ঘটেছিল ইংরাজ শাসকদের অধীনে প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসের অফিসার হিসেবে। চলমান ইতিহাসকে মনজুর খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। লিখে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবন, টুকরো সব ঘটনা, আপাত-তুচ্ছ আলাপচারিতার বিবরণ। এর সঙ্গেই জুড়ে আছে মনজুরের দ্বিতীয়া স্ত্রী বেগম হাসিনা মুরশেদের কাহিনীও। বাংলার প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে ১৯৩৭ সালে তিনি নির্বাচিত হন প্রাদেশিক আইনসভায়। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অন্যতম রূপকার ও স্থপতিও ছিলেন হাসিনা। পুরনো তোরঙ্গ-এর ঢাকনা খুলে এই পারিবারিক কাহিনী নতুন করে উপস্থিত করেছেন মনজুরের নাতনি আশনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসও।

     50.00
  • আশনা সেন
    পুরনো তোরঙ্গ

    ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে জন্মেছিলেন সৈয়দ মনজুর মুরশেদ। ভারতীয় উপমহাদেশের এক উত্তাল সময়কালে অতিবাহিত হয়েছে তাঁর জীবন। পেশায় রাজপুরুষ তিনি স্বচক্ষে দেখেছেন দু’-দুটি বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, স্বাধীনতা সংগ্রাম, (১৯)৪৬-এর দাঙ্গা, দেশভাগ ও স্বাধীনতা। আর এর অনেকটাই ঘটেছিল ইংরাজ শাসকদের অধীনে প্রাদেশিক সিভিল সার্ভিসের অফিসার হিসেবে। চলমান ইতিহাসকে মনজুর খুব কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছিলেন। লিখে গিয়েছিলেন ব্যক্তিগত জীবন, টুকরো সব ঘটনা, আপাত-তুচ্ছ আলাপচারিতার বিবরণ। এর সঙ্গেই জুড়ে আছে মনজুরের দ্বিতীয়া স্ত্রী বেগম হাসিনা মুরশেদের কাহিনীও। বাংলার প্রথম মুসলিম মহিলা হিসেবে ১৯৩৭ সালে তিনি নির্বাচিত হন প্রাদেশিক আইনসভায়। লেডি ব্রেবোর্ন কলেজের অন্যতম রূপকার ও স্থপতিও ছিলেন হাসিনা। পুরনো তোরঙ্গ-এর ঢাকনা খুলে এই পারিবারিক কাহিনী নতুন করে উপস্থিত করেছেন মনজুরের নাতনি আশনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে আছে বঙ্গের রাজনৈতিক ইতিহাসও।

     120.00
    Version : ebook - hardcopy
  • শুভেন্দু দাশগুপ্ত
    দেওয়াল লেখার আত্মকথা

    ‘একটা দেওয়াল। দেওয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে আছি আমি, আমরা, কমরেড, পার্টি। দেওয়ালে শাদা রঙের পোঁচ লাগিয়ে দিচ্ছে আমাদের বিশ্বাস। গুঁড়ো নীলে সুতলি চুবিয়ে লাইন দাগিয়ে দিচ্ছে আমাদের স্বপ্ন। রঙ-ভরা টিন ধরে থাকছে আমাদের রাজনীতি। এগিয়ে দিচ্ছে আমাদের লড়াই। দেওয়ালে আঁকা হয়ে যাচ্ছে আমাদের মুক্তাঞ্চল। আমাদের দেশ। ওয়ালিং শেষ করে মুঠো-করা হাত তুলে বলে উঠলাম, লাল সেলাম।’ এই ভাবে সত্তরের আগুন-ঝরা দিনে দেওয়াল লেখার মন মেজাজ ভয় উদ্বেগ আনন্দ থেকে তার রীতি প্রকরণ রাজনীতি ও নন্দনতত্ত্ব পর্যন্ত বিশদ করেছেন লেখক। এ তাঁর একার আত্মকথা নয় তাই, হয়ে উঠেছে সময়েরই সচিত্র আত্মকথন।

    pdf version

     50.00
  • মধুপ দে
    চন্দ্ররেখাগড়ের কাহিনি

    চন্দ্ররেখাগড়ের কাহিনি স্থানীয় লোক-ইতিহাস অবলম্বনে রচিত। কিছুটা পড়া, অনেকটা শোনা, বাকিটা বোনা। প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছিল, তা জানার কোন উপায় নেই। কিন্তু, এখানকার প্রায় পাঁচশো বছর আগের ভৌগোলিক অবস্থান, ছিন্নভিন্ন ঐতিহাসিক উপাদান, অসূর্যম্পশ্যা অরণ্যভূমি, জীবনদাত্রী সুবর্ণরেখা এবং আর্য-অনার্য মানুষের নিকট-অবস্থানে যা সত্যি-সত্যি ঘটেছিল বা ঘটা সম্ভব ছিল, সেই সত্য দর্শন থেকেই উঠে এসেছে এই উপন্যাসের ঘটনাধারা এবং চরিত্ররা। নয়াগ্রামের দক্ষিণাংশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা গড়বাড়ির ধ্বংসস্তূপ, ভগ্ন প্রাচীর, পরিখাচিহ্ন, মজে যাওয়া দিঘি, গভীর অরণ্যভূমি, ধূ-ধূ প্রান্তর, নদী এবং নদীতীরে দাঁড়ালে যে-অলিখিত ইতিহাস আর অকথিত কাহিনি শোনা যায়, তার সঙ্গে দেশ-কালের ইতিহাস জুড়ে গঠিত হয়েছে চন্দ্ররেখাগড়ের এই আখ্যান।

     110.00
  • মধুপ দে
    ঝাড়গ্রাম : ইতিহাস ও সংস্কৃতি 

    ঝারিখণ্ড, ঝাড়খণ্ড, ঝাড়গ্রাম বা জঙ্গলমহল হল আদি নিষাদজনের বাসস্থান। বঙ্গ-সংস্কৃতির উৎসসন্ধানে লেখক এই ভূখণ্ড সম্পর্কে সংগৃহীত সমূহ তথ্য একত্র করে ও কালানুক্রমে তা বিন্যস্ত করে গড়ে তুলেছেন এই অঞ্চলের ঐতিহাসিক রূপরেখা। প্রাচীন যুগ থেকে মুঘল ও ব্রিটিশ যুগ পার হয়ে আধুনিক কাল পযন্ত প্রসারিত হয়েছে তাঁর পরিক্রমা। ইতিহাসের সূত্র ধরেই এসেছে এ অঞ্চলের বিভিন্ন রাজবংশের কথাও, তাঁদের নানান কীর্তি ও কাহিনী সবিস্তারে লিখেছেন তিনি। দ্বিতীয় অধ্যায়ে রয়েছে এ অঞ্চলের জনবিন্যাস থেকে, শিক্ষা, সাহিত্য, ভাষা, পরব-পার্বণ, উৎসব, মেলা, লোকশিল্প ও সংস্কৃতির কথা। সব মিলিয়ে, এ অঞ্চলের সার্বিক ইতিহাসের খোঁজে এই বইয়ের খোঁজ করতে হবে বার-বার।

     400.00
    Version : ebook - hardcopy
Shop
Filters
0 Wishlist
0 Cart